আমি ও আমরা 'ছোটলোকে'রা
লিখেছেন লিখেছেন সরোজ মেহেদী ২৫ মে, ২০১৫, ০৭:১২:২২ সন্ধ্যা
আমার কাছে মনে হয়, দারিদ্রতা একজন মানুষকে মানসিকভাবে নি:স্ব করে দেয়।ওই মানুষটির জন্য এমন একটা ছোট জগৎ তৈরি করে যেখানে দরিদ্র বেচারা সারাক্ষণ নিজেই নিজের ছায়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
তাই বাংলাদেশে একজন মানুষের খারাপ খবর শুনে তার প্রতিবেশীরা অনেক খুশি হয়।আবার ওই মানুষটির কোনো সুসংবাদে তার প্রতিবেশীরা এর চেয়েও অনেক অনেক বেশি আহত হয়।অথচ
এসবে কিন্তু কারো জন্য কোনো কল্যাণ নেই? আমরা এসব করতে গিয়ে নিজেরা নিজেদেরই প্রতারিত করছি প্রতিনিয়ত।
পরিতাপের সত্যটা হলো, দুর্নীতি আর রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নের শিকার আমাদের দেশটার অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র।যাদেরকে সংখ্যালঘু ধনীরা 'ছোটলোক' বলে। এইসব 'ছোটলোক', মানে আমি ও আমরা না ঠিক করে খেতে পাই।না পরা বা পড়ার সুযোগ পাই।সংকুচিত একটি আবাসে পৃথিবীর প্রায় সব সুযোগ সুবিধা বন্চিত মানুষ আমরা।
যারা জানি না, আমাদের দেখা বা জানার বাইরে নতুন এক জগৎ আছে।সুন্দর একটি সমাজ আছে।অনেক ভাল ভাল মানুষ আছে।ভিন্ন কিছু অর্জন আছে।
আমাদের রাজনীতিবীদেরা তথা দেশের মালিকেরা আমাদের মৌলিক আর মানবিক সব সুবিধাগুলো থেকে যেমন বন্চিত করছেন আবার আমাদের করে রাখছেন উন্নত পৃথিবী থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন।ফলে আমরা চোখ থেকেও অন্ধের মতো, কান থেকেও বধির।
এত সব বন্চনার শিকার বলেই হয়তো আমরা অপরের দু:খ দেখে বিকৃত সুখলাভের জন্য অপেক্ষা করি।কিন্তু এতে কি কারো চলার পথ থেমে থাকে!
কিংবা এসব করে কি আমরা নিজেরা কিছু অর্জন করতে পারি?
সুতরাং আসুন মানসিকভাবে বড় হই, অপরের সুখে আমোদ বোধ করি।নিজেরা সুখি হই। বড় হই।
আর আসুন, দেশের বড় হওয়ার পথে যারা বাঁধা, সম্মিলিতভাবে তাদের শিকড় উপড়ে ফেলি।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের পিছিয়ে থাকার প্রধান কারন হানিফ সংকেত এর ভাষায়
"বাঙ্গালি একাই একশ কিন্তু একশ বাঙ্গালি কখনও এক হতে পারেননা!"
অত্যন্ত সঠিক কথা বলেছেন! মানসিক এই দৈন্যতা থেকে বাঁচতে পারলে অন্যগুলো থেকেও বাঁচাও সম্ভব হতো!
শুকরিয়া!
মন্তব্য করতে লগইন করুন