লাশ আর লাশ
লিখেছেন লিখেছেন সোহেল মোল্লা ১৫ মার্চ, ২০১৫, ০৮:৫৩:৩০ সকাল
আসসালামু আলাইকুম।
দেশ নিয়ে লিখতে গেলেই যে যুদ্ধাপরাধী হই একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।। কিন্তু কী বলার আমাকে যে লিখতে হবে।
হ্যাঁ ভাই আমাদের দেশের কী,অবস্থা আমরা কী চেয়েছিলাম এমন স্বাধীনতা। না প্রিয় ভাই ও বোন আমরা এমন স্বাধীনতা চাইনী। যে দেশের মানুষের কোন নিরাপত্তা থাকবেনা। যেখানে আমার ভাই গুম হবে যেখানে আমার ভাই ঘুন হবে সেই স্বাধীনতা আমি চাই নী। কী আমাকে যুদ্ধাপরাধী বলবে। বললে আমার আর কী করার আমাকে যে সত্য বলতে হবে। আজ বাংলাদেশের এমন কোন বিভাগ নেই যে,বিভাগে দুর্নীতি নেই। প্রশাসনের কথা মুখে আনার কোন প্রশ্ন আসে না। কা আমরা কী চেয়েছিলাম যে নয় মাস যুদ্ধ করে দুর্নীতি। নিশ্চয়ই আমরা তা চাইনী।
আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য যা ছিল আমরা তা পাইনী।
আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সুঁখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ব। কিন্তু 43বছরে কী পেরেছি আমরা তা। নিশ্চয়ই তা পায়নী। আমরা আমদের লক্ষ্যে সেই দিন ই যেতে পারব যে দিন এই দেশ পরিচালনার কাজে সৎ দক্ষ ও দেশ প্রেমিক নাগরিক আমরা গড়ে তুলতে পারব।
আজ তাহলে দেখুন বাংলার সোনার ছেলেরা কী করে। এই সোনার ছেলেরা বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ।
সিলেটে স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার, পুলিশসহ আটক ৩
অপহরণের চার দিন পর উদ্ধার হয়েছে অপহৃত স্কুল ছাত্র আবু সাঈদের লাশ। সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ নগরীর কুমারপাড়ার ঝর্ণারপাড় এলাকার একটি বাসা থেকে শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের এক কনস্টেবল ও র্যাবের সোর্সসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- পুলিশের কনস্টেবল এবাদুল, র্যাবের সোর্স গেদা মিয়া ও জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।
নগরীর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা এলাকার ৭৪ নং বাসার মতিন মিয়ার ছেলে রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ গত বুধবার স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহৃত হয়।
অপহরণের পর সাঈদের বাবা ও মামার কাছে ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় বুধবার রাতে কতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন অপহৃত সাঈদের মামা জয়নাল আবেদীন।
জয়নাল আবেদীন জানান, অপহরণের পর তাকে ও সাঈদের বাবাকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়। পাঁচ লাখ টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তারা দুই লাখ টাকা দাবি করে। প্রথমে টাকা নিয়ে শাহজালাল (র.) দরগায় যেতে বলে অপহরণকারীরা। দরগায় যাওয়ার পর অপহরণকারীরা আবার ফোন করে সেখান থেকে এয়ারপোর্ট সড়কের বাইশটিলা এলাকায় যেতে বলে। বাইশটিলায় যাওয়ার পর পুলিশ ও র্যাবকে বিষয়টি কেনো জানানো হয়েছে অপহরণকারীরা ফোনেই তা জানতে চায়। এ সময় তারা সাঈদকে খুন করার হুমকি দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।
কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার ফয়াজ আহমদ ফয়েজ জানান, স্কুল ছাত্র সাঈদ অপহরণের অভিযোগে জিডির তদন্ত বর্তায় তার ওপর। তদন্তকালে যে মোবাইল ফোন থেকে সাঈদের বাবা ও মামার কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে সেই মোবাইল হ্যান্ডসেটটি ট্র্যাকিং করা হয়। ট্র্যাকিং করে দেখা যায়, বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুল এই ফোনটি ব্যবহার করছেন। শনিবার এবাদুলকে কতোয়ালি থানায় ডেকে আনা হয়।
ফয়েজ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে কনস্টেবল এবাদুল শিশু অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। একপর্যায়ে সে বিষয়টি স্বীকার করে এবং শিশু সাঈদকে খুন করা হয়েছে বলে জানায়। এবাদুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝেরঝেরি পাড়ার সবুজ ৩৭ নম্বর বাসার চিলেকোটা থেকে শিশু সাঈদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এবাদুলের দেওয়া তথ্যমতে নগরীর বন্দরবাজার থেকে পুলিশ জেলা ওলামা লীগ সাধারণ সম্পাদক রাকিব ও কোর্ট পয়েন্ট সংলগ্ন মধুবন মার্কেটের সামনে থেকে পুলিশের সোর্স গেদাকে আটক করে।
এ ব্যাপারে কতোয়ালি থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, এবাদুল, রাকিব ও গেদা-এ তিনজন মিলেই শিশুটিকে অপরহরণ করে হত্যা করেছে। বুধবার অপহরণের পর বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শিশু সাঈদকে হত্যা করা হয়। শিশুটির বাবার সঙ্গে আটক কনেস্টেবলের পূর্ব পরিচয় ছিল।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সিলেটের পরিদর্শক শামীমুর রহমান পীর জানান-বাসার চিলেকোঠা থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। একটি পাটের ও ৬টি প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো ছিল মরদেহ। শিশুটির গলায় প্রায় দুই হাত লম্বা একটি রশি লাগানো ও গলায় রশির দাগ মিলেছে।শিশুটির গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
বিষয়: বিবিধ
১০৬১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন