আমিতো আমার আল্লাহর কাছেই চাইবো।
লিখেছেন লিখেছেন মিশু ১৬ নভেম্বর, ২০১৫, ০৯:৩৭:১০ সকাল
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ.
দোয়া অর্থ কিছু চাওয়া।
রসুল(সঃ) দোয়াকে মুখখুল ইবাদত(ইবাদতের মগজ) বলেছেন।
[youtube]https://www.youtube.com/watch?v=50CPCd5mtYk&index=1&list=FLX85lxpYz2zWsccX5PXhUMA[/youtube
https://www.youtube.com/watch?v=50CPCd5mtYk&index=1&list=FLX85lxpYz2zWsccX5PXhUMA
অভাবের অনুভূতি যার যত বেশী সে ততবেশী কাতরভাবে চায় এবং যে তার অভাব দূ্র করতে সক্ষম বলে বিশ্বাস করে তার কাছেই চায়।
আল্লাহতা’আলা বলছেন—
“হে নবী,আমার বান্দাহ যদি তোমার নিকট আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে তবে তাদের বলে দাও যে, আমি তাদের অতি নিকটে। আমাকে যে ডাকে আমি তার ডাক শুনি এবং তার উত্তর দিয়ে থাকি। কাজেই আমার আহবানে সাড়া দেয়া এবং আমার প্রতি ঈমান আনা তাদের কর্তব্য।
(বাকারা-১৮৬)
“তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করবো। যারা আমার ইবাদত থেকে দম্ভভরে মুখ ফিরায়, অচিরেই তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।”
(মু’মিন-৬০)
রাসুল(সঃ) বলেছেন—
তোমাদের কেউ দোয়া করলে দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে করবে। দোয়ায় এরুপ বলবে না যে, হে আল্লাহ! যদি তুমি চাও তবে আমাকে দাও। কেননা আল্লাহকে বাধ্য করার কেউ নেই।–(বুখারী)
তোমাদের যে কোন লোকের দোয়া কবুল হয়ে থাকে, যদি সে ফল লাভের জন্য তাড়াহুড়া না করে এবং এমন কথা না বলে যে, আমি দোয়া করেছি কিন্তু কবুল হয়নি।(বুখারী)
দোয়া কবুল হওয়ার ধরন সম্পর্কে রাসুল(সঃ) বলেছেন-
“ কোন মুসলিম যদি গোনাহর কাজের জন্য এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য দোয়া না করে তাহলে তার সব দোয়া তিন প্রকারের মধ্যে কোন এক ধরনে অবশ্যই কবুল হয়। কোন দোয়াই অগ্রাহ্য করা হয় না।
ক। হয় তার দোয়া দুনিয়াতেই কবুল করা হয়।
খ। সে দোয়া কল্যানকর না হলে এর বদলে সমপরিমান গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়।
গ। অথবা দোয়ার বদলা আখেরাতে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে।”
দোয়া কবুল হওয়ার সময়-
রাসুল(সঃ) বলেছেন—
সাজদার সময় বান্দা তাঁর প্রতিপালকের সর্বাধিক নিকটবর্তী হ্য়। কাজেই তোমরা সাজদায় গিয়ে বেশী করে দু’আ কর। (তিরমিযী)
শেষ রাতের মধ্যভাগের দু’আ এবং ফরয নামাযসমূহের দু’আ। (তিরমি্যী)
রাসুল(সঃ) বলেছেন—
“আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া প্রত্যাখাত হয় না।
(নাসাঈ)
রাসুল(সঃ) বলেছেন—
“ রাসুল(সঃ) কারো উল্লেখপূর্বক তার জন্য দোয়া করলে প্রথমে নিজের জন্য দোয়া করতেন।”(আবু-দাউদ)
“যে ব্যক্তি বিপদাপদ ও সংকটের সময় আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করে আনন্দিত হতে চায় সে যেন সুখ-সাচ্ছন্দের সময় অধিক পরিমানে দোয়া করে।“(তিরমিযী)
“তোমরা আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। কেননা আল্লাহতা’আলা তাঁর নিকট কিছু পাওয়ার প্রার্থনাকে ভালোবাসেন।আর সর্বোত্তম ইবাদত হলো দোয়া কবুল হওয়ার প্রতীক্ষায় থাকা।”—(তিরমিযী)
“আল্লাহতায়ালা অত্যধিক লজ্জাশীল ও দাতা। যখন কোন ব্যক্তি তাঁর দরবারে তার দুই হাত তুলে(প্রার্থনা করে) তখন তিনি তার হাত দু’খানা শূ্ন্য ও বঞ্ছিত ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।”-(তিরমিযী)
তোমাদের মধ্যে যার জন্য দোয়ার দ্বার উন্মক্ত করা হলো, মূলত তার জন্য রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করা হলো।আল্লাহর কাছে যা কিছু চাওয়া হয়, তার মধ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করা তাঁর নিকট অধিক প্রিয়। অতঃপর রাসুল(সঃ) বললেনঃ যে বিপদ –মুসিবত এসেছে আর যা আসেনি তাতে দোয়ায় উপকার হয়। অতএব হে আল্লাহর বান্দাহগন! তোমরা দোয়াকে অপরিহার্য করে নাও।”-(তিরমি্যী)
বিষয়: বিবিধ
১২৬৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
'সে তোমাকে এমন এক মহৎ কাজের জন্য সৃষ্টি করেছে, যদি তুমি জানতে! তুমি নিজের ওপর রহম কর, অনর্থের পিছু নিয়ো না।'
মহান আল্লাহ আপনাকে ভালোবেসেই জ্ঞান দিয়েছেন,আমার বিশ্বাস, আপনি একদিন এই ভালোবাসার প্রতিদান দিবেন, মহান রবের দরবারে সিজদাহ আদায় করে। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন।
সূরা আল-ইমরান-১৮৫
ভালভাবে জেনে রাখো দুনিয়ার এ জীবন, একটা খেলা, হাসি তামাসা, বাহ্যিক চাকচিক্য, তোমাদের পারস্পরিক গৌরব ও অহংকার এবং সন্তান সন্তুতি ও অর্থ-সম্পদে পরস্পরকে অতিক্রম করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়৷ এর উপমা হচ্ছে, বৃষ্টি হয়ে গেল এবং তার ফলে উৎপন্ন উদ্ভিদরাজি দেখে কৃষক আনন্দে উৎফূল্ল হয়ে উঠলো৷ তারপর সে ফসল পেকে যায় এবং তোমরা দেখতে পাও যে, তা হলদে বর্ণ ধারণ করে এবং পরে তা ভূষিতে পরিণত হয়৷ পক্ষান্তরে আখেরাত এমন স্থান যেখানে রয়েছে কঠিন আযাব, আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি ৷ পার্থিব জীবন প্রতারণার উপকরণ ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ সূরা হাদীদ-২০
মন্তব্য করতে লগইন করুন