জীবনের খুঁজে, জীবনের কাছে...

লিখেছেন লিখেছেন সরোজ মেহেদী ০৯ মে, ২০১৫, ১০:৩৮:৪৩ রাত

১. ইয়েমেন, ইন্দোনেশিয়ান, ইথিওপিয়ান ছেলে মেয়েরা তাদের নিজস্ব স্টলে, নিজস্ব ভাষায়, নিজস্ব ঢংয়ে গানের তালে তালে নাচছে। অন্যদেশের শিক্ষার্থীরা তা উপভোগ করছে।ইয়েমেনিদের এরাবিয়ান নাচই অতিথিদের নজর কাড়ছে বেশি।আমার চোখে এর সবটাই নবরুপে ধরা পরছে।

ইস্তাম্বুলে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের 'পরিচিতি মেলা' শুরু হলো আজ।পৃথিবীর প্রায় ১৭৬টির এর মতো দেশের ছাত্ররা এতে অংশ নিচ্ছে।প্রতিটি দেশ একটি স্টলের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরছে।এক দেশের শিক্ষার্থীরা অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচিত হচ্ছে।আসলে দুনিয়ার কতকিছু যে একদমই অজানা রয়ে গেছে তা এ মেলায় না আসলে বুঝতে পারতাম না।তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি হচ্ছে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত।

কী অদ্ভূত না! একদল ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ভঙিতে গাইছে, নাচছে।আর একদল ভিন্ন মানুষ তা প্রোগ্রাসে গিলছে। এখানে ভাষা বা উদযাপনের ধরণে পার্থক্য আছে ঠিকই, আনন্দ-উপভোগে সবাই সমান। হাসি কান্নার আসলে ভিন্ন কোনো ভাষা হয় না?

শিক্ষা মানুষকে মিলিয়ে দিয়েছে মানুষে। সংস্কৃতি মিশে গেছে সংস্কৃতির পেটে। উসকুদারের ছোট একটি মাঠ আবির্ভূত হয়েছে সমগ্র পৃথিবীরুপে।আনন্দের খবর, আমার বাংলাদেশও এই পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ এক গ্রাম হয়ে আছে!

২. ইস্তাম্বুলে এখন সন্ধ্যা।মেলা থেকে আমরা কয়েকজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী চলে এসেছি ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আফজিলার ক্যাম্পাসে(সর্ব মোট ক্যাম্পাস, আটটি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ছয়দিনব্যাপী বসন্তবরণ উৎসবের শেষ দিন আজ। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুস্থ উৎসবের আমেজ। এখন চলছে কনসার্ট।শিল্পীদের গানের তালে তালে মেয়েরাই নাচছে বেশি।উপস্থিতী হিসাব করলেও মেয়েরাই বেশি হবে। ওরা এখানে থাকবে রাত ১১টা অবধি। অথচ কোনো অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কাতো দূরের কথা কোনো মেয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার হবে এটা আপনি এখানে কল্পনাও করতে পারবেন না!

আসলে ইস্তাম্বুলের সমাজে সব মানুষের অধিকারকে সম্মান করার সংস্কৃতি বিদ্যমান।সুতরাং এখানে নারী মানুষও সম্মানিত হয়, নিরাপদে চলাফেরা করার সুযোগ পায়।

বিষয়: বিবিধ

১২৮৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

319122
১০ মে ২০১৫ রাত ০২:২৬
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
এতো দেখি বিশাল সমাবেশ!শিক্ষা মানুষকে মিলিয়ে দিয়েছে মানুষে। সংস্কৃতি মিশে গেছে সংস্কৃতির পেটে। Happy

শুকরিয়া!
১০ মে ২০১৫ রাত ১১:৩৩
260427
সরোজ মেহেদী লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম সালাম।আসলেই।
319163
১০ মে ২০১৫ সকাল ০৮:০৮
আবু জারীর লিখেছেন : আমাদের দেশের নরপশু হায়েনারা কবে যে মানুষ হবে আল্লাহ্‌ই ভালো জানেন।
ধন্যবাদ।
১০ মে ২০১৫ রাত ১১:৩৬
260429
সরোজ মেহেদী লিখেছেন : আমার মনে হয় না বাংলাদেশের কোনো সম্ভাবনা আছে ভাই।
319188
১০ মে ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বিষয়টা বোধহয় এত সহজ নয়!!!
চট্টগ্রাম টার্কিস হোপ স্কুলে কর্মরত এক তুর্কি বন্ধুর কাছে কিন্তু তুরুস্কেও ইভ টিজিং এবং নারি নির্যাতন হয় বলে শুনেছি।
১০ মে ২০১৫ রাত ১১:৩৮
260430
সরোজ মেহেদী লিখেছেন : টার্কি কেন, টিজিং কোন দেশে নাইরে ভাই? তবে এখানে না আসলে বুঝবেন না কত সুন্দর সামাজিক ব্যবস্থা ওরা গড়ে তুলেছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File