সরকারের মিথ্যাবাদী দুই মন্ত্রী
লিখেছেন লিখেছেন অপলা অতসী ১২ জানুয়ারি, ২০১৫, ১২:৪৫:৫০ রাত
অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই মিথ্যাবাদী। একথা মানুষ বার বার বলে আসেছে। নতুন করে তা আবারো প্রমাণ করলেন সরকারের দুই আবাল মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বলতে পারেন একথা কেন বলালাম, একথা বলার একটাই কারন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম থালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে বালুর ট্রাক, ইটের খোয়া ভেঙ্গে ট্রাক ভর্তি করে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এটা দেশবাসী জানে। সবশেষ কার্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিএনপি দাবি করছে, বেগম জিয়াকে বালুর ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকেও স্পষ্ট করা হয়নি, তিনি অবরুদ্ধ না অবস্থান করছেন।
সরকারের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ঠাট্টা করে বলেছেন,খালেদা জিয়া আহত হওয়ার ভান করেছেন এবং বাড়ি মেরামত করার জন্য বালি ও ইট-বোঝাই ট্রাক নিয়ে এসেছেন। তিনি চালাকি করে এই সময়ে এগুলো এনেছেন। আবার আরেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিবিসিকে বলেছেন, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা যাতে কোনক্রমেই বিঘ্নিত না হয়, সেজন্যেই তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন যে, গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য ছিল তার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
বালুর ট্রাক মানুষের ১০০% নিরাপত্তা দিতে পারে কিনা তা আমার জানা নেই। ডিজিটাল সরকার নিরাপত্তা দিতে অ্যানালগ পদ্ধতি গ্রহণ করছেন কেন?দেশের গণমাধ্যমের কারণে ভিডিও ফুটেজ দেখে জনগণ কি বুঝেছে? নিরাপত্তা দিয়েছেন না অবরুদ্ধ রেখেছেন তা স্পস্টই বুঝেছে। সরকার ও তার মন্ত্রী মহোদয়গণ জনগণকে এতো বোকা ভাবতে পারলেন কি করে?
আজকের এই পরিস্থিতির পেছনে রয়েছে ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত এক ঐতিহাসিক নির্বাচন। এ নির্বাচনটি ইতিহাসের পাতায় যত্ন সহকারে সংযুক্ত থাকবে। ওই নির্বাচনকে বৈধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য ও গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হয়েছে। ঠিক একবছর পর দেশের প্রধান দুই দল ৫ জানুয়ারিকে কালো দিবস ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করছে।
এ নিয়ে দেশ উত্তপ্ত। গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে সরকার বিরোধী পক্ষকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা হয়রানী মামলা দিয়ে জেলে পাঠাচ্ছে। দেশের জেলগুলোর ধারণক্ষমতাও ওভার হয়ে গেছে।
কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষোড়শ প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের গণতান্ত্রিক সরকারের অবয়ব যে কেমন হবে, তা অল্প কথায় অত্যন্ত সুন্দরভাবে দৃঢ় অঙ্গীকারের সঙ্গে ব্যক্ত করেছেন। গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল।
আব্রাহাম লিঙ্কনের গণতান্ত্রিক সরকারের নতুন রূপ হয়ে গেল এ রকম- গভর্নমেন্ট অব দ্য বালুর ট্রাক, বাই দ্য বালুর ট্রাক, ফর দ্য বালুর ট্রাক। এই রূপান্তরের কথা শোনার পর থেকে অনুমান করি, আব্রাহাম লিঙ্কন কবরে শুয়ে শুয়ে নিরালায় কেবল অশ্রু বিসর্জন করছেন।
বিষয়: বিবিধ
৯৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন