পাশ্চাত্য সভ্যতা বনাম আমাদের সভ্যতা
লিখেছেন লিখেছেন নাজমুল আহসান ০৭ মার্চ, ২০১৫, ০১:২৮:০৭ দুপুর
পরাধীনতার চেয়েও জঘন্য কিছু স্বাধীনতা আছে যা কখনো কাম্য হওয়া উচিৎ নয়। যে স্বাধীনতা নিজের স্বকীয়তা এবং সমভ্রমের জন্য হুমকি তাতে গা ভাসিয়ে দেয়াকে আধুনিকতা বলা যায়না । নিয়ন্ত্রীত স্বাধীনতা লাগামহীণ স্বাধীনতার চেয়ে ঢ়ের ভাল ।
একটি কুকুর কোথায় গেল কি করলো তার গর্ভে কার বাচ্চা ধারণ করলো এটি সভ্য সমাজের প্রশ্ন নয় । প্রতিটি সন্তান একসময় তার পিতৃপরিচয় জানতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক । বর্তমানে আধুনিকতার নামে, ভালবাসার নামে নারী-পুরুষের সর্বত্র অবাধ বিচরণ আমাদের কে পাশ্চাত্য সভ্যতা বনাম কুকুরীয় সভ্যতা কে স্মরণ করিয়ে দেয় ।
আমাদের সভ্যতা আর পাশ্চাত্য সভ্যতার মাঝে পার্থক্য হলো আমরা সবচেয়ে বেশি ভালবাসি মা’ কে আর পাশ্চাত্যরা সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে এই মা’কেই । তারা মাকে চিনে কিন্তু বাবার পরিচয় জানেনা । বাবার পরিচয় জানার জন্য তাদের কে সম্ভাব্য বাবাদের একিট শর্টলিষ্ট তৈরি করে সম্ভাব্য বাবাদের ডি ন এ পরীক্ষা করাতে হয় । ভাগ্য বেশি ভাল হলে পরিচয় মিলেলা নচেৎ নয় ।
আমাদের দেশের আধুনিক ছেলেমেয়েদের ভালবাসার ফসলদের কে মাঝে মাঝে খালের ধারে বিলের ধারে ডাস্টবিনে আহত- নিহত অবস্থায় পাওয়া যায় । যেসব শিশু বেঁচে যাচ্ছে পিতৃ পরিচয় জানার জন্য তাদের কেও ডি এন এ পরীক্ষার আশ্রয় নিতে হবে । আর ডাক্তার ক্লিনিকের কল্যানে যেসব abortion হচ্ছে কিংবা প্রতিরোধের অন্যান্য আধুনিক উপায় যারা অবলম্বন করছেন তারা কি বেচে যাচ্ছেন মানবিক ক্ষয় থেকে ? যে মানবিক ক্ষয় পাশ্চাত্য দুনিয়াতে মেন্টাল হাসপাতালের সংখ্যা উত্তারাত্তর বৃদ্ধি করছে ! সেই মানবিক ক্ষয় থেকে বেঁচে যাওয়া সম্ভব নয় ।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মেন্টাল হসপিটাল বেশি আমেরিকায় । স্কুলে বাচ্চাদের ক্লাস চলছে-হঠাৎ কেউ একজন স্কুলের মধ্যে ঢ়ুকে পড়লো আর গুরি করে মের ফেললো ক’টি বাচ্চা,পরে মানষিক রোগিটি নিজেও আত্মহত্যা করলো--এই হলো পাশ্চাত্য ।
যাদের সমাজ অন্যকে নাজেহাল করার শক্তিতে বিশ্বাসী--কখনোও তারা আস্থা-বিশ্বাস এবং ভালবাসার শক্তিতে বিশ্বাসী নয় । যদি তাই হতো বোমার পরিবর্তে তারা অন্যকে ভালবাসা দিত--আস্থা-বিশ্বাস আর ভালবাসা দিয়ে তারা মোকাবেলা করতো অন্য কে । কিন্তু না, তারা ভালবাসাবাসির সভ্যতায় বিশ্বাসী নয় তারা কুকুরীয় সভ্যতায় আস্থাশীল ! এজন্যই তাদের কুকুর পোশার সখ । আমাদের আধুনিক সমাজেও এর হাওয়া লেগেছে অনেক আগেই ।
শূকর যখন যৌনকর্ম করে তখন তার বন্ধু- বান্ধবদের সাথে নিয়েই করে--অর্থাৎ,নিজের স্ত্রী অথবা প্রেমীকা বন্ধুদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত ! এই সংস্কৃতি পাশ্চাত্যরা চর্চা করে । তারা বন্ধুর সাথে স্ত্রী বদল করে পরে যার স্ত্রী সে আবার ফিরিয়ে ও নেয় । চিন্তা নেই.আজকাল আমাদের আধুনিক সমাজে এই সংস্কৃতির চর্চা শুরু হয়েগেছে ।
পাশ্চাত্যে আজ আস্থা বিশ্বাস শূ্ণ্যের দিকে যাত্রা করছে ;আমরাও তাদের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই ! বেশকিছু আগে খবরের কাগজে পড়েছিলাম একটি ঘটনা--স্বামী-স্ত্রী দুই আমেরিকান রান্না করছিলেন । একপর্যায়ে ‘স্বামী’ভালবাসার খুনসুটি স্বরুপ একটি পেঁয়াজ ছুঁড়ে মারেন স্ত্রীর দিকে;অত:পর স্ত্রী তার হাতের পেঁয়াজ কাটার ছোরাটা ঢ়ুকিয়ে দিলেন স্বামীর পেটে--স্পটডেথ--এই হলো পাশ্চাত্য ! আস্থাহীণতা-অবিশ্বাস-মানসিক অসুস্থতা এভাবেই ধ্বংস করে তাদের !
এক জাপানী গিয়েছিলেন আমেরিকায় বেড়াতে , তো তিনি ভুল করে এক মহিলার বাসার দরজায় কড়া নাড়েন । মহিলা ভেতর থেকে পরিচয় জানতে চান কিন্তু ইংরেজি না জানা বা না বুঝার কারনে মহিলার কথার অর্থ বুঝছিলেননা জাপানী । অতপর: মহিলা তার বাসায় সংরক্ষিত বন্দুক দিয়ে নিজ হাতে জাপানীকে শায়েস্তা করলেন-স্পটডেথ !--এই হলো আমেরিকা (সূত্র “যশোহা বৃক্ষের দেশে-হুমায়ূন আহমেদ )
আমি ভেবে কূল পাইনা দুনিয়ায় এত সভ্যতা থাকতে কেন আমরা দিন দিন অন্তঃসারশূণ্য এই পাশ্চাত্য সভ্যতাকে অনুসরন করছি !
বিষয়: সাহিত্য
২০৩৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন