পহেলা বৈশাখ তুমি কার ?
লিখেছেন লিখেছেন আমিনুল হক ১৪ এপ্রিল, ২০১৫, ১২:৪৪:০৯ দুপুর
গত রবিবার গ্রামের বাড়ী থেকে আসলাম। দেশের হাওড়াঞ্চল খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলায় আমার বাড়ী। তাই নাড়ীর সাথে মিশে আছে ধান। আর এই নতুন ধান তোলাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি।
কিন্তু গ্রাম থেকে আসার সময় দেখে আসলাম নতুন ধান তোলা নিয়ে গ্রামের মানুষের কি আকুলতা। বিগত কয়েকটি মাস ধরেই গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ ওয়াজ-মাহফিল জলসায় চোখের জলে বুক ভাসিয়ে নতুন ধান তোলার জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করেছে। কিন্তু বৈশাখ আসতে না আসতেই শীলা বৃষ্টিতে পাকা ধানের ক্ষতির ফলে অনেক কৃষকের মাথায় হাত। আর অনেক মানুষ নতুন ধান তোলার জন্য প্রানান্তকর চেষ্টা করছে। ধান কাটার যথেষ্ট লোক (নাইয়া) না থাকায় অনেক কৃষককে চড়া টাকা দিয়ে ধান তোলার চেষ্টায় ব্যাস্ত কৃষক সমাজ। এখনও চুড়ান্ত পর্যায়ে ধান তোলা শেষ হয়নি। মাত্র শুরু হয়েছে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ইলিশ-পান্তার নামে বেহায়াপনা ও অশ্লীলতায় ব্যাস্ত শহুরে বিত্তশালী সমাজ। তারা নানা রং-বেরঙ-এর কাপড় পড়ে বৈশাখের উৎসবে মেতে উঠেছে। ইতিহাস থেকে জানা যায় কৃষকের নতুন ধান তোলার সাথে সংশ্লিষ্ট হল বৈশাখের সংস্কৃতি। গ্রামের কৃষক যদি নতুন ধান তুলতেই না পারে তাহলে এই উৎসব কার স্বার্থে।
তাই মন থেকে প্রশ্ন উঠে পহেলা বৈশাখ তুমি কার?
কিন্তু না কোন জবাব নেই। শহুরে শিক্ষিত সমাজ কৃষকের কষ্টার্জিত ধান থেকেই তাদের ক্ষুধা নিবারন করে। কিন্তু একদিনের বাঙ্গালী সেজে পান্তা-ইলিশের নোংড়া সংস্কৃতিতে মেতে উঠে তারা কৃষকের সাথে উপহাস করে। আর শুধু তাই না পহেলা বৈশাখের নামে বেহায়াপনা-পাপাচারের ফলে নেমে আসে আসমানী গজব। আর এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাংলার কৃষক সমাজ। আর যদি এব্যাপারে কেউ কথা বলে তাহলে তাকে মৌলবাদী ও জঙ্গী বলে হেনস্থা করা হয়ে। যে যাই বলুক তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। আমি আমার রবের গজবকে ভয় পাই তাই বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা থেকে দুরে থাকি। আমি আমার কৃষককে ভালবাসি, তাই তাদের কষ্টের সোনালী ফসল ঘরে না উঠা পর্যন্ত কথিত বিকৃত সংস্কৃতির জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিতে পারিনা।
তাই কাউকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাতে পারলাম না বিধায় দুঃখিত।
আল্লাহ আমাকে সহ সবাইকে প্রকৃত সত্য অনুধাবন করে তা অনুযায়ী আমলের তৌফিক দান করুন। আমীন।
লিখেছেন: বড়ভাই এমজেএইচ জামিল
বিষয়: বিবিধ
১৫১৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহ খাইরান ।
তার কাছে এই বৈশাখ এর কি আবেদন আছে।
এইতো চরক পূজারী কলকাতার হিন্দুদের বৈশাখ ।
এইতো সেই বৈশাখ ।শিরক বিদাআতের বৈশাখ ,ধনী গরীব বৈষম্যের পহেলা বৈশাখ ।পান্তা ইলিশের বৈশাখ ,মূর্তি পূজার বৈশাখ ।এই বৈশাখে কেউ হাজার টাকা দামের ইলিশের মাথা খাবে কেউবা আবার আলুভর্তা আর ডাল !আহা কি আনন্দের বৈশাখ !
মন্তব্য করতে লগইন করুন