নারীদের পর্দা ও আল্লাহর বিধান
লিখেছেন লিখেছেন আমিনুল হক ১১ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৪:০৩:২৭ বিকাল
নারীদের জন্য পর্দা করা ফরজ।
নারীদের প্রকৃত সৌন্দর্য ই হল পর্দার অন্তরালে।
ফুল যেমন বাগানের ভিতর শোভা পায়,ববন্যপ্রাণী যেমন বনের ভিতর শোভা পায়,শিশুকে যেমন তার মাতৃকুলে শোভা পায়, ঠিক তেমনি নারীকে পর্দার অন্তরালে শোভা পায়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,অর্থাৎ হে নবী আপনি আপনার স্থ্রীদেরকে,কন্যাদেরকে ও মুমীন নারীদের কে বলিয়া দিন,তারা যেন তাদের চাদরের একাংশ মাথার উপরে ঝুলিয়ে তাদের মুখের উপরে ঠেনে দেয়।এতে তাদেরকে চেনা সহজ ও হবে,যার জন্য তাদেরকে উক্তাক্ত করা হইবেনা।আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু।"
হাদিসে এসেছে যে,এই আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর মুসলিম নারীরা মুখমণ্ডল সহ গোটা দেহ এমন ভাবে ঢেকে বের হইতেন যে,দেখার জন্য শুধু একটি চুখ খুলা রাখতেন।
এতে প্রমাণিত হল যে,ফেতনার সময় মুখমণ্ডল ও ঢেকে রাখা স্বাধীন নারীগণের জন্য অত্যান্ত জরুরি। একান্ত ঠেকাবশতঃ দাসী দের জন্য তা জরুরি নয়। কারণ এতে তাদের কাজকর্মের মধ্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। পুরুষ এবং নারীদের দেহের সেই অংশ যাকে আরবিতে আওরাত এবং উর্দুতে সতর বলা হয়। তাহা সকলের কাছে গোপন করা শরীয়তগত,স্বভাবগত ও যুক্তিগত ভাবে ফরজ।
সৃষ্টির শুরু থেকে তাহা ফরজ এবং সকল নবীদের শরীয়তে তাহা ফরজ ছিল।
সহীহ বুখারীতে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) এর বর্ণনায় মুতা যুদ্দের অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যে, হযরত যায়েদ ইবনে হারেসা, জাফর ও আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাঃ)এর শাহাদাতের সংবাদ যখন মদীনায় পৌছে, তখন রাসুল (সাঃ) মসজিদে উপস্থিত ছিলেন।তার চুখে মোখে তীব্র দুঃখ ও কষ্টের চিহ্ন পরিস্ফুট ছিল।হযরত আয়েশা (রাঃ)বলেন, আমি ঘরের ভিতর থেকে,দরজার এক ছিদ্র দিয়ে এই দৃশ্য অবলোকন করেছিলাম।"
এ থেকে প্রমাণিত হয় যে,আয়েশা (রাঃ) এই সংকট ময় মুহুর্তে ও বোরখা পরিধান করতঃবাইরে এসে যোগদান করেননি।বরং ভিতর থেকে সভাস্থল পরিদর্শন করেন।
আল্লাহু আকবার,আজ আমাদের পর্দার অবস্থা কি?
অনেক আছেন,পর্দা করেন মুখমন্ডল ব্যতিত।উনারা বলেন,মুখ পর্দার ভিতরে নয়।
আচ্ছা,তাহলে বলুন তো,যখন কোন মেয়েকে কনে দেখার জন্য বর আসে,তখন ওই মেয়ের কোন অংগ দেখে?
যখন কোন ছেলে কোন মেয়ের প্রেমে পড়ে,ছেলেটি মেয়ের কোন অংগ দেখে পাগল হয়।
আজ আমাদের বোনেরা কলেজে বের হয়,মার্কেটে বের হয় মুখ খুলা রেখে বের হয়।আবার কোন ছেলে যখন উনার দিকে থাকায়,তখন সে হয়ে যায় লুচ্ছা।আচ্ছা কোন প্যাকেট এর মধ্যে যদি শুটকি থাকে, আর ওই প্যাকেট এর মুখ খুলা রেখে যদি বিড়ালকে বলা হয়,এই বিড়াল তুমি ওই শুটকির দিকে থাকাবেনা,তাহলে বিড়াল ওই আইন কি মানবে?
আর ইসলামে নারীদের বলা হয়েছে,বোরকা পরিধান করে বের হতে,সেই বোরকা হবে এমন ধরণের,যার দিকে পুরুষের আকর্ষণ হয়না।আজকাল এমন বোরকা পরে মেয়েরা
,যে পুরুষ ওর দিকে চাওয়ার কথা ছিলনা,সেও না চেয়ে পারবেনা।তারপর বোরকার উপর কাটিং করে আরো কতেক স্টাইলিশ পরা হয়, আললাহু আকবার -রাস্তা ঘাটে চল কঠিন হয়ে পড়ে।
তিরমিযী শরীফে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)এর বর্ণনায় রাসুল(সাঃ) বলেন,অর্থাৎ-নারী যখন গৃহ থেকে বের হয়,তখন শয়তান তাকে তাক করে নে (অর্থাৎ, তাকে অনিষ্ট সাধণের উপায় হিসেবে গ্রহণ করে)।
আজ আর থাক,আরো অনেক কিছু লিখার ছিল।আরেকদিন লিখবো,ইনশাআল্লাহ।
হে নারীরা, পরকালকে ভয় করো।প্লিজ শরীয়ত সম্মত ভাবে পর্দা করো।স্কুল কলেজে পড় বাধা নেই,দয়া করে পর্দার সহিত যাতায়াত কর।
সাধারণত একটা কথা চিন্তা করো,পর্দার সহিত বের হলে লুকেরা তুমাকে যে সম্মান করে,বেপর্দার সহিত বের হলে সে সম্মান পা কি না?
সুতরাং পর্দা করলে আল্লাহর বিধান ও পালন হল,আর সম্মানের সহিত যাতায়াত ও করতে পারলে।
আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন,ও হেদায়েত দান করুন,,, আমীন
লেখকঃ হাফিজ আবু বক্কর সিদ্দিক
বিষয়: বিবিধ
২১৮৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন