"বস্ত্র গেছে যাক, তবুও আমার সংস্কৃতি ঠিক থাক"

লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ১৭ এপ্রিল, ২০১৫, ০১:৩৭:৪৪ রাত



আমরা ধার করায় খুব অভ্যস্ত । অনেকে তো ধার নিয়ে আর দেন ই না । ধার দেয়া লোকটা লজ্জায় চান ও না অনেক সময় ।

কখন ও বা সম্পর্কের লাল বাতি জ্বলে এই ধার দেনা পরিশোধ নিয়ে । সেটা টাকা পয়শার বিষয় ।

লিখতে বসেছি সংস্কৃতি ধার করা নিয়ে । এটা্ও ধার করা জায় । ৯০ % মুসলমান , হিন্দু , বদ্ধ, খ্রিষ্টান আর বিভিন্ন উপজাতি নিয়ে আমরা ১৬ কোটি বাংলাদেশী । ( নট বাঙ্গালী )

আকাশ সংস্কৃতি নামে একটা সংস্কৃতি কে আমরা চিনি । ১৬ কোটি বাংলাদেশীর নিজস্ব দেশীয় এবং প্রত্যেক ধর্মের নিজ নিজ ধর্মীয় সংস্কৃতি রয়েছে । এর বাহিরে যেটা আমরা আমদানী করছি এটাই আকাস সংস্কৃতি ।



বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৪ই এপ্রিল নববর্ষ পালিত হচ্ছে। এটি নির্ধারণ করেছে বাংলা একাডেমি। যদিও বাংলা সনের সঙ্গে হিজরি ও খ্রিস্টীয় সনের মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। হিজরি সনের নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে, ইংরেজি দিন শুরু হয় মধ্যরাতে আর বাংলা সনের শুরু হয় ভোরের সূর্যের সঙ্গে-সঙ্গে।

ভোরের আলোয় ছোট পরিসরে বর্ষবরণ উৎসব বা কৃষি উৎসব প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত। ওই উৎসব ছিল পারিবারিক মঙ্গল কামনার উৎসব। তাতে সামাজিক ভূমিকা বা সামাজিক মেলামেশার সুযোগ তেমন ছিল না। তবে কৃষিভিত্তিক গ্রাম বাংলায় গরুর দৌড়, ষাড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, হা-ডু-ডু ও লাঠি খেলার প্রচলন ছিল।

এ সবই ছিল গ্রাম-বাংলায় পালিত বছরের প্রথম দিনের উৎসবের অনুষঙ্গ। আর তার সাথে ১ বছরের খাজনা , দোকানের ধার দেনা পরিশোধ করা ।

বাংলাদেশে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয় ১৯৭৯ সালে । সেই শোভাযত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক ভাবে এরশাদের বিরুদ্দে শোডাউন দেয়া জনতার আড়ালে ।

এর পরে ১৯৮৯ সালে প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ব্যবহার করা হয় পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায় ও নানা ধরনের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এর মুল আয়োজনের নেতৃত্ত দেন ।

১৯৯৩ সালে ১৪০০ সাল উদযাপন কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে বিশাল শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রার আকর্ষণ ছিল বাঘ, হাতি, ময়ুর, ঘোড়া, পাখিসহ বিভিন্ন ধরনের মুখোশ।



আগে বর্ষবরণের আনন্দ মিছিলে ছিল কৃষি, কৃষকও প্রকৃতির জয়গান। মানুষের বসবাস প্রকৃতির কোলে, তাই প্রকৃতির দায়কে সম্মান করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় তাদের আসন হয় অনেক ওপরে।

সংবাদকর্মী, প্রাণীবিদ, প্রকৃতি সংরক্ষক, প্রকৃতিপ্রেমীরা সারাবছর ধরে প্রকৃতি বাঁচাও বা কুমির বাঁচানোর আন্দোলন করছে। অথচ ১৪১৮ সালের মঙ্গল কামনার শোভাযাত্রাটি কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে ধ্বংস করে দিয়েছে সারা বছরের প্রকৃতি সংরক্ষণ বা সচেতনতার প্রক্রিয়াকে। রুদ্ধ করেছে প্রকৃতি সংরক্ষণের পথ।

আজ তারা পশু পাখিকে দানব বানিয়ে আমাদের শিশুদের শিখাচ্ছে । এর মাধ্যমে আসলে কি বুঝাতে চাচ্ছে জাতকে তারাই ভাল জানে ।

