খাদিজা আমার বোন, আমার বোনের প্রতি অন্যায়কারী বদরুলের শাস্তি চাই

লিখেছেন লিখেছেন আমিনুল হক ০৭ অক্টোবর, ২০১৬, ০৫:৫২:৫৯ বিকাল



খাদিজা আক্তার নার্গিস এই মূহুর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত নাম বটে। জীবন-মূত্যুর সন্নিকটে লড়ছে বোন খাদিজা। তার এই অবস্থার জন্য দায়ী প্রেমিক নামের কাপুরুষ বদরুল। সবার সাথে আমিও তার শাস্তি কামনা করি, তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দেওয়া হোক, যাতে এই রকম ঘটনা আর বাংলাদেশে না ঘটে।

এতদিন ধরে আমি শুধু দেখছিলাম, কে কি বলেন আর ভাবছিলাম কত বিচিত্র আমরা, আজকে আমি সব কিছু নিয়ে বিস্তারিত লিখলাম।

"প্রেম মানেনা বাধন, পায়না কোন ভয়

সব কিছু পিছনে পেলে করতে হবে প্রেমের জয়,

যদি না পাই আমি তারে, তার সুখের জন্য

মোর জীবন দিব বির্সজন, করব প্রেমের জয়"

এই স্লোগান এর অর্থ সবাই বুঝবেন। সত্যিকারের প্রেমের স্লোগান হল এটাই। কিন্তু বদরুল তার উল্টো চলে গেল।

খাদিজার সাথে বদরুলের ৫বছরের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। খাদিজা বদরুলকে এখন আর চায় না তাই এড়িয়ে চলা শুরু করে, আর বদরুল তার ভালবাসার মানুষকে ভুলতে না পেরে জোর করে আদায় করার চেষ্টা করে কিন্তু যখন সেই রাস্তায় গিয়ে কাজ হলনা তখন খাদিজাকে চিরতরে শেষ করে দিবে বলেই অমানুষের মত চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে। বদরুলের মনে তখন হয়ত নিচের স্লোগানটাই বার বার মনে পড়ছিল।

"প্রেম করলাম অনেকদিনে

ভালবাসলাম তোমাকে,

এখন তুমি আমায় ভুলে গেলে

মেরে ফেলব তোমাকে"

সত্যিকারের প্রেমিক যারা তারা কখনও ভালবাসার মানুষকে আঘাত দিবে না বরং নিজেই ভালবাসার মানুষের সুখের জন্য দূরে চলে যাবে। কিন্তু বদরুল একটা নরপশু, সত্যিকারের প্রেমিক না, যদি সত্যিকারের প্রেমিক হত এমন নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করত না।

এমসি কলেজ সিলেটের একটি নামিদামী কলেজ। খাদিজাকে যখন বদরুল কুপাচ্ছিল তখন ওখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে যারা ভিডিও করছিল বা দেখছিল ওরা অমানুষ ছাড়া মানুষ হতে পারেনা। আর যদি বলেন ওরা ছাত্র ছিল, তাহলে বলব কেমন ছাত্র? কারন স্কুলে স্যাররা বার বার বলেন অন্যকে বিপদে সাহায্য কর, অন্যায়ের প্রতিবাদ কর, অসহায় এর পাশে দাড়াও। যদি তখন একজন মানুষই এগিয়ে আসত তাহলে আজ বোন খাদিজকে এইভাবে মূত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে হত না। যদি পরে ইমরান (মুসাফির) এগিয়ে না আসত তাহলে হয়ত বোন খাদিজা ওখানেই মারা যেত, আর এমসি কলেজের সবাই ভিডিওই করত। আসলে ইমরানতো এমসি কলেজে পড়েনা তাই সাহায্য করেছে, অসহায়ের পাশে দাড়িয়েছে।

দুনিয়াতে সবাই সার্থপর। আর রাজনীতি যারা করেন তাদেরতো কথাই নেই। সার্থের জন্য নিজের বাবাকেও মিথ্যাবাদী বলতে দ্বিধা করবে না। রাজনীতি বিদদের চাই একটা ইস্যু মাত্র যার উপরে ভর করে উপরে উঠতে মরিয়া হয়ে থাকেন। আর নিজেকে সবার কাছে মহান করার জন্য বড় বড় কথা বলবে আর বর্তমানে নিজের ফেসবুকের পেইজে বড় বড় স্টাট্যাস দিচ্ছেন। তাইতো মূত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া বোন খাদিজাকে নিয়েও রাজনীতি করছেন। বর্তমানে ছাত্রলীগ বলছে বদরুল ছাত্রলীগ না, কারন তারা মিথ্যা বললে বাংলার মানুষ বিশ্বাস করবে আর ছাত্রলীগকে সবাই ভাল বলবে, অপরদিকে ছাত্রদল বলছে বদরুল ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী। সবাই রাজনীতির ব্যান্যার নিয়ে প্রতিবাদ করছেন। কেউ কি বলতে পারবেন যে খাদিজা আমার বোন, আমি আমার বোনের প্রতি অন্যায়ের বিচার চাই। আমি বলছি

"খাদিজা আমার বোন, আমি আমার বোনের প্রতি অন্যায়ের বিচার চাই, বদরুলের শাস্তি চাই"

বদরুল হউক ছাত্রলীগ, তাতে কি হয়েছে তার আগে বদরুল একজন মানুষ, বাংলাদেশের নাগরিক। আপনারা রাজনীতি নিয়ে বিশ্লেষন না করে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদ করুন। আমরা চাই বদরুলের শাস্তি, বোন খাদিজার প্রতি অন্যায়ের বিচার। আসুন সবাই মিলে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে বদরুলের শাস্তি চাই।

বিষয়: বিবিধ

১৪২০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

378443
০৮ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১১:৫৯
হতভাগা লিখেছেন : বদরুল ছাত্রলীগের নেতা বলেই এ কাজ করতে সাহস পেয়েছে । কারণ সে জানে যে এ কাজের জন্য তার বিচার হবে না , বড় জোড় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করবে (সামনে মনে হয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল আছে )।

আজ যদি জামায়াত-বিএনপি বদরুলকে কোপালত তাহলে কি ছাত্রলীগ তাকে অস্বীকার করতো ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File