ক্রিকেটিয় হাসি-কান্না...
লিখেছেন লিখেছেন সরোজ মেহেদী ১৬ এপ্রিল, ২০১৫, ১১:৪১:০৭ রাত
এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে ভেবেছিলাম পাকিস্তান শক্তিশালী দল ওদের কাছে হারাটাই স্বাভাবিক।হারতে হারতে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ম্যাচটা জিতে গেলে ম্যচ শেষে চোখ দুটি আর স্বাভাবিক থাকেনি।দৌড়ে অফিস থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। একই সময়ে গাল বেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছিল।
সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ছাড়া ক্রিকেট নিয়ে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া আমার মধ্যে আর কখনো হয়নি।নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার সময়ও না।
যে যাই বলেন, গার্মেন্ট শিল্পের ক্রমবর্ধমান বিকাশ, ড. ইউনূস ও নোবেল এমন নানা স্মৃতিচারণ শেষে বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয় ক্রিকেট দিয়েই।বিদেশী বন্ধুদের সাথে তর্কে সমতা আনতে ক্রিকেটটাকেই মুক্ষম অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাই আমি।আমাকে বুঝে না বুঝে সমর্থন দেয় জিম্বাবুইয়ান মনোহারিনী মেয়ে তেনদাই।
চাপাবাজির মাত্রা এতটা তীব্র যে, ক্রিকেট বুঝেনা এমন বন্ধুরা বাংলাদেশকেই ক্রিকেটের নাম্বার ওয়ান পরাশক্তি ধরে বসে আছেন।
১২ তে এশিয়া কাপের ফাইনাল জিতলে বিডির ক্রিকেট ইতিহাসটা ভিন্নরকম হতে পারত।শিরোপাধারী টাইগারদের হয়তো আমরা আরও বেশি শক্তিশালীরুপে পেতাম এখন।
সেদিন তা হয়নি বলে কেঁদেছিলাম।মানবজমিনের কলিগরা নানাভাবে স্বান্তনা দিয়েছিলেন।তৎকালীন চিফ রিপোর্টকর কাজল দা মন ভালো করতে পরদিন অপ্রত্যাশিত ডে অফ দিয়েছিলেন।তবু আজও মন খারাপ।
সেই পাকিস্তান আবার আমাদের মাটিতে, আমাদের মুখোমুখি হচ্ছে।(টস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর) বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপরাজিত থাকা একমাত্র টেস্টখেলুড়ে দেশ ওরা। ১২ র বিষন্ন মনের ১৫ তে এসে প্রসন্ন হওয়ার সুযোগ সামনে।
বাংলাদেশ অন্তত একটি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালে সেদিনের সেই কান্না নিখাদ হাসিতে রুপ নেবে।ক্ষত বিক্ষত দরিদ্র বাংলাদেশ আর একবার হুহু করে পাগলা হাসি হাসবে।হাসির কারিগররা শুনছ কি বাংলাদেশের হ্রদয় ধ্বনি
বিষয়: বিবিধ
১১৪৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদেরকে কর্ম বাদ দিয়ে ক্রিকেট নিয়ে পাগলপ্রায় হওয়া উচিত নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন