রামাদানের জন্য বিশেষ দু’আ সমূহঃ ১
লিখেছেন লিখেছেন মিশু ২৫ মার্চ, ২০১৮, ০৯:৩২:১৬ সকাল
আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
ঘুড়ে ঘুড়ে আবার আমাদের সামনে আসছে প্রতিক্ষিত মাস রামাদান।রামাদানের বীজ বপনের জন্য এখনই সময়। জমিকে নিংড়িয়ে আগাছা পরিষ্কার করে সুস্থ ভালোমানের বীজ বপন করতে হবে এখনই। সচেতন ও পরিশ্রমী হয়ে যত্ন নিতে হবে ভালো ফলের প্রত্যাশায়।
আপনি কি পরিকল্পনা নিয়েছেন? প্রস্তুত করেছেন নিজ জমি ও পরিবারের?
এই রামাদানে পরিবারসহ কিছু দু’আ শিখে নেই চলুন। মহান আল্লাহ আমাদের রামাদানের সুফল পাওয়ার সুযোগ করে দিন।
রামাদানের জন্য বিশেষ দু’আ সমূহঃ
১। নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আ
اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ».
(আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু ‘আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমানি ওয়াস্সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ)
“আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।” সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৭।
.২। ইফতারের সময় রোযাদারের দো‘আ
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ العُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
ক) (যাহাবায-যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল ‘উরূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু)।
“পিপাসা মিটেছে, শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহ্ চান তো সওয়াব সাব্যস্ত হয়েছে।” আবূ দাউদ ২/৩০৬, নং ২৩৫৯, সহীহুল জামে‘৪/২০৯।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي
খ) (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিরহ্মাতিকাল্লাতী ওয়াসি‘আত কুল্লা শাই’ইন আন তাগফিরা লী)।
“হে আল্লাহ! আপনার যে রহমত সকল কিছু পরিব্যাপ্ত করে রেখেছে তার উসীলায় আবেদন করি, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।” ইবন মাজাহ্ ১/৫৫৭, নং ১৭৫৩; যা মূলত আবদুল্লাহ ইবন আমর রা দো‘আ।
৩। খাওয়ার পূর্বে দো‘আ
সেহরীর জন্য আলাদা কোন দু’আ জানা যায় না। এই দু’আটি খাওয়ার পূর্বে বলার জন্য।
“যখন তোমাদের কেউ আহার শুরু করে তখন সে যেনো বলে,
«بِسْمِ اللَّهِ» (বিসমিল্লাহ)“আল্লাহর নামে।” আর শুরুতে বলতে ভুলে গেলে যেন বলে,
بسمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ» (বিস্মিল্লাহি ফী আওওয়ালিহী ওয়া আখিরিহী)।
“এর শুরু ও শেষ আল্লাহ্র নামে।” সহীহুত তিরমিযী, ২/১৬৭।
৪। আহার শেষ করার পর দো‘আ
«الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا، وَرَزَقَنِيهِ، مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ».
(আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত‘আমানী হা-যা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরি হাউলিম মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতিন)।
“সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ আহার করালেন এবং এ রিযিক দিলেন যাতে ছিল না আমার পক্ষ থেকে কোনো উপায়, ছিল না কোনো শক্তি-সামর্থ্য।” সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫৯।
৫। রোযাদারকে কেউ গালি দিলে যা বলবে
إِنِّي صَائِمٌ، إِنِّي صَائِمٌ (ইন্নি সা‘ইমুন, ইন্নি সা’ইমুন)
“নিশ্চয় আমি রোযাদার, নিশ্চয় আমি রোযাদার।”বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৪/১০৩, নং ১৮৯৪
৬। কোনো পরিবারের কাছে ইফতার করলে তাদের জন্য দো‘আ
أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ».
(আফত্বারা ইন্দাকুমুস সা-ইমূন, ওয়া আকালা ত্বা‘আ-মাকুমুল আবরা-রু, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালা-ইকাহ)
“আপনাদের কাছে রোযাদাররা ইফতার করুন, আপনাদের খাবার যেন সৎলোকেরা খায়, আর আপনাদের জন্য ফিরিশতারা ক্ষমা প্রার্থনা করুন।” সুনান আবি দাউদ ৩/৩৬৭, নং ৩৮৫৬
৭। শবে কদরের রাতে পড়ার দু’আ—
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ’ফুউউন তুহিব্বুল আ’ফওয়া ফা’ফু আ’ন্নী
আয়েশা রা. বলেছেন: হে রাসূলুল্লাহ! যদি আমি জানি কোন রাতে লাইলাতুল ক্বদর তবে আমি সেই রাতে কি বলবো? তিনি সা. বললেন, বল: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ’ফুউউন তুহিব্বুল আ’ফওয়া ফা’ফু আ’ন্নী
হে আল্লাহ! তুমি বড়ই ক্ষমাকারী, বড়ই অনুগ্রহশীল।মাফ করে দেয়াই তুমি পছন্দ কর। তাই তুমি আমার গুনাহ মাফ করে দাও। আল জামে আত তিরমিযী
বিষয়: বিবিধ
১০২৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উক্ত দোয়াগুলো যেন পড়তে পারি, তাওফিক কামনা করছি আল্লাহর কাছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন