সময়ের দাবী-আত্ম-উপলব্ধি
লিখেছেন লিখেছেন মিশু ১১ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:৩৩:১৭ সকাল
আসসালামু’আলাইকুম।
মহান আল্লাহতা’আলার নামে।
আজ উল্লেখ করবো কবি সাহিত্যিক শিল্পিদের জীবনের আমলগুলো কিভাবে প্রশ্নবিদ্ধ এবং অনেক ক্ষেত্রে হারাম পথে পরিচালিত হয়। সাধারন যারা ইসলামের আলোকে চলেন না আমি তাদের দিকে যাচ্ছি না। আমরা যারা মহান আল্লাহতা’আলাকে ভয় পাই ও ভালোবাসি এবং আখেরাতের জীবনের ফলাফলটাই যাদের মূল বিষয় সেইসব ব্যক্তিদেরসহ নিজেকে সংশোধনের জন্যই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। জীবনের সিরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার ক্ষেত্রে মুমিন নারী ওমুমিন পুরুষ সহযোগী। আর এই সহযোগীতা করার জন্য মহান আল্লাহতা’আলা পারিবারিকভাবে কিছু সম্পর্ক তৈরী করার মাধ্যমে দায়িত্ব দিয়ে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আবার কিছু সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য শরীয়তে কিছু কাজ নিষিদ্ধ বা হারাম করে দিয়েছেন।আমি আগামীতে ইনশা’আল্লাহ একজন নারী ও পুরুষের সেই প্রেক্ষাপট তুলে ধরবো।
সাহাবী আজমাঈনদের জীবনের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় তাঁরা আখিরাতের ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস এবং মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ভালবাসার মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানা ওয়াতা’লা ও রাসূল সা: এর প্রতি আনুগত্যের উত্তম উদাহরণ রেখে গিয়েছেন। যার ফলে এই দুনিয়াতে থাকা অবস্থায়ই মহান আল্লাহ তা’লা তাঁদের জান্নাত প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সুবহানআল্লাহ। সাহাবী রা:গণ কিন্তু এত ব্যাখ্যা জানতে চাননি। যখনই কোন বিধান নাযিল হয়েছে তাঁরা “আমরা শুনলাম এবং মানলাম” এই মনোভাব নিয়ে আমল করে গিয়েছেন। মহান আল্লাহ তা’লা বলেছেন:
মুমিনদের বক্তব্য কেবল এ কথাই - যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে তাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তারা বলে: আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। তারাই সফলকাম। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর শাস্তি থেকে বেঁচে থাকে তারাই কৃতকার্য।
সূরা আন-নূর: ৫১-৫২
আমরা অনেকেই ইসলামের পথে আহবান করতে সাহিত্যের আশ্রয় নিয়ে থাকি। অনেকেই এই কাজ শুরুতে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করে থাকেন। কিন্তু শয়তান যখন বুঝতে পারে যে লেখার ও জ্ঞান বিতরনের ফলে অনেকের মাঝে আল্লাহর পথে সাড়া পড়ে যাবে তখন শয়তান সেই লেখক বা লেখিকার পেছনে উঠে পরে লেগে যায়। শয়তান ভালো ভাবেই জানে যে লেখা বন্ধ করা যাবে না,তবে কোন ভাবে যদি এই কাজটাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে একসময় হারাম পথে নেয়া যায় সেই লেখক বা লেখিকার অজান্তেই তাহলেই সে(শয়তান) উদ্দেশ্য হাসিলে জয়ী হয়ে গেলো। হযরত আদম(আ) ও বিবি হাওয়াকে দিয়ে যেভাবে ধীরে ধীরে মহান আল্লাহর নিষেধকেই বাস্তবায়ন করাতে পেরেছিল।
দেখা যায় লেখার কাজ করতে যেয়ে সময় মতো নামাজে উপস্থিত হতে পারেন না। আবার কুর’আন হাদীস নিয়ে চর্চা করার সময় পান না। অনেক ফরয ওয়াজিব লঙ্ঘন করে ফেলেন লেখার কাজে সময় দেয়ার জন্য। এই ধরনের অবস্থা থেকে কি আমরা সাবধান আছি???/ আবার দেখা যায় অনেকে শুধুমাত্র বাহবা/ প্রশংসা ও সমাজে একটি স্থান নিতে হবে এই দিকে ঝুকে যেয়ে মহান আল্লাহর নিষিদ্ধ পথে চলে যান। আবার অনেকে শুধুমাত্র একটু মজা পাওয়ার জন্য নাজায়েজ ভাবে সময় দিয়ে থাকেন।
রাসূলের (সঃ) জীবদ্দসায় মক্কায় সাহিত্য কবিতা ইসলামের সুন্দর আদর্শ তুলে ধরা ও ইসলামের শত্রুদের জবাব দেয়ার জন্য ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেছেন। কিন্তু এখানেও শালীনতা ও শরীয়তের নিয়ম মেনে চলেই তা করতে বলেছেন।
আমার এক কলিগ একদিন অনেক দুঃখ নিয়ে বলছিল যে “আমার স্বামী একটু সাহিত্যিকমনা , সে ফেসবুকে লেখা লেখি করে, এরই মাধ্যমে একজন বান্ধবী মিলেছে, প্রায়ই লেখার বিনিময় ঘটে,এখন আমাকে বলে তুমিতো কিছু বুঝনা, তোমার মধ্যে সাহিত্যের কিছু নাই,সে ঘন্টার পর ঘন্টা লেপটপে সময় দিয়ে যাচ্ছে,আমার সংসারের কাজ আমাকে সামাল দিতে হয়। অফিসে বসে কাজের ফাঁকে লেপটপে যোগাযোগে সময় দিচ্ছে অথচ বাসায় খবর নেয়ার জন্য ফোন দিতে পারে না। সে খুব নামাজী ও কোর’আন পড়ে প্রতিদিন। আমি তাকে বলতে গেলে বলে,তুমি মনটাকে বড় কর,আমিতো প্রেম করছি না। এটা শুধুমাত্র বন্ধুত্ব। এই বলে আমার সেই কলিগ কাঁদতে শুরু করে দিলো”।
আমি নিজেকে প্রশ্ন করি হায়রে সাহিত্যিক, কি হবে এই দাওয়াত দিয়ে যেখানে পরিবারের হক নষ্ট হচ্ছে ও গায়ের মাহরামের সাথে হারাম ভাবে সময় দিচ্ছে?
আমরা অনেকেই মনটাকে বড় ঊদার করার নামে শরীয়তে নিষেধ কাজটা অকপটে করে যাচ্ছি। অথচ মহান আল্লাহ কি জানেন না যে বিজ্ঞান এতো উন্নত হবে যে, যোগাযোগ মাধ্যম এতো সহজ হয়ে যাবে?? মহান আল্লাহ কি জানেন না যে, মানুষের সাহিত্য চর্চা অনেকদূর এগিয়ে যাবে??? সেই মহান আল্লাহই শরীয়তের নিয়ম দিয়ে দিয়েছেন।সেই নিয়ম অনুসরন না করার কারনেই আজ অনেক পরিবারে ভালো কাজের নামে অনেক ব্যক্তি বিভ্রান্ত হচ্ছে।
কোর’আনে মহান আল্লাহ বলেছেন—
তোমরা যেনার নিকটবর্তীও হইওনা। উহা অত্যন্ত খারাপ কাজ, আর উহা অতি নিকৃষ্ট পথ।
সূরা বনী ইসরাঈল: ৩২
আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সা: বলেছেন, আদম সন্তানের জন্য তার ব্যভিচারের অংশ নির্ধারিত করা হয়েছে। সে তা অবশ্যই করবে। দু’চোখ-তাদের ব্যভিচার দেখা, দু’কান-তাদের ব্যভিচার শোনা। জিহবা-তার ব্যভিচার কথা বলা। হাত-তার ব্যভিচার ধরা। পা-তার ব্যভিচার চলা। মন-তা চায় ও আকাঙ্ক্ষা করে। আর গুপ্ত অংগ তাকে সত্য বা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।
মুসলিম: ৬৫৬৪
আল্লাহর রাসূলের পত্নীরা কত উচ্চ মানের চরিত্রের অধিকারী ছিলেন; রাসূল সা: হলেন তাঁদের সরাসরি অভিভাবক, উঁনারা প্রত্যেকেই আখিরাতের জন্য দুনিয়ার জীবনের ভোগ-বিলাস, চাওয়া-পাওয়াকে সীমিত করে রেখেছিলেন; সেই পরিপূর্ণ ঈমানদার, পবিত্রতার অধিকারী ও অতি উন্নত তাকওয়া সম্পন্ন মু’মিনাদেরকেও আল্লাহ কিভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন-
হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। সূরা আহযাব: ৩২
এই আয়াতে “তোমরা সাধারণ নারীদের মতো নও” দ্বারা এ অর্থ বুঝায় না যে, সাধারণ নারীদের সাজসজ্জা করে বাইরে বের হওয়া ও ভিন পুরুষদের সাথে মুক্তভাবে মেলামেশা করা উচিত। বরং এভাবে বুঝার চেষ্টা করুন। এক ব্যক্তি নিজের সন্তানদের বললেন, তোমরা বাজারের ছেলে মেয়েদের মত নও। তোমাদের মুখ দিয়ে গালাগালি করা উচিত নয়। এ থেকে আপনি এটা বুঝবেন না যে, সে কেবল মাত্র নিজের ছেলে-মেয়েদের গালি দেয়াকে খারাপ মনে করে এবং অন্য ছেলে মেয়েদের মধ্যে এ দোষ থাকলে তাতে কোন আপত্তি নেই।
কণ্ঠস্বর হলো হৃদয়ের ভাষ্যকার। গায়ের মাহরামদের(পরপুরুষ) সাথে নরম স্বরে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে, কারণ কারো অন্তর যদি ব্যধিগ্রস্ত হয় তাহলে সেই (আকর্ষণীয়) কণ্ঠস্বর শুনেও যিনার কামনা-বাসনা জাগ্রত হতে পারে।
কত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দেশনা, আজ অনেকে লেখা লেখির মাধ্যমে ,নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে গায়ের মাহরামদের সাথে যেভাবে যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরি করে চলেছেন ,দেখা যায় বিপরিত লিঙ্গের অবস্থান থাকলেই সেখানে একটা আনন্দ অনুভূত হয়। আমাদের সাবধান থাকতে হবে যেন এটা আবার আমাকে মনের যেনার কাছে না নিয়ে যায়। আবার অনেকে যারা শরিয়তের বিধান জানে না তারা উদাহরন হিসেবে এটাকে জায়েয মনে করে অনুসরন করতে থাকে। ফলে একব্যক্তি নিজে ভালো হলেও তাকে অনুসরন করে অনেকেই খারাপ দিকে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে যেহেতু সেই ভালো ব্যক্তিটিও শরীয়ত উপেক্ষা করে যাচ্ছে। শরীয়তের বাইরে চলে কখনো কোন ভালো জিনিষ প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। নারী পুরুষের আলাদা অভিব্যক্তি প্রকাশের জায়গা থাকা দরকার।
আজকাল মোবাইলে এই কথা বলার ফিতনায় পড়ে কত ছেলে-মেয়ের জীবন ধ্বংস হয়েছে তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক পরিবারের স্বামী বেচারা, স্ত্রীকে হারাচ্ছে অথবা অসহায় স্ত্রী, স্বামীকে হারাচ্ছে শুধুমাত্র ফোনে নরম স্বরে কথা বলা বা কোন অনুষ্ঠানে আকর্ষণীয় ভঙ্গিমায় কথা বলা বিপরীত লিঙ্গের যেনার দিকে উত্তেজিত করার মাধ্যমে।
তাই মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের জীবনে সুন্দর স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্যই নরম স্বরে/ইনিয়ে-বিনিয়ে/স্বাভাবিক থেকে একটু ভিন্ন আকর্ষণীয় করে বিপরীত লিংগের সাথে যোগাযোগ নিষেধ করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে নারীরাই অধিক অগ্রগামী বলেই তাদেরকেই সাবধান করা হয়েছে। তাই দেখা যায় মসজিদে জামায়াতে নামায আদায়কালে ইমামের ভুল হলে নারীকে মুখে কোন কথা না বলে শব্দ (এক হাতের উপর অন্য হাত মেরে) দিয়ে ভুল ধরিয়ে দেয়ার নির্দেশনা এসেছে যেখানে পুরুষদেরকে সুবহানাল্লাহ বলে ইমামকে সতর্ক করতে বলা হয়েছে।
রাসূল সা: বলেছেন, আমি আমার পরে এমন কোন মারাত্মক ফিৎনাহ রেখে যাইনি যা পুরুষের জন্যে অধিকতর ক্ষতিকর হতে পারে নারীদের ফিৎনাহ অপেক্ষা। অর্থাৎ আমার পরে সবচেয়ে মারাত্মক ও ক্ষতিকর ফিৎনাই হচ্ছে নারীদের থেকে।
মুসলিম: ৬৭৪৮
রাসুল সা: বলেছেন:
কোন ব্যক্তি পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় যে সব কাজে গুনাহ নেই তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত আল্লাহভীরু লোকদের শ্রেণীভুক্ত হতে পারে না।
তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ
রাসুল সা: বলেছেন: হে আয়েশা! ছোট-খাটো গুনাহর ব্যাপারেও সতর্ক হও। কেননা এজন্যও আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে।
ইবনে মাজাহ
মহান আল্লাহ আমাদের সংশোধিত হয়ে তাঁর পথে সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ করে দিন।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঈমানের জন্যে চরম ক্ষতিকর সাধারণ কিছু অভ্যাস-বিষয় সুন্দর দরদময় ভংগিতে তুলে ধরলেন! মুসলিম হিসেবে অবশ্যই ভাবা উচিৎ আমাদের!
