কার্জন হল ! কিছু স্মৃতি , কিছু অজানা তথ্য
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ১৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০২:১০:২১ রাত
ছয়টি বছর এই হলে । একটার পর একটা পরীক্ষা দিতে দিতে আমি ক্লান্ত ।
কার্জন হল এ যে অংশটা টাউন হল নামে পরিচিত ছিল সেখানে সাইন্স এর সব পরীক্ষা গুলো অনুষ্ঠিত হয়। এট া এখন এক্সাম হল নামে পরিচিত
পরীক্ষার্থীদের ব্যাবহারের জন্য (ছাত্র এবং ছাত্রী ) দু পাশে আলাদা দুটি টয়লেট । ব্যাপক পরাশুনা হয় এই দুটি টয়লেটে ! পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে !
পরীক্ষা হলটি দেখার মত। তার ভেতরের গম্বুজ গুলাও দেখার মত। তার পিছনে পরীক্ষার সিট পড়লে অন্যদের সাথে দেখাদেখি করাটাও দেখার মত। (যেহেতু লেখক নিজেই অনেক পরীক্ষা দিয়েছেন)।
কার্জন হল এর সঠিক বানানটা সঠিক ভাবে খুব কম জায়গায় দেখেছি। Kurzon, Karzon, Karjon, Carzon, Carzone এরকম অনেক গুলো বানান দেখা হয়ে গেছে।
কার্জন হলের সঠিক বানান CURZON যেহেতু ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় (ভাইরা ভাই টাইপ কোনো সম্পর্ক বলে আমার ধারনা) লর্ড কার্জনের নাম অনুসারেই এর নাম "কার্জন হল"।
ফেব্রুয়ারি ১৯, ১৯০৪ সালে ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় ও গভর্ণর জেনারেল - জর্জ কার্জন এর ভিত্তি-প্রস্তর স্থাপন করেন।
বঙ্গভঙ্গ ঘোষিত হওয়ার পর প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তোলার জন্য রমনা এলাকার যেসব ইমারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় কার্জন হল তার মধ্যে অন্যতম।
বড়লাট বাহাদুরের আগমন উপলক্ষে ভাওয়ালের রাজকুমারগণ এ অঞ্চলে লর্ড কার্জন বাহাদুরের নাম চিরস্মরণীয় করিবার নিমিত্তে 'কার্জন হল' নামে একটি সাধারণ পাঠাগার নির্মাণের জন্য দেড় লক্ষ টাকা দান করিয়াছেন।"
১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হলে, ঢাকা কলেজের ক্লাস নেয়া হতে থাকে কার্জন হলে। পরবর্তী সময়ে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে কার্জন হল অন্তর্ভুক্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের জন্য, যা আজও ব্যবহৃত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের তথা পূর্ব বাংলার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালের ১লা জুলাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পূর্ববঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হল একটি মুসলমান মধ্যবিত্ত সমাজ সৃষ্টি করা। এই মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজই পরবর্তীতে পূর্ব বঙ্গের সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনে নেতৃত্ব দান করে। বঙ্গভঙ্গের সময় থেকে পূর্ব বঙ্গে মুসলিম সমাজে যে নবজাগরণ শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তারই ফল।
((ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি, ১৯২১। বাম থেকে ডানে উপবিষ্ট: মি. জি. ডব্লু কোচলার, ডক্টর রাসবিহারী ঘোষ, মি. আর নাথান, নওয়াব সিরাজুল ইসলাম। বাম থেকে ডানে দন্ডায়মান: ডক্টর এস সি বিদ্যাভূষণ, মিস্টার সি ডব্লু পিক, মি. ডব্লু এ জে ওর্চয়োল্ড, সামসুল ওলেমান এন এ ওয়াহেদ, বাবু লোহিত মোহন চ্যাটার্জী, বাবু আনন্দচন্দ্র রায়, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মি. ডি এস ফ্রেসার। ))
তথ্য সূত্র:
উ্ইকিপিডিয়া ,ইন্টারনেট, ব্লগ ।
বিষয়: বিবিধ
২৫০৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক সুন্দর লিখেছেন।
অনেক কিছু জানলাম, ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন