প্রতিবছর মঙ্গল শোভাযাত্রায় অমঙ্গলের সংস্কৃতি ”নারীর শ্লীলতাহানি” !, কিন্তু কেন ?
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ১৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:২৫:০৪ রাত
গতকালের ঘটনাটা এতটাই বিকৃত মস্তিষ্ক লোকদের দ্বারা হয়েছে যা ভাবত্ওে অবাক লাগে । ছেলে গুলো জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের (আমাদের বন্ধুদের কাছে এটি জগা বাবুর পাঠশালা নামে পরিচিত) এবং তাদের রয়েছে প্রভাবশালী একটি ছাত্র সংগঠনের পরিচয় । লাখ মানুষের ভিরে এত বড় দু:সাহস দেখানোর পিছনে এটা্ও একটা কারন কিনা খতিয়ে দেখা দরকার ।
ছবিতে দেখা যায় , জিন্স পরা বব কাটিং চুলের বোনটির শরীরের পোষাকটি নরপষুদের থাবায় হয়তো ওদের পায়ের নিচে পিস্ট হচ্ছে তখন । ওরনা , থ্রি পিচ , ব্লাউজ এমনকি সর্বশেষ সম্বল ব্রা পরযন্ত খুলে নিয়েছে । ওদের নোংরা হাত গুলো তখন তার বিভিন্ন স্পর্ষকাতর স্থানে । কোন ভাবে নুয়ে শেষ চেস্টা টুকু করছেন । আর নরপশুদের একদল ভিডিও তে ব্যাস্ত তখন
পহেলা বৈশাখ কে বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব বলা হয় । পুরো বাঙ্গালী জাতী দল,মত, ধর্ম-বর্ণ, গরীব-ধনী , আবাল ,বৃদ্ধা বণিতা সকলে মিলে এক সাথে নেমে পড়ে উৎসবে । এ কারনেই এটা বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব ।
সাম্প্রতি ৫/৭ বছর থেকে এ শোভাযাত্রাগুলোতে একদল যুবক এ ধরণের নিন্দিত কাজ গুলো নিয়মিত করছে
……………
এদিকে ,
সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সংঘবদ্ধ একদল যুবক নারীদের শ্লীলতাহানি ঘটায় । তারা, টিএসসি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় ৩০-৩৫ জনের ওই যুবকের দল। তারা কারও কারও শাড়ি ধরেও টান দিয়েছিল ।
…………….
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইংরেজি নববর্ষের রাতে শাওন আকতার বাধন নামে এক নারীকে বিবস্ত্র করা হয়েছিলো। তখনও যে সোনার ছেলেরা এই অপকর্ম করেছিলো তারাও ক্ষমতার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। তখনও বর্তমান ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলো। পুলিশ ছিলো নীরব। এ নিয়ে মামলা হলেও আসামিরা সবাই মুক্তি পেয়েছিলো।
এরও আগে ১৯৭৩ সালে শহীদ মিনারে ছাত্রীদের হামলে পড়ার সাথে ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে আছে। তাদের বর্তমান উত্তারাধিকারীরা সেই ধারাবাহিকতা এখনও বজায় রেখেছে। এই ছাত্রলীগ তৈরি করেছে ধর্ষনে সেঞ্চুরি করা মানিককে। সত্যিই সোনা আর মানিকদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ছাত্রলীগ। এরাই এখন শ্লোগান দেয় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কীভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বর্ষবরনে বস্ত্র হরন তার আরেকটি উদহারন মাত্র।
বিষয়: বিবিধ
১১৮১৩ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নারীর বস্ত্র হরণ করো
সোনার বাংলা গড়ে তোলো
লিটন নন্দী নিশ্চয় ইসলামের আলোকে অনুপ্রানিত কেউ নন। অথচ তিনিই বিপন্নকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন, নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। অন্য দিকে ইসলামে অনুপ্রানিত ঝাকবাঁধা মুমিনের দল নবী মোহাম্মদ স্টাইলে (গনিমত) নারী ধর্ষনের নেশায় ঝাপিয়ে পরল। লজ্জা, লজ্জা.......
আর যারা নিন্দীত এ কাজ করেছে তারা ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরসুরি । ইসলাম প্রিয় কোন মানুষ বর্ষবরণে গড্ডলিকা করতে টিএসসিেতে যায় নি । ছাত্র ইউনিয়ন আর ছত্র ! লীগের প্রজন্মরাই ছিল এটা তাদের ই কাজ । এই ছত্র ইউনিউয়ন শাহবাগে প্রজন্ম চত্তরে যে প্রজনন ঘটিয়েছে আমার থেকে তা আর কে স্ব চোক্ষে দেখেছে ??
এই ছবিটা কোনো মেয়ের নয়, এটা জবিতে শ্লীলতাহানির ছবি তুলতে গেলে মারধর করা সাংবাদিকের ছবি। তবে শ্লীলতাহানি আর বিবস্ত্রের ঘটনা যে ঘটেছে সেটা সত্য। তবে সেটার ছবি তোলা যায়নি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন