সিয়ামের ফিদইয়াহ
লিখেছেন লিখেছেন মিশু ২০ জুন, ২০১৫, ০৯:৫৫:০৯ সকাল
আসসালামু’আলাইকুম।
দয়াময় মেহেরবান আল্লাহতা’আলার নামে।
আমাদের অনেকেই শরিয়ত সম্মত কারনে সাওম রাখতে পারছেন না,এমন অসুস্থতা যে পরেও সুস্থ হয়ে রাখতে পারবেন না সে ক্ষেত্রে ফিদইয়া দেবার ব্যাবস্থা করতে হয়। এটা মহান আল্লাহর একটি দয়া অনুগ্রহের প্রকাশ। তবে আমরা কি সঠিক নিয়মে তা আদায় করি? আমাদের অনেক গুরুজনের জন্যও ফিদইয়া দিতে হয়। সহীহ হাদিসের আলোকে আমাদের জানা প্রয়োজন। সংক্ষেপে আমি লিখলাম,আরো বিস্তারিত জানতে http://www.islamqa দেখে নিতে পারেন।
মহান আল্লাহ আমাদের এই রামাদানের সকল আমল করার সুযোগ করে দিন।
• ফিদইয়া বা বিনিময় প্রদান।
মহান আল্লাহ বলেছেন:
আর যারা তা (সাওম পালনে) সক্ষম নয় তারা(এর পরিবর্তে) ফিদইয়াহ হিসেবে মিসকীন খাওয়াবে।
সূরা আল বাকারা: ১৮৪
• ইবনু আব্বাস রা. বলেছেন: তারা হলো অতি বৃদ্ধ পুরুষ ও নারী যারা সাওম পালন করতে সক্ষম নয়, তারা উভয়েই প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকীন খাওয়াবে।
সহীহ আল বুখারী: ৪৫০৫
• অত্যন্ত বৃদ্ধ হওয়ার কারণে বা সে রোগী যার সুস্থতার আশা করা যায় না, তার উপর সিয়াম পালন ফরয নয়, অক্ষমতার জন্য। মহান আল্লাহ অত্যন্ত মেহেরবান ও দয়াময়। তিনি বলেছেন:
আল্লাহ কারও উপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না।
সুরা আল বাকারা: ২৮৬
• মিসকীনের বালিগ হওয়া শর্ত নয়, তবে দুগ্ধপোষ্য শিশুকে দেয়া যাবে না। দুধ ছাড়ানো হয়েছে এমন শিশুকেও ফিদইয়া দেয়া যাবে।
• মিসকীনের সন্তানেরা, তার স্ত্রী ও পরিবারবর্গ যাদের উপর তার খরচ করা ওয়াজিব, তারাও এই সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত হবে। যদি তাদের জন্য এই মিসকীন ছাড়া খরচ করার অন্য কেউ না থাকে।
• একজন মিসকীনকে দেশীয় খাদ্যদ্রব্য হতে অর্ধেক স্বা (প্রায় ১.৫ কেজি) প্রদান করা হবে, তা চাল বা খেজুর বা অন্য কিছুই হোক না কেন। আর যদি এর সাথে উপযুক্ত অন্য খাবার রান্না করা তরকারী বা গোস্ত, তবে তা উত্তম।
• ফিদইয়াহ এর খাদ্যের সমপরিমান অর্থ প্রদানের মাধ্যমে হবে না।
• ইবনু আব্বাস রা. সহ একদল সাহাবা রা. বলেছেন: আর যদি তিনি (সাওম করতে অক্ষম) দরিদ্র হন অর্থাৎ মিসকীন খাওয়াতে সক্ষম না হন, তবে তার উপর কিছু বর্তায় না, আর এই ফিদইয়া একজন মিসকীনকে বা অনেকজনকে দেয়া যেতে পারে মাসে শুরুতে বা এর মাঝে বা এর শেষে।
(মাজমূ ফাতওয়া ইবন বায ১৫/২০৩)
• সব দিনের ফিদইয়াহ মাসের শেষে একবারে আদায় করা যেতে পারে। যেমন ৪৫ কেজি চাল রান্না করে মিসকীনদের দাওয়াত করে খাওয়ানো হয় তবে তা উত্তম, হযরত আনাস রা. এমনটি করেছেন। (ফাতাওয়াহ রামাদান)
বিষয়: বিবিধ
৭৯২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
My father did not fast during Ramadaan because he was not able to fast due to his being old and sick, then he passed away without making up the fasts of that month. We offered expiation for him by giving money to the poor, then we heard that the expiation only counts if food is given. Should we offer the expiation again, and how much should we give?.
Praise be to Allaah.
Firstly:
The majority of Maaliki, Shaafa’i and Hanbali fuqaha’ are of the view that paying cash does not count as the fidyah for not fasting, and what must be given is actual food, because Allaah says (interpretation of the meaning):
“And as for those who can fast with difficulty, (e.g. an old man), they have (a choice either to fast or) to feed a Miskeen (poor person) (for every day)”
[al-Baqarah 2:184]
Ibn ‘Abbaas (may Allaah be pleased with him) said: This refers to old men and old women who cannot fast, so they should feed one poor person for each day. Narrated by al-Bukhaari, 4505.
It says in Fataawa al-Lajnah al-Daa’imah (10/198): If the doctors have stated that this sickness means that you cannot fast, and there is no hope of recovery, then you must feed one poor person for each day, giving half a saa’ of the local staple food, whether it is dates or something else, for past and future months. If you give a poor person dinner or breakfast for the number of days that you did not fast, that will be sufficient. As for giving cash, that does not count. End quote.
So the elderly or sick person for whom there is no hope of recovery should feed one poor person for each day, giving half a saa’ of wheat, dates, rice or similar local staple. That is equivalent to approximately one and a half kilograms. See Fataawa Ramadaan, p. 545.
He may give it all in one go at the end of the month, 45 kilograms of rice, for example, or if he makes some food and invites poor people to come and eat, that is good, because that is what Anas (may Allaah be pleased with him) did.
Secondly:
If you gave the fidyah in the form of cash following the view of a scholar who issued a fatwa to that effect, then you do not have to give it again. But if you did that yourselves, then you have to give it again, in order to be on the safe side and in order to honour your father, may Allaah have mercy on him and forgive him.
And Allaah knows best.
Islam Q&A
মন্তব্য করতে লগইন করুন