মুসলিম বাঙালী
লিখেছেন লিখেছেন মুসলিম বাঙালী ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:৩৪:০৪ রাত
'মুসলিম বাঙালী' এই নামে কেন আমি আমার ব্লগ আইডি খুলেছি? এর কারণটা বিশ্লেষণ করার মাধ্যমেই আমার ব্লগ লেখার যাত্রা শুরু করছি।
'বাঙালী' ভাষাভিত্তিক একটা জাতির নাম।যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে তাদেরকেই বাঙালী বলে।
যদিও আমাদের জাতীয়তা বাঙালী না বাংলাদেশী এই নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক বিতর্ক রয়েছে। বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষ বা বাঙালী জাতির রয়েছে হাজার বছরের সংস্কৃতি। প্রাচীন বাঙালীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐক্য কতটুকু ছিল তা অস্পষ্ট। তবে বেশির ভাগ সংস্কৃতি হিনদু ধর্মকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে।উপমহাদেশে ইসলাম ধর্মের প্রবেশের পর মুসলিম পরিচয়ে নতুন সংস্কৃতি ওয়ালা সমাজের আবির্ভাব ঘটল।হিনদুয়ানী সংস্কৃতি আর প্রথা মুসলিম সংস্কৃতির সাংঘর্ষিক হয়ে দাড়াল।দেশ বিভাগের মধ্য দিয়ে এই পার্থক্য ভূখণ্ডে রুপ নিল হিনদু প্রধান বংলা আর মুসলিম প্রধান বাংলা। মুসলিম যেই ভাষার লোকই হোক না কেন তার সংস্কৃতি হবে তার গৃহীত জীবনব্যবসথা কেন্দ্রিক।
এজন্য হিন্দু বাঙালীদের এবং মুসলিম বাঙালীদের সংস্কৃতিতে এসেছে ভিন্নতা।
কিন্তু কিছু বকধার্মিক,আস্থা ও আত্মবিশ্বাসহীন , নামধারী মুসলিম বাঙালী সংস্কৃতির নামে হিন্দু সংস্কৃতির জন্য মরিয়া হয়ে আফসোস করে থাকে।
আর এই হিন্দু বাঙালীরা ব্রিটিশ বেনিয়াদের সাথে আঁতাত করে উপমহাদেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত ছিল। তার আগে বঙ্গীয় শাসনে ও তারা সকল ক্ষমতা,ব্যবসাকে ওপার বাংলায় অন্যায়ভাবে পুণ্জীভূত করে রেখেছিল।বঙ্গভঙ্গ ও রদের পেছনে এই ভূমিকা কাজ করেছে।ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা করে তাদের বক্তব্য ছিল মুসলমান চাষাভুষাদের ছেলেরা লেখাপড়া করবে? পেছনে ছিল তাদের প্রভাব হারানোর আশংকা।
মুসলিম বাঙালীদের ভাগ্যের ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষেই এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।আর সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই াআজকে ইসলামী আদর্শ চর্চা করার কারণে ছাত্র- ছাত্রীদেরকে হল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে।আর েসই বিশ্ববিদ্যালয় নাস্তিক্যবাদের আখড়া আর যন্ত্রমন্ত্র ঘরে পরিণত হয়েছে।
মুসলমানরা তাদের স্বীয় সংস্কৃতি, সমাজনীতি,অর্থনীতি,রাজনীতিতে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত না হলে শ্রেষ্ঠত্ব অধরাই থেকে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
৯৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন