সমকালীন রাজনীতির অন্তর্দ্বিধা
লিখেছেন লিখেছেন মুসলিম বাঙালী ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:২২:৩৪ সন্ধ্যা
রাজনীতির নাকি দুটি অর্থ এক. রাজার নীতি,দুই. নীতির রাজা।
রাজার নীতি হলো প্রজাদের কল্যাণে বা রাজার স্বার্থসিদ্ধি লাভের উদ্দেশ্যে রাজা কর্তৃক নির্ধারিত শাসন সম্বলিত বিধান।
রাজব্যবস্থা বিলোপের ফলে এই অর্থের ও কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।
কিন্তু রাজনীতি কি নীতির রাজা?
প্রচলিত অর্থে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য সংঘবদ্ধভাবে নির্দিষ্ট আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিজেদেরকে প্রশিক্ষিত করে জনমত তৈরি করার মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করার নীতি।
বিশ্ব রাজনীতি
বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান হালচাল হলো বর্তমান মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর বিরোধিতা কেউ করতে পারবে না।তাদের বিপরীতে কাউকে শক্তি সঞ্চয় করতে দেয়া হবে না।অর্থনৈতিক,সামরিক দিক থেকে কেউ যেন তাদের সমকক্ষ হতে না পারে তার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা।অনুন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে উচ্চ মাত্রার সুদ হারে ঋণ দেয়ার মাধ্যমে বশে রাখা।ইসলামী জীবনব্যবস্থা কায়েমে নিয়োজিত কোন দলকে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে নিবৃত্ত করে রাখা।তাদের বিরোধী মতাদর্শের ব্যক্তি,গোষ্ঠী,রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানো।স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলানো। জঙ্গিবাদের ধোঁয়া তোলে কখনোবা জঙ্গিবাদের নাটক মঞ্চস্থ করে স্বাধীনতাকামী মানুষ,শান্তিবাদী মানুষকে িনর্বিচারে হত্যা করা।
কিছু উদাহরণ দিলেই উপরের কথা গুরো স্পষ্ট হয়ে যাবে-
সিরিয়ায় বাশার কর্তৃক দুই সহস্রাধিক লোকের উপর রাসায়নিক গ্যাস নিক্ষেপের ফলে কিছু মানুষের অঙ্গহানি হয়েছে যার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকা সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত এগিয়েছিল আর অন্যদিকে মিশরের ইতিহাসে একমাত্র নির্বাচিত সরকারকে বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতাচ্যুত করা ও এক রাতের মধ্যে ছয় হাজার মানুষকে মেরে ফেলল অথচ তারা যথার্থ সমবেদনাও জানায়নি।
গাজায় দশ হাজার মানুষ হত্যায় তাদের অস্ত্র নড়ে না।দেশে দেশে সৈরাচার আর জালিমশাহীদের ক্ষমতা দখলে রাখা।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন,রাজনৈতিক নিপীড়ণ,অর্থনৈতিক শোষণের মাধ্যমে একক ক্ষমতা পুণ্জীভূত করে রাখা।
আাজ এক শ্রেণীর রুপ বিশ্লেষণ করলাম পরের দিন বিপরীত শ্রেণীর চিত্র তুলে ধরলেই দ্বিধা প্রকাশ পাবে।
বাংলাদেশের রাজনীতির অন্তর্দ্বিধা অন্য দিন লিখব।
বিষয়: বিবিধ
১০২২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের সংগ্রাম চলবেই অবিরাম
মন্তব্য করতে লগইন করুন