তারেক জিয়াকে সরকারের লোকজনরা এত ভয় পায় কেন ?
লিখেছেন লিখেছেন জনগণের কন্ঠস্বর ০৯ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৯:৫৪:০৮ সকাল
তারেক জিয়া কোন ভুইফোঁড় নেতা নয়। রাজনীতিতে তারেক জিয়া হঠাৎ আসেন নি বা শুধুমাত্র পারিবারিক সূত্র ধরেই তার উথ্থান নয়। ছোট বেলা থেকে বাবা মায়ের সান্নিধ্যে থেকে অনেক রাজনৈতিক পট পরিক্রমায় রাজনীতিকে নিজের মধ্যে ধারন ও লালন করেছেন। নিজেকে তৃণমূলের নেতা সমর্থকদের মাঝে নিয়ে গেছেন এবং একটা নিজস্ব রাজনৈতিক বলয় তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত নেতাতে পরিনত হয়েছেন।একই সাথে শেখ হানিার লোকজনরা বিভিন্নভাবে জয়কে ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে বিভিন্ন সময় মরিয়া হয়েও দেখেছেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি। রাজনীতি করবেন আর জনগণের কাতারে নিজেকে নিয়ে যাবেন না অথচ নেতা হবেন এটা এত সহজ ব্যাপার নয় । মাটি ও মানুষের সাথে সম্পর্ক না থাকলে সে কখনও বড় নেতা হতে পারে না। এটাই প্রতিষ্ঠিত সত্য। আর এখানেই তারেক জিয়া আর জয়ের মধ্যে পার্থক্য।তারেক জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী বুদ্ধিজীবি ও নেতারা বিভিন্ন ধরনের প্রপাগান্ডা প্রচার করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে কিন্ত মজার ব্যাপার সেগুলো যখন ভূল প্রমান করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি তখনই একজন বড় নেতাতে রুপান্তরিত হয়েছেন।রাজনৈতক কুটচাল সব সময়ই সবার পক্ষে যাবে এমনটা সব সময় সঠিক হয় না। তারেক জিয়ার সম্পর্কে অনেক অভিযোগ করা হয়ে থাকে সেগুলোর ভিত্তি কতটা ছিল দেশবাসী তা প্রত্যক্ষ করেছে। তার উপর ওয়ান ইলেভেনের পর যে পরিমান অত্যাচার করা হয়েছে বাংলাদেশে অতীতে কোন নেতার উপর এত অত্যাচার আর নির্যাতন করা হয়নি। তার অপরাধ কি ছিল ? সন্ত্রাস,চাাদাবজি,দূর্নীতি কতটা করেছিল তারেজ জিয়া ? তার কয়টি প্রমানীত হয়েছে। যারা অপরাধ করে তারা ভয়ে থাকে। রাজণীতির পট পরিবর্তন হবেই কেউ যদি মনে করে থাকে সারা জীবন সরকারে থাকবে তাহলে বুঝতে হবে তার কোন রাজনৈতিক দর্শনই নেই।তারেক জিয়াকে ইদানিং সরকারের লোকজনসহ অনেকেই শেখ মুজিবকে নিয়ে তার লেখার হাজারও সমালোচনা করছেন কিন্ত এমন কোন বাপের বেটাকে দেখলামনা তার দেয়া রেফারেন্সগুলো যে মিথ্যা বা ভূল বা তার নিজস্ব মনগড়া কথা সেটা প্রমান করতে । এ থেকে কি প্রমানিত হয় পাঠক ? সেটা করতে না পেরে তাদের মুখ থেকে যে সব বিশ্রি কথা শোনা যাচ্ছে যা পত্রিকায় আসছে তারা কি কোন সভ্য ঘরের সন্তান বলে মনে হয়েছে। একটা কথা মনে রাখা উচিত সবারই । আপনি যদি কোন ভুল বা কোন অন্যায় করেন তার খেসারত আপনাকে কোন কোন ভাবে দিতেই হবে । এর ঝালাপালা আপনার উপর দিয়ে যাবেই এটা কোন মাফ হবে না। তারেক জিয় তার বিভিন্ন বক্তবে তার উপর যারা অত্যাচার করেছেন তাদের ক্ষমা করার কথা বলেছেন। কিন্তু তার পরও তাদের ভয় কাটছে না আমার মনে হয় তারা প্রতিরাতে যে স্বপ্ন দেখেন সেখানে বোধহয় তারেক জিয়াকে দেখতে পান আর ভয়ে শিউরে উঠেন। তারই প্রতিফলন ঘটান পরের দিন। তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে যে সব মামলা দেয়া হয়েছে এবং যতগুলো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে কোন সভ্য দেশে এমনটা দেখা যায়নি। সেইদিক দিয়ে এটা গ্রীনেজ বুকেও নাম লেখালেও আশ্চর্য হবার কিছু থাকবে না। আর এসব কারনে তারেক জিয় যে আরো জনপ্রিয়তা অর্জন করছে, সাধারন জনগণের সহমর্মিতা পাচ্ছে তার ফলশ্রুতিতে এই বাংলাদেশে শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমানের চাইতেও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেন। অনেকে হয়তো বলতে পারেন বাপের চাইতে বেটা বেশি জনপ্রিয় হবেন? কেন জিয়াউর রহমানের বাবাকে কতজন লোক চিনতো, শেখ মুজিবের বাবাকে কতজন লোক চিনতো ?।তবে সর্বশেষে একটা কথা না বললেই নয় সেটা হচ্ছে জুলমবাজী ,নির্যাতন,বন্দুকবাজী আর প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সব সময় ও সারা জীবন ক্ষমতায় থাকা যায়না ইতিহাস তার সাক্ষ্য দেয় না। যারা রাজণীতি করতে এসে যত নির্যাতিত হয়েছেন তারা ই পরবর্তীতে বিশ্ব নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। নেলসন মেন্ডেলা কথা কি আমরা ভুলে গেছি ? এ রকম অনেক নেতাই আছেন যারা রাজনৈতিক জীবনে প্রতিপক্ষের ব্যাপক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। তারেক জিয়া এর ব্যতিক্রম হবেন সেটা ভাবার কোন অবকাশ নেই। তারেক জিয়া এ দেশের মাটি ও মানুষের নেতা তাকে আটকে রাখার ক্ষমতা কারো হবে না সেই দিন আর বেশি দূরে নয়।
বিষয়: বিবিধ
১২২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন