পৃথিবীর আকৃতি সম্বন্ধে পবিত্র ক্বোরান :: পৃথিবীর গঠন ডিম্বাকার
লিখেছেন লিখেছেন ইয়াহিয়া খান ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:১৯:৫২ বিকাল
শুরুতেই সুরা নাজিয়াতের ৩০ নাম্বার আয়াতটি লক্ষ্য করি যেখানে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন ::
والارض بعد ذلك دحاها
""পৃথিবীকে এর পরে ডিম্বাকাররূপ দান করেছেন ""
আল কোরআন মহান আল্লাহ পাকের এক অসামান্য উপহার মানবজাতির জন্য যা অসংখ বৈজ্ঞানিক ধারণা ও বক্তব্যে পরিপূর্ণ । যেখানে আল্লাহ পাক বর্ননা করেছেন কিভাবে তিনি সৃষ্টি করেছেন এই বিশ্বজগত, পৃথিবী আর তন্মধ্যস্থিত বিভিন্য উপাদান । সুতরাং প্রতিটি বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরই উচিত দলে দলে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে অবস্থান গ্রহণ করা ।
আলোচনাটি ৩ টি ভিন্ন ভিন্ন সেকশনে উপস্থাপন করলাম সকলের বোঝার সুবিধার জন্য :: আশা করি সবাই উপকৃত হবেন ::
#নবী মুহাম্মদ ( স ) এর জ্ঞান Vs আল কোরানের দ্বাবি
#১৫০০ বছর আগে কেন নবিজি আর তার সাহাবিগণ বুঝতে পারলেন না যে পৃথিবীর গঠন ডিম্বাকার দ্বাবি করা হয়ছে আল কোরআনে ?
#আল্লাহ পাকের দ্বৈত অর্থবোধক শব্দ চয়নের সম্ভাব্য কারণ
নবী মুহাম্মদ ( স ) এর জ্ঞান Vs আল কোরানের দ্বাবি
## প্রথমেই যেটা জানা জরুরি নবিজি ছিলেন আমাদের মতই মানুষ .... উনার কোনো বিশেষ ক্ষমতটা , জাদু টোনার প্রভাব এসব কিছুই ছিল না .... যেখানে আমি আপনে অনার থেকে আলাদা সেটা হচ্ছে ওনার ঈমানী শক্তি, আর ওনার প্রতি আল্লাহ পাকের অসীম ভালবাসা।সুতরাং ওনার জ্ঞান অসীম পর্যায়ে উন্নীত এমনটা ভাবার কোনো কারণ নাই;; তবে পৃথিবীর মানুষের সাথে তুলনামূলক বিচারে যে অনেক উন্নত পর্যায়ের এটা নিস্বন্দেহ।।
নবীজির জ্ঞানের পরিধি কেমন ছিল .... আল কোরানের সুরা বনি ইসরাইলের এ আয়াতটি থেকে তা জানতে পারি::
সুরা বনি ইসরাইল ।। আয়াত-৮৫ ::
""তারা আপনাকে রুহ সমর্কে জিজ্ঞাস করে । বলে দিন : রুহ আমার পালনকর্তার আদেশঘটিত ।এ বিষয়ে তোমাদেরকে ( মানব জাতি ) সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে ।""
নবিজি আমাদের মত খুব সামান্যই জানতেন আল্লাহ পাকের সৃষ্টি বিশেষত অদেখা বিষয়সমুহে .... আর যেহেতু তিনি কখনই বলেন নাই যে পৃথিবী ডিম্বাকার কিংবা গোলাকার এ থেকে এটা স্পষ্ট যে প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজেও পৃথিবীর গঠন সম্পর্কে পুরপুরি অবগত ছিলেন না ।।
সুতরাং পৃথিবীর ডিম্বাকার গঠন সমর্কে কোন পূর্ব জ্ঞান না থাকায় নবীজির কাছে উক্ত আয়াতটি নাজিল হওয়ার পর ওনার পক্ষে দাহাহা শব্দের বিভিন্য অর্থগুলোর মধ্য থেকে ডিম্বাকার শব্দটি বাছাই করা অস্বাভাবিকই ছিল ...... ফলশ্রুতিতে নবিজি ডিম্বাকৃতি শব্দটির পরিবর্তে বিস্তৃতি শব্দটিকেই বাছাই করে থাকতে পারেন .... তদুপরি ""বিস্তৃত"" করেছেন বলতে পৃথিবীকে সমতল করেছেন তা বোঝায় না। বিস্তৃতি মানে ব্যপ্ত করা, বড় করা flat বা সমতল করা নয় ।।
'## পবিত্র ক্বোরান এ পৃথবীকে ডিম্বাকার বলা হয়েছে :: এটাও বলা হয়েছে যে আল্লাহ পাক পৃথিবীর মধ্যে আইরন কোর্ .... লৌহ খন্ড নাজিল করেছেন (পৃথিবীর বাইরে থেকে) ::
সরা আন-নাযিয়াত ।। আয়াত - ৩০::
والارض بعد ذلك دحاها
""পৃথিবীকে এর পরে ডিম্বাকাররূপ দান করেছেন ""
সুরা আল হাদিস-আয়াত-২৫ ::
لقد ارسلنا رسلنا بالبينات وانزلنا معهم الكتاب والميزان ليقوم الناس بالقسط وانزلنا الحديد فيه باس شديد ومنافع للناس وليعلم الله من ينصره ورسله بالغيب ان الله قوي عزيز
""আমি আমার রাসুলগনকে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ প্রেরণ করেছি এবং তাদের সাথে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও ন্যায়নীতি,যাতে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে । আর আমি নাজিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড রণশক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার ।এটা এজন্য যে আল্লাহ জেনে নিবেন কে না দেখে তাকে এবং তার রাসূলগনকে সাহায্য করে। আল্লাহ শক্তিধর পরাক্রমশালী । ""
এখানে আমি নাজিল করেছি লৌহ বলতে আল্লাহ পাক কি বোঝালেন ? পৃথিবীতে কোন লৌহ ছিল না। পরবর্তিতে কোনো ভিন্ন প্রক্রিয়ায় তা পৃথিবীতে নাজিল করে দিলেন ,, রাইট ?সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা যা বলছেন :: বিলিয়ন বছর পূর্বে গোলাকৃতির এক লৌহখন্ডের সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষ ঘটে .... ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর কেন্দ্রে ঢুকে পরে লৌহখন্ডটি এবং খন্ডটির বাইরের আবরণ ভেঙ্গে পৃথিবীময় ছড়িয়ে পরে .... আজকের দিনে বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যে ব্যপারটি নিশ্চিত করতে সক্ষম হলেন পবিত্র ক্বোরান এ তা ১৫০০ বছর পূর্বেই বলা হয়েছে ...... ।
১৫০০ বছর আগে কেন নবিজি আর তার সাহাবিগণ বুঝতে পারলেন না যে পৃথিবীর গঠন ডিম্বাকার দ্বাবি করা হয়ছে আল কোরআনে ?
আহমাদ ইবনুূু মিকদাম ইজলী (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
আমাকে যাওয়ামি-আল-কালিম ( সংক্ষিপ্ত অথচ বিশদ অর্থপূর্ন বাক্য ) দান করা হয়েছে। এবং আমাকে প্রভাব সঞ্চারী প্রকৃতি দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে। কোন এক রাতে আমি নিদ্রিত ছিলাম। ইত্যবসরে ভূপৃষ্টের যাবতীয় ভাণ্ডারের চাবি আমার কাছে এনে আমার হাতে রাখা হল।
Sahih Bukhari, Interpretation of Dreams, Volume 9, Book 87, Number 141
অর্থাত নবীজির উপর নাজিলকৃত আয়াতসমূহ পরিমানে অল্প হলেও ব্যখ্যা এবং অর্থের বিচারে অত্যন্ত সমৃদ্ধ (অল্প বাক্যে সামগ্রিক ধারণা প্রদানে সক্ষম ) .... এটা পবিত্র কোরানের অন্যতম বিশেষত্য ।
উদাহরণ হিসেবে دحاها ( দাহাহা ) শব্দটিকেই পর্যবেক্ষণ করি ::
এটা দু ধরনের অর্থ বহন করে :: প্রথমত কোনো কিছুর গঠন রেফার করতে :: যেমন আকৃতি। আর যখন এটা পৃথিবীর গঠন বর্ণনায় বিবৃত হচ্ছে তখন এটা পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতির রেফার করছে।
আরেক ধরনের অর্থ বিদ্যমান কোনো কিছু গঠন করা (verb)অর্থ বোঝাতে যেমন :: প্রসারিত করা, ছড়িয়ে দেয়া, বিস্তৃত করা [ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দাহাহা র শাব্দিক অর্থসমূহের কোনটিই সমতল শব্দটিকে নির্দেশ করছে না;সুতরাং এ আয়াতকে পুজি করে যারা বলে বেড়াতেন ক্বোরান পৃথিবীকে সমতল দ্বাবি করেছে :: তারা কতটুকু মিথ্যাচার করতেন তা নিজেই অনুমান করে নিন ]।
এ দু ধরনের অর্থই পৃথিবীর গঠন বর্ণনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ; যেখানে ডিম্বাকৃতি দ্বারা বোঝানো হচ্ছে যে পৃথিবীর আকৃতি ডিমের মত গোলাকার । অন্যদিকে বিস্তৃত করা verb টি প্রয়োগ করলে দাড়ায় .... পৃথিবীর পরিধির বিস্তার ঘটছে .... আকারে বড় হচ্ছে । যা আধুনিক বিজ্ঞান ১৫০০ বছর পর দ্বাবি করছে ।
কল্পনা করুন :: ১৫০০ বছর পূর্বে নবিজি সরাসরি পৃথিবীকে গোলাকার দ্বাবি করে বেড়াচ্ছেন !
আল্লাহ পাকের দ্বৈত অর্থবোধক শব্দ চয়নের সম্ভাব্য কারণ ::
যদিও আল্লাহ পাক স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন যে পৃথিবী ডিম্বাকার .... তথাপি সংশয়বাদীদের জন্য একটা দ্বার অবশিষ্ট রয়েছে যে :: শব্দটিতে একটা verb ও যুক্ত আছে যেটা নির্দেশ করছে যে পৃথিবীর বিস্তৃতি / পরিধির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে । আল্লাহ পাক চাইলে আরো পরিষ্কার শব্দ চয়ন করতে পারতেন। তখন যা হতো:: যদি ১৫০০ বছর পূর্বে আল্লাহ পাক নবীজিকে দিয়ে বলাতেন পৃথিবী গোলাকার ::
স্বয়ং আল্লাহ পাক সাহাবিগণ এবং অন্যান্যদের উদ্দেশ্যে নাজিল করেন এই আয়াতদ্বয় ::
সুরা সাবা ।। আয়াত ৪৬::
বলুন , আমি তোমাদেরকে একটি বিষয় উপদেশ দিচ্ছি : তোমরা আল্লাহর নাম এক এক জন করে ও দু দু জন করে দাড়াও , অতপর চিন্তা ভাবনা কর - তোমার সঙ্গীর মধ্যে কোনো উন্মাদনা নেই । তিনি তো আসিন্ন কঠোর শাস্তি সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করেন মাত্র ।
সুরা আত তাকভীর ।। আয়াত ২২::
এবং তোমাদের সাথী পাগল নন ।
আল্লাহ পাকের এ ধরনের আয়াত নাজিলের কারণ হচ্ছে :: ইসলামের নবী ইতোমধ্যেই অনেকের কাছে অপ্রকৃতস্থ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিলেন । এমনকি তার সাহাবিগনরাও তাকে ( নবিজি ) নিয়ে সন্দেহ পোশন করত বিশেষত যখন তাদেরকে অনেক ধরনের যন্ত্রণা সমস্যা ধারণ করতে হচ্ছিল।
এবার ধরে নেই ১৫০০ বছর পূর্বে নবিজি নিম্নোক্ত দ্বাবিগুলো করছেন ::
১/ পৃথিবী ডিম্বাকৃতির
২/ আমরা পৃথিবীর একেবারে শীর্সস্থানে (নর্থ পোল) অবস্থান করছি না .... বরংচ আমরা পৃথিবীর একেবারে কিনারায় অবস্থান করছি ..... এবং আমাদের পায়ের ঠিক নিচ বরাবর মানুষ বাস করছে যারা আমাদের বিপরীত দিকে বাস করে , চলাফেরা করে ।
তত্কালীন আরব বেদুইনদের কাছে এ কথাসমুহ কতটুকু হাস্যকর আর অযৌক্তিক মনে হবে যেখানে তারা ইতোমধ্যে নবিজি সম্পর্কে সিরিয়াস সন্দেহ পোষণ করছে তা সহযেই অনুমেয় । এজন্যই আল্লাহ পাক পরোক্ষ শব্দসমূহ ব্যবহার করেছেন যাতে তাত্ক্ষণিক ভাবে তা আরবদের মধ্যে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী না করে ।। প্রকৃত ব্যখ্যা ধীরে ধীরে মানুষের গবেষনার মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। এটা মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ পাকের এক অসামান্য বিচক্ষনতাকেই প্রস্ফুটিত করছে ।। <আল্লাহ পাকের দ্বৈত অর্থবোধক শব্দ চয়নের সম্ভাব্য কারণ>
তথ্যসূত্র ::
http://www.answering-christianity.com/
ধন্যবাদ সবাইকে ।।
বিষয়: বিবিধ
১৮৬৯ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
হা হা, চালাকি করার অভিনব কৌশল........
আক্কেল আলী ডা জাকিরের বক্তব্যের মাথা মুণ্ড কিছুই বুঝতে পারে না। অবশেষে তার ধৈর্য চ্যুতি ঘটে, সে DVD-টা সজোরে লাথি মেরে বন্ধ করে দেয় ও উচ্চস্বরে খেজুরের সাথে তর্ক জুরে দেয়।
আক্কেলঃ দেখ খেজুর ডা জাকির একটা জোকার। আমি বি ডি টুডে ব্লকে এক জন ব্লগারকে ডা জাকিরকে জোকার বলতেও দেখেছি। তখন বুইঝা উঠতে পারি নাই। কেন সে এ কথা কইছে। মাগার আজকে তার কথার মুরতুজা হারে হারে বুঝবার পারতাছি।
খেজুরঃ কেন কেন একথা কউ কেন? একটু খোলসা কিইরা কউ। আমিতো তোমার কথা কিছুই বুইঝা উঠতে পারতাছি না।
আক্কেলঃ আরে মিয়া বয়রা নাকি, হেতো সবই আবল-তাবল ও ভুল তথ্য দিবার লাগছে। হুন নাই হেতে কইছে পৃথিবীটা নাকি গোলাকার না, হেইডা নাকি আন্ডার মত!!! তাও আবার উট পাখীর আন্ডার মত!!! দেখছ মিয়া কি কিছিমের চালাক হেতে (হা হা, চালাকি করার অভিনব কৌশল.....)
খেজুরঃ এতে চালাকির কী আছে!!
আক্কেলঃ উচ্চস্বরে বলে উঠে আরে মিয়া তোমারতো দেখি ঐ ছাগল মার্কা হুজুরের লগে (সাথে) থাইকা বুদ্ধিও ছাগল মার্কা হয়ে গেছে।
খেজুর রেগে গেলেও কোন মতে নিজের রাগকে দমন করে বলে, তা তোমার আক্কেল মার্কা বুদ্ধি দিয়া বিষয়টা খোলসা কইরা কউ। আক্কেল খুশী হয়ে বলল, খেজুর বুঝ নাইকা, বিয়ডা খুবই সোজা(সহজ)। এই জোকার জাকির আমাদের সবাইকে বদল মনে কইরা হাইকোট দেখাই বার লাগছে আর কী!! আর আমগো() ছাগু মার্কা লোকগুল তার পিছে ছাগলের মত ব্যে ব্যে করবার লাগছে! কিন্তু আক্কেলের লগে এই সব ধুন-ফুন চলত নানে-------
খেজুর আক্কেলকে কথার মাঝখানে থামিয়ে দিয়ে বলে, খামাখা বক বক না কইরা মিয়া আসল ব্যাপারটা খোলাসা কইরা কউ।
আক্কেলঃ আরে মিয়া কইবার লাগতাছিতো, এত তরপাইলে হয়। এই যে আমাদের জোকার নায়ক------
-----আক্কেলঃ জাওকগা(), এই জোকার নায়কের চালাকীটা তোমারে আমি অহন বুঝাইয়া কইবার লাগছি। আক্কেল তার টেবিলের ড্রয়ার খুলে বেশ বড় সর বিশ্ব মানচিত্রের একটা গ্লোব,টেবিলের উপর সজোরে রেখে, বলা শুরু করে, মিয়া ভাল কইরা দেহ এইডা, দেইখা কউ, এডা কী গোল না আন্ডার মত? খজুর কোন কিছু বুঝতে না পেরে বলে, আক্কেল আমিতো কিছুই বুইঝা উঠতে পারতাছি না।
আক্কেলঃ মিয়া তোমার বুঝার দরকার নাইকা, শুধু আমারে কউ (টেবিলের উপর রাখা বিশ্ব মানচিত্রের গ্লোবটা দেখিয়ে) এইডার ছাইজ কী গোল না আন্ডার মত।
খেজুরঃ এডার উত্তর তো এককে বারে সোজা। এইডা গোল।
আক্কেলঃ হাসতে হাসতে, দেহ মিয়া এহন মিয়া তুমি হাতে নাতে প্রমান পইলাতো, পৃথিবীটা আন্ডার মত না , গোলাকার। শুধু কি তাই, দেহ হেতে কি কিছিমের বজ্জাত, হেতে শুধু এই কথা কয় নাই যে, পৃথিবীটা আন্ডার মত, বরং হেতে কইছে পৃথিবীটা নাকি উট পাখীর আন্ডার মত। যদি সে মুরগীর আন্ডা বা কইতরের (কবুতর) আন্ডার কথা কইত তবেতো সবাই এক হাতে কইতরের আন্ডা ও আরেরক হাতে পৃথীবীর গ্লোব নিয়া মিলাইইয়া হেতের ভুল ধইরা ফালাইতো। কউ মিয়া তুমি উট পাখীর আন্ডা কই পাইবা। তুমি উট পাখীর আন্ডাও খুইজা পাইবা না হেতের কথা যে ভুল তাও প্রমান করতে পারবা না। -----
Finally i request my fellow blogger please do not make bad comment like her. That is don't call her "THE BIGGEST ASS HOLE OF THE PLANET."
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
সুতরাং পৃথিবীর ডিম্বাকার গঠন সমর্কে কোন পূর্ব জ্ঞান না থাকায় নবীজির কাছে উক্ত আয়াতটি নাজিল হওয়ার পর ওনার পক্ষে দাহাহা শব্দের বিভিন্য অর্থগুলোর মধ্য থেকে ডিম্বাকার শব্দটি বাছাই করা অস্বাভাবিকই ছিল ...... ফলশ্রুতিতে নবিজি ডিম্বাকৃতি শব্দটির পরিবর্তে বিস্তৃতি শব্দটিকেই বাছাই করে থাকতে পারেন .... তদুপরি ""বিস্তৃত"" করেছেন বলতে পৃথিবীকে সমতল করেছেন তা বোঝায় না। বিস্তৃতি মানে ব্যপ্ত করা, বড় করা flat বা সমতল করা নয় ।
তাহলে, যে ব্যাক্তির পৃথবীর আকৃতি বিষয়ে ন্যুনতম জ্ঞান নেই সেই গন্ডমূর্খ পৃথিবীর সব মানুষের জন্য সর্বকালের নবী হয় কি করে??
আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে উত্তম বুঝ দান করুন ............
মন্তব্য করতে লগইন করুন