তার্কিশ ইতিকথা
লিখেছেন লিখেছেন সরোজ মেহেদী ২৩ মে, ২০১৫, ০৭:২২:৪০ সন্ধ্যা
দেশ হিসেবে তুরস্ক আসলে কতটা সুন্দর ও সমৃদ্ধ?বাংলাদেশে বসে আমরা যতটা ভাবি তার চেয়ে বহুগুণ বেশি।শহর হিসেবে আপনি লন্ডন আর ইস্তাম্বুলকে আলাদা করতে পারবেন না!দেশটি এশিয়ার নিকটবর্তী বলেই হয়তো ওইভাবে বাংলাদেশের নজর কাড়তে পারছে না।তবে আমেরিকান ও ইউরোপিয়ানরা বরাবরের মতোই এ বেলা দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।পৃথিবীর প্রবেশদ্বার তুর্কিস্থানে ওদের রয়েছে সরব উপস্থিতি।
তুরস্কে পা রাখার শুরুতেই যে বিষয়টি একজন পর্যটকের নজর কাড়বে তা হলো তার্কিশদের আতিথিয়েতা।অসম্ভব দিলখোলা মানুষ ওরা।আপনাকে খুব সহজেই আপন করে নেবে।তুর্কি ভাষায়(তুর্কচে) উচ্চস্বরে অভিবাদন জানাবে।
তার্কিশদের আন্তরিকতা আপনাকে যেমন মুগ্ধ করবে তেমনি ওদের সততা, সহযোগিতাপূর্ণ মানসিকতা ও জাতীয়তাবোধ দেখে আপনি তাদের সম্মান করতে বাধ্য হবেন।রাস্তায় হাঁটলে দেখবেন প্রায় প্রতিটি বাড়ি একটি নির্দিষ্ট স্থাপত্যরীতি অনুসরণ করে নির্মিত!স্টেশন, বাস, ট্রাম, ট্রেন সর্বত্র পতাকার ছড়াছড়ি।বাতাসে দুলে দুলে তারা যেন বলছে-আমরাই পৃথিবীর সেরা, শ্রেষ্ঠ এ ভূমিতে তোমাকে স্বাগতম হে বন্ধু…
তুর্কি ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে অপছন্দ করে তার্কিশরা।দেশটিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইংরেজি শিক্ষার প্রতি ছেলেমেয়েদের অনুৎসাহিত করা হয়।আপনি তাদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে গেলে অনেকেই সাফ জবাব দেবে ‘নো ইংলিশ।তার্কিশ’।ফলে ভাষা একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যে কারো জন্য।তবে ইংরেজির প্রতি ওদের বৈরিভাব এখন বোধহয় কিছুটা কমে আসছে।বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ইংরেজি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
ভাষা না বুঝলেও আপনি কোনো সহযোগিতা চাইলে ওরা আগ্রহ নিয়েই তা করবে।আপনি রাস্তায় বের হয়ে কোনো তুর্কির কাছে একটি জায়গায় কীভাবে যাবেন জানতে চাইলে সে আপনাকে নানাভাবে তা বুঝানোর চেষ্টা করবে।তার হাতে সময় থাকলে নিজেই আপনাকে স্টেশনে নিয়ে যাবে এবং একই দিকে যাচ্ছে এমন কারো সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে।কখনো কখনো ওই তুর্কি ভদ্রলোক নিজেই আপনাকে কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে দিয়ে আসতে পারে!আমার মনে হয় এসব করে এক ধরণের আনন্দ পায় টার্কিরা।আর এটাই তাদের কালচার।
তুরস্কে এসে আপনি নির্ভয়ে কেনাকাটা করতে পারেন।এখানে কেনাকাটাসহ সব কিছুই অনলাইনে হয়।প্রতিটি জিনিসের দাম ফিক্সড।সুতরাং দোকানির পক্ষেও বেশি দাম রাখার সুযোগ নেই।সন্ধ্যায় কোনো খাবারের দোকানে গেলে আপনি পেয়ে যেতে পারেন গিফটও।এখানে সবই মেগাশপ।ছোট দোকানের সংখ্যা কম।
শেষ করছি তার্কিশ মেয়েদের দিয়ে।মোটের উপর সব তুর্কি তরুণিই সুন্দর।ছেলেরা বেশ লম্বা।তবে বাংলাদেশী ছেলেদের সম উচ্চতার প্রচুর মেয়েও রয়েছে।
ছেলে বা মেয়ে আপনি নির্ভয়ে যে কারো সাথে কথা বলতে পারেন বা যে কারো সাহায্য চাইতে পারেন।বাংলাদেশী মেয়েদের মতো কেউ অনাহুত সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করবে না।আসলে এখানে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে পার্থক্য চোখে পড়ার মতো না।
(প্রিয় দেশ-চলবে)
বিষয়: Contest_priyo
১৯০২ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ মানে উনারা একি ধরনের পোশাক পড়েন ? তুরষ্ক কি মুসলমান কান্ট্রি ?
ছেলে মেয়ের মধ্যে পার্থক্য চোখে না পড়াটা মনে হয় খুব আধুনিকতার পরিচায়ক ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন