সময়ের দাবী –আত্মউপলব্ধি
লিখেছেন লিখেছেন মিশু ০৫ মার্চ, ২০১৫, ০৯:০৯:৪৬ রাত
মহান আল্লাহই তাঁর রাসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্য দ্বীন সহকারে পাঠিয়েছিলেন এবং একে অন্যান্য সকল মতবাদের উপর বিজয়ী করেই উম্মতকে সাক্ষী রেখে, দায়িত্ব হস্তান্তর করেই মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে এই পৃথিবী থেকে চলে গিয়েছেন। মহান আল্লাহ তাঁর আলোকে(ইসলাম) প্রজ্বলিত করবেনই ,যতই বাতিল শক্তি তা নেভাতে চাক না কেন। (সূরা তওবা৩২-৩৩ এর আলোকে)
রাসূল(সঃ) চারটি ধাপে এই কাজ করেছেন। ১ম। কুরআন (আয়াত) পরে শুনিয়েছেন, ২য়। যারা গ্রহন করতে চেয়েছেন তাদের সংঘবদ্ধ করে জীবনকে সেই কুরআনের আলোকে পরিশুদ্ধ করেছেন ৩য়। হিকমাত ও প্রজ্ঞা শিখিয়েছেন ৪। অহীর জ্ঞানের শিক্ষা দিয়েছেন।
আমার অন্তরকে প্রশ্ন করি,আমি কি আমার ব্যক্তি জীবনে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি নফস ও সমাজের অন্য মত বা চাওয়া পাওয়ার উপরে????? আমি ধীরে ধীরে প্রতিটা অংগনে প্রশ্ন রাখবো কিন্তু প্রথমে নিজেকে যাচাই করি। কারন আমার দেহ থেকে যখন রুহ বের হয়ে যাবে তখন সেই মুহুর্ত থেকে আমার পরিচয় হয়ে যাবে লাশ বা মুর্দা এবং আমাকে তাড়াতাড়ি কবরে শুইয়ে দিয়ে আসার জন্য ব্যস্ত হয়ে যাবে-এটাই বাস্তবতা।কিন্তু আমার সাথে কি যাবে????
রাসূল(সঃ) আমাদের আদর্শ। বর্তমান সমাজের সাথে তুলনা করে নিজেকে ভালোর কাতারে নিয়ে আসার মধ্যে সাময়িক পরিতৃপ্তি আসতে পারে কিন্তু মহান আল্লাহর খাতায় রাসূলের উম্মত হিসেবে নাম উঠেছে কিনা তা প্রশ্নের অবতারনা করে। আজ আমরা নানা ভাবে ইসলাম প্রচারের কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু সত্যিকারের একজন আমলদার দাঈ পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাড়িয়েছে। । আজ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে গিয়ে নিজেদের জীবনে ভারসাম্যহীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
মনে পড়ে একটি গান-আজ যত প্রয়োজন গান গজলের, আজ যত প্রয়োজন শিল্পীর, তারো চেয়ে প্রয়োজন সংগ্রামী আর সিংহ সাহসী কর্মীর।
রাসূল(সঃ) বলেছেন-“আল্লাহতায়ালা বলেন,হে ইবনু আদম! তুমি নিজেকে আমার ইবাদাতের জন্য মুক্ত করে দাও,আমি তোমাদের বক্ষকে ঐশ্বর্য ও অভাবহীনতা দিয়ে পূর্ণ করে দিবো। তোমার দারিদ্র ও অভাব দূর করে দিবো। আর যদি তা না করো তবে আমি তোমার অন্তরকে ব্যস্ততা দ্বারা পূর্ণ করবো এবং তোমার দারিদ্র দূর করবো না।(তিরমিযী)
রাসূল(সঃ)এর দেখানো মূল নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোনদিন সমাজতো দূরে নিজের জীবনেও ইসলাম কায়েম হবে না।
আজ অনেক ক্ষেত্রে ঈমানদারদের শয়তান ভালো কাজ করতে বাধা দেয় না কারণ সে জানে ঈমানদার ব্যক্তি ভালো কাজ করবে কিন্তু সেই কাজটাকে কিভাবে আল্লাহর কাছে বাতিল করানো যায় সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে। তাই ভালো কাজ গ্রহন যোগ্যতার জন্য অবশ্যই দুটি শর্ত লাগবে যা ছাড়া ভালো কাজ আমার কবরে/আখেরাতে কোন কাজে আসবে না। দুনিয়াতে একটু বাহ বাহ বা তৃপ্তি পেতে পারি।
হে ঈমানদাররা, আল্লাহকে ভয় করো৷ আর প্রত্যেককেই যেন লক্ষ রাখে, সে আগামীকালের জন্য কি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ৷ আল্লাহকে ভয় করতে থাক ৷ আল্লাহ নিশ্চিতভাবেই তোমাদের সেই সব কাজ সম্পর্কে অবহিত যা তোমরা করে থাক ৷
তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা আল্লাহকে ভুলে যাওয়ার কারণে আল্লাহ তাদের নিজেদেরকেই ভুলিয়ে দিয়েছেন৷তারাই ফাসেক৷—সূরা হাশর ১৮-১৯
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
বিষয়: বিবিধ
১০৬১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন