পাকড়াও
লিখেছেন লিখেছেন মিশু ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:৩৭:১১ সকাল
https://youtu.be/cAyESYBBQ9A
আসসালামু'আলাইকুম।
আমরা মহান রবের ভালোবাসা ও অসন্তুষ্টি নিয়ে কতজন চিন্তা করি,অথচ প্রতিনিয়ত অনেক ধরনের ঘটনা আমাদের চারপাশে ঘটছে যা আমাদের স্মরন করিয়ে দেয়। কিন্তু জ্ঞানী তাকওয়া সম্পন্নরাই এ নিয়ে ভাবে।
বর্তমান সমাজের চিত্র অনেকটাই যেন শুধুমাত্র দুনিয়াতে আরাম আয়েশ,প্রশংসা,আনন্দ ফূর্তির মাঝেই এই জীবন আর এর সাথে অবশ্যই থাকে বিপরীত লিংগের প্রতি অতিরিক্ত প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক। আজ কেনো ধার্মীক পরিবারগুলোতেই বেশী সম্পর্কের টানাপোড়ন চলে? এর কারনই হলো বিজ্ঞ শয়তান কাজ করে,আর আমাদের ধার্মীক ভাই বোনেরা একটা পর্যায় পর্যন্ত অনুশাসন মানেন কিন্তু প্রতিনিয়ত মহান রবের সাথে সম্পর্ক রাখার জন্য যা দরকার সেটার ব্যাপারে উদাসীন হয়ে যায়। এক সময় সুন্দর আমল করেছেন সেই আত্মতুষ্টি নিয়ে অতীতের গল্পচয়ন করেন কিন্তু বর্তমানে যে আমলের ঘাটতি হয়েছে তা নিয়ে কোন চিন্তা হয় না। ফলে আমাদের প্রিয় ধার্মীক ভাই ও বোনেরা অনেক নাজায়েজ কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েন। আল্লাহর রাসূল স.এর জীবনকে উপেক্ষা করে আল্লাহর শরীয়তের বাইরে যেয়ে কখনো কোন ভালোকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। সাময়িকভাবে কিছু মানুষের কাছে বাহবা পাওয়া যেতে পারে কিন্তু আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্যতা আসবে না। দিন চলে যায়,যাবেই। যে কেউ যে কোন সময়েই আল্লাহর দরবারে হাজীরা দিতে হবে। এমন কিছু কি রেখে যাচ্ছি যা আমার কবরকে কলুসিত করবে? সংশোধন হতে সময় নেয়া নিজের জন্যই ক্ষতিকর ও বিপদজনক।
নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও বড়ই কঠিন।” (সূরা বুরুজ ১২ আয়াত)
তিনি আরো বলেন]
অর্থাৎ “আর এরূপই তাঁর পাকড়াও; যখন তিনি কোন অত্যাচারী জনপদের অধিবাসীদেরকে পাকড়াও করেন। নিঃসন্দেহে তাঁর পাকড়াও অত্যন্ত যাতনাদায়ক কঠিন। নিশ্চয় এ সব ঘটনায় সে ব্যক্তির জন্য নিদর্শন রয়েছে যে ব্যক্তি আখেরাতের শাস্তিকে ভয় করে। ওটা এমন একটা দিন হবে যেদিন সমস্ত মানুষকে সমবেত করা হবে এবং ওটা হবে সকলের উপস্থিতির দিন। আর আমি ওটা নির্দিষ্ট একটি কালের জন্যই বিলম্বিত করছি। যখন সেদিন আসবে তখন কোন ব্যক্তি আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কথাও বলতে পারবে না। সুতরাং তাদের মধ্যে কেউ হবে দুর্ভাগ্যবান এবং কেউ হবে সৌভাগ্যবান। অতএব যারা দুর্ভাগ্যবান তারা তো হবে জাহান্নামে; তাতে তাদের চীৎকার ও আর্তনাদ হতে থাকবে।” (সূরা হূদ ১০২-১০৬
আল্লাহ তা‘আলা বলেন
অর্থাৎ “সেদিন মানুষ পলায়ন করবে আপন ভ্রাতা হতে এবং তার মাতা ও তার পিতা হতে, তার পত্নী ও তার সন্তান হতে। সেদিন তাদের প্রত্যেকের এমন গুরুতর অবস্থা হবে, যা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে।” (সূরা আবাসা ৩৪-৩৭ আয়াত)
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেনঃ ‘‘সেদিন তা (যমীন) তার প্রত্যেক বিষয় বর্ণনা করবে’’- (সূরা আয্-যিলযালঃ ৪)। অতঃপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমরা কি জানো যমীন সেদিন কী বর্ণনা করবে? উপস্থিত সকলেই বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ যমীন বলবে, এই এই কর্ম তুমি এই এই দিন করেছো। এগুলো হলো তার বর্ণনা। সহিহ আলবানী
বিষয়: বিবিধ
১০৯৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন