অভিজিৎ হত্যার ইসলামীয় দর্শন ::
লিখেছেন লিখেছেন ইয়াহিয়া খান ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৯:১৩:১৮ রাত
গত কিছুদিন যাবৎ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, আমাদের মুসলিম ভাই বোনদের একটা অংশ পবিত্র কোরান ও রাসুল নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সা: ) এর অপমান অবমাননা দেখার সাথে সাথে চাকু, ছুরি চাপাতি নিয়া কোপাকোপি করতেছে ............. ঐ ভাই বোনদিগের আচার আচরনে মনে হয় নবিজীর ইজ্জত রক্ষার দ্বায় দায়িত্ব কেবল তাহাদিগেরই ! কেনরে ভাই, তোমার জন্ম হয়েছে কতদিন হয়? তোমার জন্মের পুর্বে কি নবিজীর অপমান রক্ষিত হয় নাই? তায়েফের ঘটনাখানা কি মনে করতে পার? নবিজী যখন রক্তাক্ত হয়েছিলেন, পাগল বলে উপহাসিত হয়েছিলেন, তখন কি তোমার কর্মকান্ড, সাহায্য ব্যাতিরেকে আল্লাহ পাক নবিজীকে সুরক্ষিত করেন নাই?নবিজীর সাহাবারা কি আমাদের মত চাপাতি ছুরি নিয়ে কোপাকোপি করেছেন ?
সুতরাং নবিজীর অপমানে আমাদের মন কাদবে কিন্তু নবিজীর সম্মানের স্বার্থেই আমাদেরকে এসব ফিতনাহ জাতীয় নির্বোধীয়, ইসলাম বিসদৃশ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে ..............
ইসলাম ও নবিজীকে নিয়ে রসিকতাকারীদের প্রতি মুসলমানদের আচরন কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্ক পবিত্র কোরানে অত্যন্ত স্পষ্ট ও কঠোর কিছু নির্দেশনা রয়েছে,যেগুলো পালন করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ।
Surah: সূরা ত্বোয়া-হা ( Taha )
Total verse: 135
(20:130)
সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তার প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও দিবাভাগে, সম্ভবতঃ তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন।
Surah: সূরা আল আহযাব ( The Coalition )
Total verse: 73
(33:48)
আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের উৎপীড়ন উপেক্ষা করুন ও আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ কার্যনিবার্হীরূপে যথেষ্ট।
Surah: সূরা আন নিসা ( The Women )
Total verse: 176
(4:140)
আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তাআলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।
Surah: সূরা আল আ’রাফ ( The heights )
Total verse: 206
(7:198)
আর তুমি যদি তাদেরকে সুপথে আহবান কর, তবে তারা তা কিছুই শুনবে না। আর তুমি তো তাদের দেখছই, তোমার দিকে তাকিয়ে আছে, অথচ তারা কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।
(7:199)
আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক।
বুখারী শরিফ এর একটি হাদিস ::
"The Messenger of Allah and his Companions used to forgive the idolaters and the followers of the book (Jews and Christians), as Allah had commanded them, and they used to show patience on hearing hurtful words." (Report in Bukhari.)
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে পবিত্র কোরানকে সঠিকভাবে বোঝার তৌফিক দান করুন ............
বিষয়: বিবিধ
১৪০৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কেউ বার বার অন্যায় করলো , মাফ চাইলো আল্লাহর কাছে । আবার পুনরায় একই কাজ করতে থাকলো , আবার মাফ চাইলো।
এভাবে চলতে থাকলো ।
এ ধরনের লোককে কি আল্লাহ মাফ করবেন ?
আর যারা মুসলমান নামধারী হয়ে নাস্তিকতার আড়ালে ইসলাম বিদ্বেষী কথা বার্তা ও কাজ করে যায় - তারা কি কখনও অনুকম্পা পাবার যোগ্য ?
আপনার পিতা মাতাকে কেউ যদি অনবরত নোংরা কথা বলে যায় আপনি কতক্ষন তার প্রতি সদ আচরণ করবেন ?
মুহম্মদ (সাঃ) কি একজন মুসলমানের কাছে তার বাবা মায়ের চেয়ে কম মূল্যবান ?
কেউ বার বার অন্যায় করে ভাড়ামী করলে তাকে আল্লাহ পাক ক্ষমা করবেন কিনা সেটা আল্লাহ পাকের দয়া ......... আমার কিংবা আপনার সেটা জানার কোন সুজোগ নেই ভাই ..........
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা: ) অবশ্যই আমাদের অত্যন্ত আপনজন আল্লাহ পাকের পর,মা বাবার পর সর্বাপেক্ষা প্রিয় ব্যক্তি .................. ওনার জন্য আমরা আমাদের কলিজা কেটে বার করে দিতে পারি ......... ওনার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ভালোবাসার কোন কমতি থাকা চলবে না ............. কিন্তু তাই বলে পবিত্র কোরানের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে নবিজীর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয় .............. আমাদেরকে অবশ্যই পাপের গভীরতার ভিত্তিতে সকল প্রকার ইসলামী আইন আরোপ করতে হবে ::
উদাহরনস্বরুপ কেউ মিথ্যা কথা বললে তাকে নরহত্যার শাস্তি প্রদান করা হলে সেটা হবে ইসলাম অবমাননারই নামান্তর.....
অভিজিৎ সহ অন্যান্যরা যারা পবিত্র কোরান ও নবিজীকে নিয়ে ব্যংগ করে তাদের প্র্রতি পবিত্র কোরানের সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে উপেক্ষা করার, কতল করার নয় ...........
(33:48)
আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের উৎপীড়ন উপেক্ষা করুন ও আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ কার্যনিবার্হীরূপে যথেষ্ট।
বুখারী শরিফ এর একটি হাদিস ::
"The Messenger of Allah and his Companions used to forgive the idolaters and the followers of the book (Jews and Christians), as Allah had commanded them, and they used to show patience on hearing hurtful words." (Report in Bukhari.)
কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে কতল করা জায়েয হবে সেটার সুনির্দৃষ্ট শর্তাবলী রয়েছে :: যেমন ::
>কেউ আমাদের মুসলিম ভাই বোনদের হত্যার অভিপ্রায়ে আক্রমন করলে
>কেউ ইসলাম ধ্বংশের অভিপ্রায়ে আমাদের মুসলিম দেশ, ভুখন্ড দখলের জন্য আক্রমন করলে ।
সকল ক্ষেত্রেই আক্রমনের স্বীকার হলেই কেবল পাল্টা আক্রমন করে কতল করা যায়েয হবে ............. তার পূর্বে নয়।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে পবিত্র কোরানকে সঠিকভাবে বোঝার তৌফিক দান করুন ............
তাহলে তো আপনার মতের সাথে আমার মত মিলেই গেল ভাই
আয়াতটি ভালোভাবে অধ্যায়ন করেছি .......... প্রসংগক্রমেই বলি আয়াতটিতে কোথাও কতলের কোন নির্দেশনা নেই .........
ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকবেন ........
নবিজীকে কোথাও খাটো করা হচ্ছে না ............ স্বয়ং আল্লাহ পাককে নিয়েও যদি কেউ বিদ্রুপ করে তথাপি বিদ্রুপকারীকে কতল করা যাবে না ............. কেননা বিদ্রুপের শাস্তি কতল নয় ........... যদি হতই তাহলে পবিত্র কোরানে অন্তত একটি আয়াত খুজে পাওয়া যেত যেখানে আল্লাহ পাক ব্যংগকারীকে কতল করতে বলছেন ।
আমি আবারও বলছি, পবিত্র কোরানে এমন অনেক আয়াত রয়েছে যেখানে আল্লাহ পাক বিদ্রুপকারী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কতলের নয় ::যেমন::
(২:১৯১)
খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো।
(৩:১৫১)
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।
(৫:৩৩)
যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।
(৯:১৪)
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম।
(৯:২৯)
হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ (ইংরেজি অনুবাদে - strive hard) করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।
(৯:৭৩)
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।
(৯:১২৩)
আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।(৮:১২)
এবার দেখা যাক, কয়েকটি হাদিসে ইছলামের নবী কী বলেছে:
আমি সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছি।(বুখারি ৫২:২২০)
তরবারির ছায়ার নিচে বেহেশত।
(বুখারি ৫২:৭৩)
অবিশ্বাসীকে হত্যা করা আমাদের জন্য একেবারেই ছোট্ট একটি ব্যাপার।
(তাবারি ৯:৬৯)
এ ছাড়া, আল্যা-রসুলকে স্বীকার না করা পর্যন্ত অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার নির্দেশ দেয়া আছে বুখারী ৮:৩৮৭-এ ও মুসলিম ১:৩৩-এ।
ইবন ইসহাক/হিশাম ৯৯২-এ পাওয়া যাচ্ছে নবীজির নির্দেশনা:
যারা আল্লাহকে অবিশ্বাস করে, তাদেরকে হত্যা করো।
আসুন, এখন ইছলামের ইতিহাস থেকে জেনে নেয়া যাক কয়েকটি ঘটনা:
১. নবী ও তার অনুসারীদের আগ্রাসী নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মৌখিক প্রতিবাদ ও সমালোচনা করেছিলেন বলে ১২০ বছর বয়সী অতি বৃদ্ধ ইহুদী কবি আবু আফাককে নবীর আদেশে হত্যা করে তার অনুসারীরা।
২. আবু আফাক-কে হত্যার পর আসমা-বিনতে মারওয়ান তাঁর বিদ্বেষ প্রকাশ করলে নবীর নির্দেশে রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত নিরস্ত্র এই জননীকে নৃশংসভাবে খুন করে নবীজির এক চ্যালা। ঘাতক যখন এই জননীকে খুন করে, তখন এই হতভাগা মা তাঁর এক সন্তানকে বুকের দুধ পান করাচ্ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রত্যুষে খুনী তার প্রিয় নবী মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর সাথে একত্রে সকালের নামাজ (ফজর) আদায় করে।
৩. কাব বিন আল-আশরাফ নামের এক ব্যক্তি আল্লাহর নবীর কাজের নিন্দা করা শুরু করেন ও বদর যুদ্ধে যাদেরকে খুন করার পর লাশগুলো গর্তে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন কবিতা আবৃতির মাধ্যমে। তাঁকেও নির্দয়ভাবে খুন করে নবীর উম্মতেরা।
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তাকে বেন করা হোক। যার এত নিক
সহমত। ব্যক্তি কেন্দ্রিক নয়, সংঘবদ্ধবভাবে প্রতিহত করতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন