চলুন তাকওয়ার বীজতলার, বীজের খোজ নেই ও যত্ন নেই-2
লিখেছেন লিখেছেন মিশু ০১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:৪৬:০৩ সকাল
চলুন তাকওয়ার বীজতলার, বীজের খোজ নেই ও যত্ন নেই-2
আসসালামু’আলাইকুম
প্রতিদিন শুধুমাত্র একঘন্টা সময় একদম নিরিবিলি নিজের আত্মার যত্নের জন্য।
মূল উদ্দেশ্য হলো নিজের তাকওয়ার অবস্থানকে সেই মানে নেয়া যা মহান আল্লাহ বলেছেন।
পরিকল্পনা( ডিসেম্বর থেকে মে মাস)
কুর’আন অধ্যয়ন-
পুরু তাফসীর –ষান্মাসিক------
তাফহীমুল কুর’আন(১৯খন্ড) /ইবনে কাসীর(১৮খন্ড) /ফি যিলালীল(২২খন্ড) /শব্দে শব্দে আল কুর’আন(১৪খণ্ড)
যে কোন একটি সেট সিলেক্ট করে একটি পরিকল্পনা করে নিন, মাসে কয়টি খন্ড শেষ করতে হবে। তাহলে সপ্তাহে কতটুকু পড়তে হবে সেটা বের করে নিন। বিভিন্ন দিন বিভিন্ন রকম ব্যস্ততায় যাবে,তাই সপ্তাহের পরিকল্পনা করে নিলে গেপটুকু ফিল আপ হবে ইনশা’আল্লাহ। তাতে মাসের শেষে ঠিকই পড়া শেষ হবে পরিকল্পনার আলোকে।
পড়ার ধরন—নিরিবিলি একটি রুম+একটি গুছানো পড়ার টেবিল+তাফসীর খণ্ড+ডায়রী+হাইলাইটার+কলম
• পড়তে পড়তে প্রয়োজনীয় লাইনগুলো মার্ক করে রাখুন।
• প্রয়োজনীয় বিষয় ভিত্তিক আয়াত ও দোয়াগুলো ডায়েরীতে টুকে নিতে পারেন অথবা কম্পিউটারে একটি ফাইল করে নিতে পারেন।
বি দ্রঃ অনেকে বলবেন এখন অনেক বই ও নেটে সব কালেকশন করা আছে। কিন্তু আরেকজনের নোট পড়া আর নিজের করা নোটের অনেক পার্থক্য আছে,এটা সবার ছাত্র জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝার কথা। জীবনের পরীক্ষা যার উপর আমার চিরস্থায়ী জীবনের রেজাল্ট,যেই রেজাল্টের পর আর কোন রিএক্সাম দেয়ার কোন সুযোগ নাই,আমার রব ভালোবেসে এই পরীক্ষার হলে পাঠিয়েছেন যেন আমি ভালো রেজাল্ট করে জান্নাতে ফিরে যেতে পারি,এই ভালোবাসার কি কোন মূল্যই নাই!
ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা বিভিন্ন মানুষের পিছনে অর্থহীন অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করে পরীক্ষার হলের সময়কে তরাণ্বিত করে যাচ্ছি,যে কোন সময় খাতা জমার ঘন্টা বেজে উঠবে-আমরা কি সচেতন আছি!
মহান আল্লাহ আমাদের বর্তমান মুসলমানদের পরিনতি কেন এমন হচ্ছে,তা বুঝার তাওফিক দান করুন এবং নিজেদের সংশোধনের জন্য কুর’আনের সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য দৃঢ় মন দান করুন এবং বর্তমান সব জালিমদের আজাব থেকে আমাদের হেফাজত করুন।
মাসিক---
তাফহীম(৩+৩/৪খন্ড) / ইবনে কাসীর(৩খন্ড) / ফি যিলালীল( ৩+৩/৪খন্ড) /শব্দে শব্দে আল কুর’আন(২+৩/৪খণ্ড)
কুর’আন তেলাওয়াত-(২০মিনিট)
প্রতি রাতে শোবার আগে- সূরা মূলক/রহমান/ হাসর/ওয়াকিয়া
সকালে ফজরের পর- সূরা ইয়াসিন/ফজর
হাদীস পাঠ—১০মিনিট যে কোন একটি সেট শুরু করা।
সকাল ও বিকালের যিকিরসমূহে অভ্যস্ত হওয়া।
বিশেষভাবে পরিবারে কার্যকরি সময় দেয়া ( সামাজিক মিডিয়াতে আমি দাওয়াত দিলাম কিনা আল্লাহ আমাকে ধরবেন না কিন্তু পরিবারের হক আদায় না করলে আখেরাতে আটকে যেতে হবে,আল্লাহ আমাদের মাফ করুন।)
আত্মীয় ও প্রতিবেশির হক আদায়ে সচেষ্ট হওয়া।
আজ ইসলামের ধারক বাহক বলে যারা ঘোষনা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন,তাদের পরিবারগুলোর অবস্থা দেখে খুবই হতাশ লাগে, ইব্রাহীম আ. যে রকম উত্তরসূরী তৈ্রী করেছিলেন,আমরা কি পেরেছি বা পারছি? কতটুকু সময়, মেধা, পরিশ্রম ও ধৈর্য্য নিয়ে পরিবারে, কতজন কাজ করছি?
জীবনের সময় ফুড়িয়ে যাচ্ছে,আর কবে আমাদের সচেতনতা আসবে?
সবার প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ, একটু চেষ্টা করেই দেখি।
বিষয়: বিবিধ
১২১৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন