মৃত্যুর মুখ থেকে এরশাদের ফিরে আসা এবং জাতীর প্রত্যাশা (খোলা চিঠি)
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ০৩ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:১২:৪০ বিকাল
বিমান দূর্ঘটনা সাম্প্রতিক এত বেড়েছে যে মানুষ শখের বসে ঘুরতে জা্ওয়া ছেড়ে দিয়েছে অনেকটা । আর সেখানে বাংলাদেশ বিমানের অবস্থা বলার অপেক্ষা রাখোনা ।
আজ্ও (০২.০৪,১৫) এক নারী পাইলট (তামান্না) বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেল যশোরে । অন্য কোন ভাবে মারা গেলে অন্তত তার লাশটা পা্ওয়া জায় ।বিমানের বেলায় পুরো বিমানটি হারিয়ে যায় ।অনেক সময় হারিয়ে না গেলেও যে ভাবে বিধ্বস্ত হয় তাতে মানুষ গুলোর আকৃতি বিকৃত হয়ে যায় ।
এই হরিয়ে জা্ওয়াটাকে গুম্ও বলা যায়, আমাদের দেশে গুম হলে যেমন লাশ কাছে নিয়ে পরিবারের কান্না করার অধিকার ও থাকে না । পরিবার জানে ্ও না, স্বজনটির ভাগ্যে আসলে কি ঘটছে । বিমানের বেলায় ও অনেকটা তেমন ।
কিছুদিন আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি আলোচিত সমালোচিত ব্যাক্তি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দুত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তার দলের গুরুত্ত্বপূর্ণ বেশ কয়েক জন ব্যক্তি কে নিয়ে শিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে বলাকায় করে দেশে ফিরছি্লেন । পথিমধ্যেই ঘটতে যাচ্ছিল বিপদটি । শেষ কালিমা পড়্ওে নিয়েছিলেন তিনি । আল্লাহ তাকে সহ বিমানের সকলকে রক্ষা করলেন ।
তাকে নিয়ে হাজারো বিতর্ক থাকলে ্ও আমার জানা মতে বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাসে তার অবাদান অনেক । তার নয় বছরে রাজনীতিবিধ ছাড়া আর সবাই ভাল ছিল ।
রাজনীতিবিধরা তাকে স্বৈরাচার বলেন ! কিন্তু এরশাদ পরবর্তী শাসক কেউ কি দমন পীরনে তার থেকে কম ছিল ? আমরা যদি বর্তমানের কথাই বলি , প্রতিপক্ষ দমনের নামে এখন যেটা হচ্ছে এই সাবকন্টিনেন্টের সব শাসককে তা হার মানিয়েছে । সবকিছুরই একটা শেষ আছে ।
রক্ষা পা্ওয়ার পর তিনি ঘোষণা করলেন আল্লাহ তাকে দিয়ে কোন ভাল কজ করাবেন বলেই মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছেন । তার প্রথম স্ত্রী রওশন এরশাদ ঘোষণা দিলেন তিনি আরো দের যুগ বাঁচবেন ! জানের সদকা বাদব কাঙ্গালী ভোজ দিলেন দলীয় নেতা কর্মীদের জন্য (যদ্ওি তা নিয়ে লংকা কান্ড ঘটেগেছে )
জাতী হিসেবে আমরা্ও খুশি । রাজনীতিবীধরা দেশের প্রাণ । ৭১ এ যদি আ্ওমিলীগের মত সংগঠিত দল না থাকতো , ভাষানি , মুজিব , নজরুল, বজ্রদের, মত নেতা না থাকতো । জিয়া , জলিল, ওসমানি , অলিদের মত দেশ প্রমিক সৈনিক না থাকতো ।এত অল্পদিনে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না ।
এরশাদের জনপ্রীয়তা যখন তুঙ্গে তখন তাকে জেলে ভরে তার দলকে ভা্ঙ্গা হল । ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে উত্তরবঙ্গে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হল । এ পর্য ন্ত ভালই ছিলেন ।বৃহত্তর রংপুরের সা্ওয়াল হিসেবে জারা তাকে নিজেদের ছেলে বলে জানতো সেই তাদের সমর্থন টা্ও তিনি হারিয়ে ফেললেন ৫ জানুয়ারীর বিতর্কীত নির্বাচনে অংশ নিয়ে ।ঘরের ছেলের অন্যায়কে তারা সমর্থন দিলেননা । উপজেলা নির্বাচনে তার সমর্থীত এক জন প্রার্থী্ও পাশ করলেন না !
সেই বিতর্কীত নির্বাচন কেবল এরশাদের কারনে্ই ১০% সমর্থন পেয়েছিল । যার মুল্য আজ্ও দিতে হচ্ছে হত্যা , গুম, খুনের মধ্যে দিয়ে ! এর শেষ কবে ? জাতি জানে না ।
অনিশ্চিৎ গন্তব্যে হাটছে দেশ । যার পরিনতি হতে পারে ইয়েমেন , সিরিয়া , ইরাক , লিবিয়ার মত ।
একমাত্র দেশের রাজনীতিবিধরাই পারে এই অবস্থার অবসান ঘটাতে ।
মাননীয় এরশাদ !
জানিনা আমার এ ছোট্ট লিখা আপনার চোখ স্পর্শ করবে কিনা । আপনার জীবদ্দশায় সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দেশের নেতৃত্ত্ব দেয়া আপনার জতীয় পার্টির অন্তীম মূহুর্ত দেখছেন । আল্লাহ না করুক সেদিন যদি আপনার কিছু হয়ে যেত কী হত েএই দলের ভবিষ্ৎ ? কে নিত িএর নেতৃত্ত্ব ? সে কি আপনার মত গ্রহোনযোগ্যতা অর্জন করতো দেশের মানুষের কাছে ? জারা জাতীয় পার্টিকে চিনে , লাঙ্গলকে চিনে শুধুমাত্র কেবল মাত্র , একমাত্র এরশাদের কারনেই চিনে ।
আপনি বলেছেন “আল্লাহ আপনাকে দিয়ে কোন ভাল কাজ করাবে বলে বাচিয়ে রেখেছেন , শুজুগ দিয়েছেন “
আমি জানিনা আপনি সে সজুগ কিভাবে কাজে লাগানোর চিন্তা করেছেন ।
আজ বাচ্চারা পর্যআন্ত আপনাকে চিনে , সেটা অন্য ভাবে । বাংলাদেশের পুরুষের যে গড় আয়ু সেটা আপনার পার হয়ে গেছে । জাতীর েএই দু্র্দিনে আপনার একট সিদ্ধান্ত আপনাকে আবার জনপ্রিয়তা্র শীর্ষ নিয়ে আসতে পারে । এখন যে ভাবে আছেন সেভাবে না । আপনাকে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।
আপনি অনেক চৌকস সেনা অফিসার ছিলেন । মৃত্যু বা ফাঁসির ভয়ে অন্তত এখন আপনার থাকার কথা না । (বিমান দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে যা্ওয়ার পর থেকে )
জাতীর এই অন্তিম মুহুর্তে একটা ভালসিদ্ধান্ত নিন শুধু মাত্র দেশের মানুষের কথা ভেবে । ব্যাক্তি বা দলের উর্ধে উঠে ।
আল্লাহ আপনাকে আরো অনেক নেক হায়াত দান করুন । (আমিন )
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসলেই কিছু মানুষের ভালো দিকগুলো খুব কমই আলোচিত হয়।
অপ্রিয় সত্য কথাটাই বলেছেন, যা কেউ বলে না।
আপনার লিখা আজই মনে প্রথম পড়েছি, অনেক ভালো লিখেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জাতী হিসেবে আমরা্ও খুশি । রাজনীতিবীধরা দেশের প্রাণ । ৭১ এ যদি আ্ওমিলীগের মত সংগঠিত দল না থাকতো , ভাষানি , মুজিব , নজরুল, বজ্রদের, মত নেতা না থাকতো । জিয়া , জলিল, ওসমানি , অলিদের মত দেশ প্রমিক সৈনিক না থাকতো ।এত অল্পদিনে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না । .............
আজকের বাস্তবাতায় কি পাচ্ছি আমরা, জাতীয় আজ অন্ধকারে নিমজ্জিত!!
মুক্তির প্রত্যাশায়!
মন্তব্য করতে লগইন করুন