তবে আজ যারা মঙ্গল শোভা যাত্রায় নারীর বস্র হরণ করে উল্লাস করে ।তাদের অন্যায়কে বাধা দিতে গেলে আক্রমন করে ।শিশুকে শিখানো বনের পশুকে অশুভ শক্তির প্রতিক করে দেখানোর সেই ছোঁয়াই হয়ত আজ নতুন প্রজন্মকে পেয়ে বসেছে ।

বাঙ্গালী নারী আজ কামিজ সেলোয়ার শাড়ী ছেড়ে জিন্স ফতুয়া পড়ছে । অনেক টা বাঙ্গালীর বর্ষবরণে চিরায়ত সংস্কৃতি পারিবারিক মঙ্গল কামনার উৎসব দুরে রেখে হাতি ঘোড়া কুমির শকুন সাজার মত ।

সৃস্টির সেরা জীব মানুষ , তাহলে তাকে বর্ষবরণে পশুর মুখোস পরে পশু সাজতে হবে কেন ? আর এটা সাজতে গিয়ে পশুর চরিত্রে রুপান্তরীত হয়েছে যুব সমাজ ।

তা না হলে কি ভাবে লাখ মানুষের ভিরে নারীর বস্র হরণ করে উল্লাসে মেতে উঠে !

নারী পুরুষের এই অবাধ মেলামেসা এটাও কি কোন কালে এ বাংলাদেশীদের সংস্কৃতির অংশ ছিল ??

বিষয়: বিবিধ

২২৭৮ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

315378
১৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:৪৯
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ইজ্জত ওদের কাছে বড় নয় জনসম্মুখে হয়েছে এটাই বড়
315380
১৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:৫৪
মুক্তির মিছিল লিখেছেন : ইতিহাস টেনে ভালই করেছেন! আমরা সংস্কৃতির নামে একটা ধর্মের আচার অনুষ্ঠানকে ঢুকিয়ে দিচ্ছি বাঙ্গালী কালচার বলে......
315393
১৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৫২
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন :
যুদ্ধ থামিয়ে দেবার জন্য নয়
এক দিন ঘরে তুলব আমরা সংস্কৃতির বিজয়,
অপসংস্কৃতি দূর করতে চলবে আমাদের লড়াই
চারদিকে দেখতে চাই ন্যায় আর ন্যায়।

ছবি গুলো গ্রহণ যোগ্য নহে....! প্রথম ছবিটি মুছে দেবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
১৭ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
256492
ব্লগার শঙ্খচিল লিখেছেন : আপনার অনুরোধ টি গ্রহণ করা হল , ধন্যবাদ পরামর্শ দেয়ার জন্য
১৭ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:২০
256501
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ধন্যবাদ, অন্য একটি আপলোড করতে পারেন।
315407
১৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:২০
পললব লিখেছেন : দাতা ও গ্রহিতা দুজননেই লাভবান হয়েছে! দাতা উদার সংস্কৃতিমনা হয়ে চেতনাধারীদের প্রেরণায় উজাড় করে খবরের হিট! আর গ্রহিতা মানিক গুরুর পদধূলি নিয়ে ডাইরেক্ট প্রয়োগ করে সুপারহিট!!
১৭ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
256493
ব্লগার শঙ্খচিল লিখেছেন : আপনি যথার্থ বলিয়াছেন
315427
১৭ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৯:৫১
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সুন্দর লেখা ইতিহাস তুলে এনেছেন তবে আমরা বাংলাদেশি এই কথায় চরম আপত্তি আছে। আমরা বাঙ্গালী এটিই সঠিক। ইসলামে আসাবিয়াহ বা ভৌগলিক সীমানার ভিত্তিতে জাতিয়তার পরিচয় হারাম।
১৭ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০৪
256494
ব্লগার শঙ্খচিল লিখেছেন : ব্ঙ্গ ভঙ্গর ইতিহাস টা আরো একবার আশা করি পড়বেন । বাংঙ্গালী বাংলাদেশী এখানে জড়িয়ে আছে বিশাল রাজনৈতিক ইতিহাস ।

আরবী ভাষায় কথা বলে বলেই আরব রাষ্ট্রগলো তাদেরকে আ্যারাবিয়ান পরিচয় দেয় না , ইংরেজী ভাষাভাষি বলেই ইউরোপ আমেরিকা তাদেরকে ইংরেজ দাবী করেনা । প্রত্যেকটা দেশের নিজস্ব পরিচয় , বা জাতিয়তা আছে ।

ইসলাম সম্পর্কে আমার ধারণা গৌণ আশা করি দলিল দিয়ে উপকৃত করবেন
১৭ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৭
256520
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : দেশ, জাতীয় পতাকা, ভৌগলিক ভূখন্ড, জাতিয়তা এসবের জন্ম হয়েছে পশ্চিমাদের হাতে আমি কেন নিজেকে এই পরিচয়ে পরিচিত করব? এই লেখাটা পড়তে পারেন।
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/41093#.VTDZ4tjfSTp
• মিশকাতে বর্ণিত হাদিস, ভলিউম ২, পৃ ১০২১; উবাই বিন কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যদি কেউ জাহেলিয়া যুগের মত তার পূর্বপুরুষ-বংশ নিয়ে অহংকার বড়াই করে, তবে তাকে বলো, সে যেন তার পিতার জননেন্দ্রীয় কামড়ে ধরে, এবং কোন রূপক শব্দ( শ্রুতিকটু পদের পরিবর্তে কোমলতর পদের প্রয়োগ) ব্যবহার করো না”। হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মিশকাত আল মাসাবিহ’তে (হাদিস নং ৪৮২৮)একে সহীহ বলেছেন।
আবু দাউদে বর্ণিত হাদীসে আল্লাহ্র রাসূল কারীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম বলেন,
সে আমাদের দলভুক্ত নয় যে আসাবিয়াহ'র দিকে ডাক দেয়, ( ন্যাশনালিজম বা জাতিয়তাবাদ ) বা আসাবিয়াহর কারণে লড়াই
করে কিংবা আসাবিয়াহর কারণে মৃত্যুবরণ করে।
একটি বিশদ হাদিসের প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম জাতীয়তাবাদ,বর্ণবাদ এবং দেশপ্রেমের সম্পর্কে বলেন,
এগুলো ত্যাগ কর, এগুলো তো পঁচে গেছে
[বুখারীঃ অধ্যায়ঃ ৬৫-৪৯৫৬, তাওহীদ প্রকাশনীঃ ৪৯০৫।
ধন্যবাদ।
১৭ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৭
256521
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : দেশ, জাতীয় পতাকা, ভৌগলিক ভূখন্ড, জাতিয়তা এসবের জন্ম হয়েছে পশ্চিমাদের হাতে আমি কেন নিজেকে এই পরিচয়ে পরিচিত করব? এই লেখাটা পড়তে পারেন।
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/41093#.VTDZ4tjfSTp
• মিশকাতে বর্ণিত হাদিস, ভলিউম ২, পৃ ১০২১; উবাই বিন কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যদি কেউ জাহেলিয়া যুগের মত তার পূর্বপুরুষ-বংশ নিয়ে অহংকার বড়াই করে, তবে তাকে বলো, সে যেন তার পিতার জননেন্দ্রীয় কামড়ে ধরে, এবং কোন রূপক শব্দ( শ্রুতিকটু পদের পরিবর্তে কোমলতর পদের প্রয়োগ) ব্যবহার করো না”। হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মিশকাত আল মাসাবিহ’তে (হাদিস নং ৪৮২৮)একে সহীহ বলেছেন।
আবু দাউদে বর্ণিত হাদীসে আল্লাহ্র রাসূল কারীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম বলেন,
সে আমাদের দলভুক্ত নয় যে আসাবিয়াহ'র দিকে ডাক দেয়, ( ন্যাশনালিজম বা জাতিয়তাবাদ ) বা আসাবিয়াহর কারণে লড়াই
করে কিংবা আসাবিয়াহর কারণে মৃত্যুবরণ করে।
একটি বিশদ হাদিসের প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম জাতীয়তাবাদ,বর্ণবাদ এবং দেশপ্রেমের সম্পর্কে বলেন,
এগুলো ত্যাগ কর, এগুলো তো পঁচে গেছে
[বুখারীঃ অধ্যায়ঃ ৬৫-৪৯৫৬, তাওহীদ প্রকাশনীঃ ৪৯০৫।
ধন্যবাদ।
১৭ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৭
256522
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : দেশ, জাতীয় পতাকা, ভৌগলিক ভূখন্ড, জাতিয়তা এসবের জন্ম হয়েছে পশ্চিমাদের হাতে আমি কেন নিজেকে এই পরিচয়ে পরিচিত করব? এই লেখাটা পড়তে পারেন।
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/41093#.VTDZ4tjfSTp
• মিশকাতে বর্ণিত হাদিস, ভলিউম ২, পৃ ১০২১; উবাই বিন কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যদি কেউ জাহেলিয়া যুগের মত তার পূর্বপুরুষ-বংশ নিয়ে অহংকার বড়াই করে, তবে তাকে বলো, সে যেন তার পিতার জননেন্দ্রীয় কামড়ে ধরে, এবং কোন রূপক শব্দ( শ্রুতিকটু পদের পরিবর্তে কোমলতর পদের প্রয়োগ) ব্যবহার করো না”। হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মিশকাত আল মাসাবিহ’তে (হাদিস নং ৪৮২৮)একে সহীহ বলেছেন।
আবু দাউদে বর্ণিত হাদীসে আল্লাহ্র রাসূল কারীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম বলেন,
সে আমাদের দলভুক্ত নয় যে আসাবিয়াহ'র দিকে ডাক দেয়, ( ন্যাশনালিজম বা জাতিয়তাবাদ ) বা আসাবিয়াহর কারণে লড়াই
করে কিংবা আসাবিয়াহর কারণে মৃত্যুবরণ করে।
একটি বিশদ হাদিসের প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম জাতীয়তাবাদ,বর্ণবাদ এবং দেশপ্রেমের সম্পর্কে বলেন,
এগুলো ত্যাগ কর, এগুলো তো পঁচে গেছে
[বুখারীঃ অধ্যায়ঃ ৬৫-৪৯৫৬, তাওহীদ প্রকাশনীঃ ৪৯০৫।
ধন্যবাদ।
১৭ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৭
256523
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : দেশ, জাতীয় পতাকা, ভৌগলিক ভূখন্ড, জাতিয়তা এসবের জন্ম হয়েছে পশ্চিমাদের হাতে আমি কেন নিজেকে এই পরিচয়ে পরিচিত করব? এই লেখাটা পড়তে পারেন।
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/41093#.VTDZ4tjfSTp
• মিশকাতে বর্ণিত হাদিস, ভলিউম ২, পৃ ১০২১; উবাই বিন কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যদি কেউ জাহেলিয়া যুগের মত তার পূর্বপুরুষ-বংশ নিয়ে অহংকার বড়াই করে, তবে তাকে বলো, সে যেন তার পিতার জননেন্দ্রীয় কামড়ে ধরে, এবং কোন রূপক শব্দ( শ্রুতিকটু পদের পরিবর্তে কোমলতর পদের প্রয়োগ) ব্যবহার করো না”। হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মিশকাত আল মাসাবিহ’তে (হাদিস নং ৪৮২৮)একে সহীহ বলেছেন।
আবু দাউদে বর্ণিত হাদীসে আল্লাহ্র রাসূল কারীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম বলেন,
সে আমাদের দলভুক্ত নয় যে আসাবিয়াহ'র দিকে ডাক দেয়, ( ন্যাশনালিজম বা জাতিয়তাবাদ ) বা আসাবিয়াহর কারণে লড়াই
করে কিংবা আসাবিয়াহর কারণে মৃত্যুবরণ করে।
একটি বিশদ হাদিসের প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম জাতীয়তাবাদ,বর্ণবাদ এবং দেশপ্রেমের সম্পর্কে বলেন,
এগুলো ত্যাগ কর, এগুলো তো পঁচে গেছে
[বুখারীঃ অধ্যায়ঃ ৬৫-৪৯৫৬, তাওহীদ প্রকাশনীঃ ৪৯০৫।
ধন্যবাদ।
১৭ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৯
256524
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : দুঃখিত বেশিবার পোস্ট হয়ে গেছে বাড়তি কমেন্ট মুছে ফেলার অনুরোধ রইল।
315432
১৭ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:২৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সংস্কৃতিটাই যদি হয় নগ্নতা তা হলে এটা ছাড়া আর কি হবে!
315448
১৭ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:২৯
যুথী লিখেছেন : দ্রৌপদির বস্ত্রহরণ ওদের ধর্মীয় সংস্কৃতি। কাজেই খারাপ কি হলো!!!
315561
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
ব্লগার শঙ্খচিল লিখেছেন : ধন্যবাদ ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য !
316255
২২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : যদি সন্মান পেতে চাও, তবে হে নারী... আগে তুমি নারী হও।
টি,এস,সি তে যেই মেয়েটার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল, ওই মেয়েটার ছেলেদের মতই বভকাটিং চুল ছিল, পরনে ছিল জিন্স প্যান্ট, গায়ে ছিল ফতুয়া। মেয়েটার পোষাকের জন্য সরকারের পুলিশ বাহিনী মেয়েটাকে ছেলে নাকি মেয়ে তা সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। পুলিশ বাহিনীর ধারনা ছিল ওই জায়গায় ছাত্রলীগের টি-২০(দলীয় কোন্দল) চলতেছে তাই তারা নিরাপদ দূরর্ত্বে অবস্থান করেছিল।
বিঃদ্রঃ যৌন নির্যাতনের জন্য মেয়েদের পোষাক ও আচরন ১০০% দায়ী।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File