একটি মৃত্যু তার পরবর্তী শোক ও তামাশা
লিখেছেন লিখেছেন মুসলিম বাঙালী ২৫ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৯:২৬:৩০ সকাল
স্বরুপে হাসিনা
শোকে মুহ্যমান এক নারীর কাঁটা গায়ে নূনের ছিটা দিতে ডাইনির আগমন।বাংলাদেশের ১৬কোটি মানুষ বিশ্বাস করে হাসিনা কখনো খালেদার সুখে আনন্দিত হবে না তেমনি খালেদার বিপদে হাসিনার উল্লাস প্রকাশের চরম বাস্তবতা।খালেদার ঘাঁ তে আঘাত দেয়ার জন্য হাসিনা মোক্ষম সময় বেছে নিয়েছে। পাগল ও বিশ্বাস করবে না যে কারো জন্য একদিকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া পাকাতে পারে এবং যার সাঙ্গপাঙ্গরা কারাগারে পাঠাতে মুখিয়ে আছে কেউবা একধাপ এগিয়ে ফাসি পর্যন্ত দিতে চায় সে তার জন্য সমবেদনা প্রকাশ করতে যেতে পারে। হাসিনা নাটক করতে গিয়েছিল।খালেদার শোকের মাতমে হাসিনা ঢোল তবলা নিয়ে যাচ্ছিল।পিএসকে খালেদার অসুস্থতার কথা জানানোর পরেই নাটকের মোক্ষম সময় আসে। ধিক্কার সৈরতন্ত্রের নর্তকীকে।
স্যালুট বিএনপি থিংকট্যাংকদের যেই চৌকাট পাড় হতে গিয়ে খালেদা জিয়া দুই দুইবার বাধা প্রাপ্ত হয়েছে,যেই চৌকাট না মাড়াতে পারার ব্যর্থতার আবৃত্তে আটকে গেছে মানুষের গনতান্ত্রিক,নাগরিক,ভোটের অধিকার, যেখানে পিষ্ঠ হচ্ছে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব,যে চৌকাঠ পাড় হতে না পারার ব্যর্থতায় দীর্ঘ হয়েছে মজলুমের লাশের সাড়ি,দীর্ঘ হয়েছে গুলিবিদ্ধ খোকার মায়ের প্রতীক্ষার প্রহর সেই চৌকাঠ মাড়াতে না দেওয়ার জন্য।
বিষয়: বিবিধ
১২৫২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলার জনপদের প্রতিটি আনাচে কানাচে সর্ব শ্রেণীর মানুষের বিপদে আপদে যিনি সমস্ত ব্যস্ততা এক পাশে রেখে তাদের কাছে ছুটে যান, তারই অংশ হিসেবে, বিশেষ করে এক জন মা হিসেবে, তারই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী পূত্রের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত খালেদা জিয়াকে দেখতে যান, অথচ তাকে কিনা কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয় নি, চরম ধৃষ্টতা! তিনি আজো বুঝাতে পারলেন না, রাজনীতির মাঠে শত্রু হলেও খালেদা কে কতটা ভালবাসেন!
সুপ্রিয় পাঠক, বিপদে পাশে দাঁড়াতে গিয়ে হাসিনার অপমানিত হওয়া দেখে আপ্নারা আবেগে আপ্লুত। আপনাদের মূল্যায়নঃ ' কাজটা ভাল করেন নি, গেইট খোলা রাখা উচিত ছিল, প্রধানমন্ত্রী বলে কথা'।
আসলেই কি তাই? কাল না হয় পূত্র শোকে মুহ্যমান ছিল। যখন টানা দু সপ্তাহ বন্দী করে রাখা হল, বেঁচে থাকার খাবারটা পর্যন্ত ঢুকতে দেয়া হয় নি, তখন কোথায় ছিল মানব হিতৌষী শেখ তনয়ার মানতাবোধ? কোথায় থাকে এত দরদ?
দরদ কোন কালেই উনার ছিল না। দরদ থাকা ডাইনীদের মানায় না। ওদের ডাইণি রুপ আড়াল করার জন্য বহুরূপী বৈশিষ্টের প্রয়োজন হয়। যখন যেখানে যে রুপে আভির্ভূত হওয়া দরকার সেভাবে আভির্ভূত হয়। আমাদের হাসিনা বুবু তেমনি একজন!
মনে আছে, এই হাসিনাই খালেদাকে ঈদের আগের দিন এক কাপড়ে ঘর থেকে বের করে দেয়, আবার কিছুদিন পর নিজের বাসায় খালেদাকে দাওওয়াত করে তার আসার অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ খাবার নিয়ে অপেক্ষা করে ? মনে করুন, বুঝতে পারবেন। কল্পকাহিনীর ডাইনী রুপ দেখতে চাইলে বাস্তবের হাসিনাকেই দেখে নিন। তার মাঝেই খুঁজে পাবেন গল্পের ডাইনীকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন