রামাদান মাসের জন্য আহবান
লিখেছেন লিখেছেন মিশু ১৬ জুন, ২০১৫, ১২:২৩:৩৮ দুপুর
রামাদান মাসের জন্য আহবান
আসসালামু’আলাইকুম
দয়াময় মেহেরবান আল্লাহতা’আলার নামে।
তারপর হে মুহাম্মাদ, তোমাদের প্রতি এ কিতাব নাযিল করেছি, যা সত্য নিয়ে এসেছে এবং আল কিতাবের মধ্য থেকে তার সামনে যা কিছু বর্তমান আছে তার সত্যতা প্রমাণকারী ও তার সংরক্ষক। কাজেই তুমি আল্লাহর নাযিল করা আইনি অনুযায়ী লোকদের বিভিন্ন বিষয়ের ফায়সালা করো এবং যে সত্য তোমার কাছে এসেছে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না।
তোমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি শরীয়াত ও একটি কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করে রেখেছি৷ আল্লাহ চাইলে তোমাদের সবাইকে একই উম্মতের অন্তরভুক্ত করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের যা দিয়েছেন তার মধ্যে তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য এমনটি করেছেন। কাজেই সৎকাজে একে অপরের চাইতে অগ্রবর্তী হবার চেষ্টা করো। শেষ পর্যন্ত তোমাদের সবাইকে আল্লাহর দিকে ফিরে যেতে হবে। তারপর তিনি সেই প্রকৃত সত্যটি তোমাদের জানিয়ে দিবেন যে ব্যাপারে তোমরা মতবিরোধ করে আসছিলে।
সূরা আল মায়েদাঃ৪৮
পবিত্র মাহে রামাদান হোক আমাদের জীবনের নতুন করে প্রতিজ্ঞা,
মহান রবের পথে এগিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছা,
সময়কে অধিনস্থ করে কাজের আঞ্জাম দেওয়া,
ফরয সালাত সহ কিয়ামুল লাইলে নিজেকে মহান রবের সামনে বিনয়ীভাবে নিজেকে সমর্পন করা,
চারিত্রিক মানদন্ডকে উন্নীত করা মুতমায়ীন হয়ে,
এস্তেকামাত হয়ে যাওয়া সিরাতুল মুস্তাকীমের পথে
ক্ষমা পাওয়ার জন্য চোখকে সিক্ত রাখা আত্মুউপলব্ধি দিয়ে অনুশোচনা নিয়ে
জাহান্নামের আগুনকে নিভিয়ে দেয়ার জন্য সাদাকার উত্তম নজীর রাখা।
শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে সেহরী,ইফতার,তারাবীহ ও ইফতার পার্টি দিয়েই যেন এই মাস শেষ না হয়,আমাদের ভিতর ও বাহিরকে পরিবর্তন দিয়ে সাজাতে হবে মুমিনের চারিত্রিক গুনাবলী দিয়ে। কথা ও কাজের বাস্তব নমুনা রাখতে হবে।
সুমামা ইব্ন বাজাদ আস্সুলামি তার সম্প্রদায়কে উপদেশ দিয়ে বলেন: “হে আমার সম্প্রদায়, আমি তোমাদেরকে ‘শীঘ্রই করব, শীঘ্রই সালাত আদায় করব, শীঘ্রই সিয়াম পালন করব’ ইত্যাদি কথা থেকে সতর্ক করছি”।
মহান আল্লাহ বলেছেন-
হে নবী ! এদেরকে বলে দাও, পবিত্র ও অপবিত্র সমান নয়, অপবিত্রের আধিক্য তোমাদের যতই চমৎকৃত করুক না কেন। কাজেই হে বুদ্ধিমানেরা ! আল্লাহর নাফরমানী করা থেকে দূরে থাকো আশা করা যায়, তোমরা সফলকাম হবে।
সূরা আল মায়েদাঃ১০০
জীবনের প্রতিটি অংগনে পদচারনা করে খুঁজে খুঁজে নাপাক ও অপবিত্র জিনিষগুলো সরিয়ে ফেলি এখনই। এই রামাদানই হতে পারে আমার জীবনের শেষ সুযোগ। আর কত সময়কে এড়িয়ে নিজেকে সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে ছোট একটি মাটির ঘরের দিকে এগিয়ে চলবো! এখনও কি আরো জানার বাকী রয়েছে!। যা জানলাম তা দিয়ে নিজেকে মহান রবের সামনে সিজদাতে নত হয়ে বলি, হে আমাদের রব ! আমাদের ভুল –ক্রুটিগুলো ক্ষমা করে দাও৷ আমাদের কাজের ব্যাপারে যেখানে তোমার সীমালংঘিত হয়েছে, তা তুমি মাফ করে দাও ৷ আমাদের পা মজবুত করে দাও এবং কাফেরদের মোকাবিলায় আমাদের সাহায্য করো ৷
আলে ইমরান-১৪৭
সবাইকে রামাদান মাসের এই আহবান রেখে ও আমার পরিবারসহ সবার জন্য একইভাবে কাজ করার দোয়া মহান রবের কাছে আপনাদের ইবাদাতের সময় করার অনুরোধ করছি। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন।
বিষয়: বিবিধ
১০৭১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহী খাইরান প্রিয় বোন। আল্লাহ আপনাকে রামাদানের ফায়দা লাভের সুযোগ করে দিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন