মাসজিদুল আকসার মুয়াজ্জিন ও আমি!

লিখেছেন লিখেছেন সরোজ মেহেদী ২৩ এপ্রিল, ২০১৫, ১১:৩২:১৮ রাত

বাইতুল মোকাদ্দাস থেকে সকাল সন্ধ্যা নিয়ম করে যে মানুষটির কণ্ঠ ভেসে আসে। সামনে বসে সেই মোয়াজ্জিনের আজান শুনলাম!শুকনা গড়নের এ মানুষটির কণ্ঠে যেন আল্লাহ অমীয় ঢেলে দিয়েছেন।মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের তৃতীয় পবিত্র স্থান মাসজিদুল আকসা তথা বাইতুল মোকাদ্দাস এখন ইসরায়িলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে এখানে চাইলেই যেতে পারেন না কোনো মুসলিম।আমার ডর্মে কয়েকজন ফিলিস্তিনী আছে।তারা জানাল- ওই অন্চলে বসবাস করা বয়স্ক মুসলিমরা বাইতুল মোকাদ্দাসে নামাজ পড়তে গেলে চুপ থাকে ইসরায়িলি সেনাবাহিনী।তবে ইয়াং কোনো ফিলিস্তিনীকে মসজিদের আশপাশে দেখলেই গুলি করে।প্রতিদিনই এলাকাটিতে রক্ত ঝরছে।ফিলিস্তিনের অন্য অন্চল থেকে লোকজনকে মসজিদে আসতে দেয়া হয় না।পৃথিবীর বিভিন্ন অন্চল থেকে সীমিত সংখ্যক মুসলমান শহরটিতে প্রবেশের অনুমতি পান। এই মসজিদটিকে ইহুদি খৃস্টানরাও নিজেদের প্রধান উপাসনালয় মনে করে।

ইসলাম ধর্ম মতে-মেরাজে যাওয়ার আগে সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) মসজিদটিতে এসেছিলেন।এখানে তিনি নিজের ইমামতিতে তার আগে প্রেরিত সকল নবী রাসূলদের নিয়ে নামাজ আদায় করেন। এমন নানা কারণে প্রতিটি মুসলমানের বিশেষ আবেগ রয়েছে এ মসজিদ নিয়ে।আজ যেখানে প্রবেশ করতে চাওয়া মানে মৃত্যুকে কাছে ডেকে আনা।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাইতুল মোকাদ্দাসসহ ফিলিস্তীন দেশটি ছিল তুর্কি তথা উসমানীয় খেলাফতের অধীনে।প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্ক পরাজিত হলে তা বৃটিশদের অধীনে যায়।যা পরবর্তী সময়ে ইহুদিদের গিফট করা হয়।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসরায়িলের অব্যাহত মানুষ হত্যার এক প্রতিবাদ সভায় এসেছিলেন এ মোয়াজ্জিন।ছোট বেলায় কত গল্প শুনেছি মাসজিদুল আকসা নিয়ে।আজ সেই আকসার মোয়াজ্জিন আমার সামনে।ক্ষণে ক্ষণে তাই আবেগের রং বদলাচ্ছিল।আমি চাইলেই আকসায় গিয়ে নামাজ পড়তে পারব না। আমর নামটা মুসলমানের আর একটি গরীব তথাকথিত মুসলিম প্রধান দেশে আমার জন্ম বলে এলাকাটি আমার জন্য নিষিদ্ধ।অমার কানও যেন এ নির্মম সত্যটা উপলদ্ধি করতে পেরেছিল।তাই থেকে থেকে বারবার বাজছে মোয়াজ্জিনের সে সুলিল আহ্বান, আমাকে আপ্লুত করে, আবেগী করে সে সুর কান থেকে মনে রয়ে যায়...

বিষয়: বিবিধ

১৩০৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

316563
২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৫১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো।
ভাই আপনার মত আমাদের হৃদয়েও সেই দুঃখ। অথচ এই বায়তুল মুকাদ্দাস যখন প্রথম হযরত উমর (রাঃ) এর সময় মুসলিম দের অধিকারে আসে তখন সেখানে সকল ধর্মাবলম্বির সমান অধিকার ছিল। সুলতান সালাহউদ্দিন আ্ইয়ুবি যখন একে ক্রুসেডার দের খেকে মুক্ত করেন তখনও সেই অধিকার তাদের দিয়েছিলেন।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:১১
257695
সরোজ মেহেদী লিখেছেন : সেটাই।দুর্বল মুসলিম নেতৃত্বই আসলে এ অবস্থার জন্য দায়ী।দেখি, একবার ঘুরে আসার ইচ্ছা আছে।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:১১
257741

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : অথচ এই বায়তুল মুকাদ্দাস যখন প্রথম হযরত উমর (রাঃ) এর সময় মুসলিম দের অধিকারে আসে তখন সেখানে সকল ধর্মাবলম্বির সমান অধিকার ছিল।

হজরত ওমরের সময় সব ধর্মাবলম্বির সমান অধিকার ছিল! এ তথ্য কোথায় পেয়েছেন? নিরপেক্ষ রেফারেন্স আছে কি?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File