আল্লাহ যেন আমাদের কে সঠিক পথে অবিচল রাখেন-এই দোয়া চাই ভাই!
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান!!
বাস্তবতার আলোকে অমীয়বাণীগুলো দারুন লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। জাযাকিল্লাহ খাই।ি
স্ত্রির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করলে চলবেনা।
লিখালিখি করলে অনেকেই ভালোলাগা জানায় / যোগাযোগ করে সেক্ষেত্রেও শরীয়তের সীমা রক্ষা করে চলতে হবে!]
আপনি কি আমাদের ভিশু ভাই?
আমি একজন আল্লাহর নগন্য বান্দী,মিশু আপু। সুপ্রিয় বোন আমার, আপনাকে ধন্যবাদ ।
শরীয়তের নিয়ম সব জায়গাতেই প্রযোজ্য। ইসলামে নারী পুরুষের অবাধ (গায়ের মাহরাম) যোগাযোগ নিষিদ্ধ করে সমাজ ও পরিবারের শান্তি বিরাজ করার জন্য। প্রয়োজনীয় যোগাযোগ স্বাভাবিক নিয়মে (কোনরকম আবেগমাখা কথা যা বিপরীত লিঙ্গকে দূর্বল বা আকর্ষিত করতে পারে তা ছাড়া ) করা যেতে পারে, কিন্তু মূলত বিনোদনের জন্য বা প্রয়োজন ছাড়া যোগাযোগ শরীয়ত অনুমতি দেয় না। আল্লাহ আমাদের বুঝার মন দিন। নীচে একটি প্রশ্নের উত্তর দিলাম যা শরীয়া বোর্ড থেকে নেয়া।
102418: Some forums may lead to fitnah between the sexes
Praise be to Allaah.
In some Islamic forums there is a section for amusement. It normally contains funny and rare issues. Its aim is to amuse the members. It is run by good brothers and sisters, we think they are good and Allah knows best.
We noticed in some forums, especially in this section, that men and women started to mix together and use expressions like “ha ha ha” and “may Allah please you”. In addition to some funny pictures that does not oppose Islam like children in funny situations or pictures of the nature that contain some funny aspect, and using the expressional faces (emotions) in titles and replies. Also the kind of subjects they discuss together, we think that it can open a door of fitnah.
We suggest some limits to be ruled on forums, especially this amusing section. We suggest that it should be only for brothers, not sisters, although the sisters will be able to read all was typed on this section, but will not be able to share or reply. Knowing that there is no ways we can know if the participant is a brother or a sister, as we do not have but the name.
Is there any way by which we can control this section in forums? Whether by allowing only specific subjects, or specific replies on these subjects, or by making it for only one sex? Knowing that everyone will be able to read what is written in this section even the unregistered guests.
Is there any specific subjects you suggest that are Islamic and at the same time achieving the aim of this section which is amusing these good brothers and sisters. Or it is better if we just block this section if it is a door of fitnah? What do you advise us to do?.
Praise be to Allaah.
Most of what happens in so called amusement forums is carelessness and a lack of control over posts and comments, because both men and women participate in these forums. This is undoubtedly a door to fitnah, so people may be impressed or attracted, then try to get in touch via e-mail and the like. Hence we think that this door should be closed, and the amusement forum should be restricted to men, and another forum should be set up for women only for the same purpose, if there is a need for that.
If a man tricks the participants in the forum and enters as if he is a woman (or vice versa), then the sin of that lie is borne by him alone. There is no sin on you, in sha Allaah, so long as you have announced clearly that it is not allowed for women to take part in the men’s forums or for men to take part in the women’s forums.
And Allaah knows best.
Islam Q&A
মন্তব্য করতে লগইন করুন