সময়ের দাবী-- আত্মউপলব্ধি

লিখেছেন লিখেছেন মিশু ০৪ মার্চ, ২০১৫, ০১:০৮:৩৫ দুপুর

মুহাম্মদ (সাঃ) এর মূল দায়িত্ব ছিল ইসলাম প্রচার। তাঁর পেশা-নেশা ছিল একটাই – মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা। সাধারণ মানুষের জন্য যখন পেশাটা নেশা হয়ে যায় তখন তার দিন-রাত থাকেনা। কিন্তু মুহাম্মদ(সাঃ) দেখিয়ে গিয়েছেন কি ভাবে ভারসাম্য আনতে হয়। তাঁর তাই দিন এবং রাত ছিল এবং আলাদা আলাদা ভাবেই ছিল। তিনি ইশার সলাতের পর কথা বলতে অপছন্দ করতেন। যার কাজই ছিল মানুষকে ডাকা সেই তিনিই তখন ওয়াজ করতেননা, ঘুমিয়ে পড়তেন। ইশার পর তিনি সমাজ থেকে মুখ ফিরাতেন পরিবারের দিকে, নিজের দিকে। শেষরাতে উঠে আল্লাহকে ডাকতেন। তিনি বুঝেছিলেন মানুষকে ডাকা তাঁর দায়িত্ব; আর আল্লাহকে ডাকা তাঁর সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য। আমাদের অস্তিত্বের একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদাত করা। মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা সে ইবাদাতের অংশ। কিন্তু শুধু অন্য মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকবো সেজন্য আমাদের সৃষ্টি করা হয়নি। পৃথিবীতে যত মানুষ আদর্শ প্রচার করে তাদের সবার উদ্দেশ্য অন্যদের নিজেদের মত ও পথের অনুসারী করে তোলা। কিন্তু একজন মুসলিম নিজের দলে ভেড়ানোর জন্য মানুষকে ডাকেনা। সে মানুষকে ডাকে কারণ আল্লাহ তাকে আদেশ দিয়েছেন ।

প্রত্যেকটা মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে। শুধুমাত্র তারাই বেঁচে গেছে যারা নিচের চারটা কাজ করতে পেরেছে –

প্রথম কাজঃ ঈমান আনা।

দ্বিতীয় কাজঃ সৎ কাজ করা – আল্লাহ এবং তাঁর রসুল সৎ কাজ হিসেবে যা ঠিক করেছেন সেগুলো, আমি যেগুলোকে সৎ কাজ হিসেবে ঠিক করেছি সেগুলো নয়।

তৃতীয় কাজঃ ইসলামের পথে দাওয়াত দেয়া, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার সাথে।

শেষ কাজঃ অন্যদের ধৈর্যের প্রতি আহবান জানানো – প্রথম তিনটি কাজ করতে গেলে যে বিপদ আসবে সে সময় আল্লাহর উপর ভরসা করে ধৈর্য ধরা।

আজ আমাদের অন্তরকে প্রশ্ন করে দেখি---আমরা রাসূলের উম্মত হয়ে কাউসারের পানি পান করার উপযুক্ত হতে কোন পথে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি ????

বিষয়: বিবিধ

৮৯৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

307258
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:৫৮
শেখের পোলা লিখেছেন : রসুল সঃ এর শেষ চেষ্টা ছিল ইসলামিক রাষ্ট্র কায়েম করা যা 'অ রব্বেকা ফা কাব্বের' করার একমাত্র উপায়৷ ধন্যবাদ৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File