আন্দোলনে বিএনপির হার্ডলাইন জামায়াতের নিশ্চুপ আওয়ামিলীগের ভয় সব খোলাসা হবে ২৭ শে ডিসেম্বর।
লিখেছেন লিখেছেন জেসিসামি ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:২৭:৫৬ বিকাল
বিএনপি এবার হার্ডলাইনে। তাদের অস্তিত্ব এখন সংকটের মূখে। কারন তারা যদি ক্ষমতায় যেতে না পারে তবে সংগঠনটি অস্তিত্বের মুখে পড়বে কারন তারা ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন নয়। বাংলাদেশে একমাত্র ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন হচ্ছে ছাত্রশিবির অবশ্য তাদের রয়েছে দেশের স্বাধীনতা বিরোধী একটা মনোভাব । অন্য দিকে আওয়ামিলীগ একটি সন্ত্রাস ভিত্তিক ও পরনির্ভর সংগঠন। তারা সবসময় বাহিরের দিকে অথবা দেশের সেনাবাহিনী অথবা সন্ত্রাস পছন্দ করে। তাদের আমলেই উত্থান হয়েছে জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান নামে সন্ত্রাসী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তবে ক্ষমতা বাহিরে প্রায় বিএনপি রয়েছে ৮ বছর যদি আরও ৪ বছর থাকে তবে বিএনপির কর্মী পরিচয় দেবার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। এমতাবস্থায় ৪ বছর যদি আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকে তবে জামাতের সুবিধাই সবচেয়ে বেশী। তারা প্রধান বিরোধী হিসাবে আত্বপ্রকাশ করতে পারবে এমনকি ক্ষমতায় ও তাদের দেখা অস্বাভাবিক কিছু হবে না। এটা জামায়াত যেমন ভালো বুঝে বিএনপি ও ভালো বুঝে। আর তাই জামায়াত এখন নিশ্চুপ। কয়েকজন জামাতের উচ্চ নেতার কথাবার্তায় বুঝা যাচ্ছে যদি এবার বিএনপি ভালো ভাবে নামার ঘোষনা দেয় এবং মাঠে থাকে তবেই জামায়াত মরণ কামড় দিবে কারন ক্ষমতার স্বাধ সবারই ভালো লাগে জামাতের ভালো না লাগার কোন কারণ দেখিনা। তারা চায় না তাদের রক্তের উপর বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে মজা লুটবে। এমতাবস্থায় ভারত চাচ্ছে যে বিএনপি ক্ষমতায় আসুক তা না হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল হবে আওয়ামিলীগ অথবা জামাত। এখানে আওয়ামিলীগে ভারতের সমস্যা নেই সমস্যা আছে জামাতে। এতকিছুর পর সম্ভাবনাময় হলো যদি ২৭ তারিখ বিএনপি জবাব দিতে না পারে তবে একটি রাজনৈতিক দলের মৃত্যু ঘটা অস্বাভাবিক কিছু হবেনা। অন্য দিকে যদি আন্দোলনের শুভ সূচনা করতে পারে তবে তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারবে। এদিকে জামাত চাচ্ছে সময় কম নিয়ে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে। এতে ক্ষয় হবে কম সাফল্য আসবে বেশী কারন যদি আন্দোলনে আওয়ামিলীগকে সময় দেওয়া হয় তবে দেখা যাবে আন্দোলনের মোড় ঘুরে যাবে। এইচটি ইমামের বক্তব্য-ই তার প্রমান। অন্যদিকে জামায়াতের নিশ্চুপতা আওয়ামিলীগ সহ দেশের বুদ্ধিজীবিদের ভাবিয়ে তুলছে। কারন তারা ঝাঁকি দিলে দেশ ঝুকেঁ যায় আর নিশ্চুপ থাকলে ভয়াবহ পরিকল্পনার আভাস। তাই অপেক্ষায় থাকলো ২৭ তারিখ কি হয় এদেশে............
বিষয়: বিবিধ
১২৪৯ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিএনপির কাবযাব আর দেখানোর সুযোগ নেই । সিনিয়র নেতারা নেড়ি কুত্তার মত মাইর খাওন থেকে আপাতত বাঁচতে পারলো ।
ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন তো বুঝা গেল, দেশের স্বাধীনতা বিরোধী এর অর্থ বুঝলাম না। তারা কি দেশটাকে ভারতের অন্তর্ভুক্তি চায়? অনেকে বলে পাকিস্তান বানাতে চায়, কিন্তু সেতো পাগলের প্রলাপ মনে হয়, না হয় শিবিরই পাগল। কারণ সহজ, বহুদূরের পাকিস্তান, ভারত অনুমতি না দিলে এখানে একজন পাকিস্তানীরও আসার উপায় নেই। ভারতের উপর দিয়েই তো আসতে হয়। একটি দলের বিরুদ্ধে ফালতু প্রলাপ বকে নিজেকেই সবাই হাস্যপদ করে তোলে। দেশের মানুষ তো মূর্খ নয় ভাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন