প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও চানাখখালে দর্শন
লিখেছেন লিখেছেন সরোজ মেহেদী ১১ এপ্রিল, ২০১৫, ১২:৫৯:২৩ দুপুর
চানাখখালে।যে নামটার সাথে ভেসে উঠে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সাড়ে তিন লাখ শহীদের রক্তাত্ব মুখচ্ছবি।তুরস্কের চানাখখালের সেই শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ পেলাম আজ।প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান-উসমানীয় খেলাফত তথা তুর্কি বাহিনীর পরাজয় হলে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত সব ভূমি হারায় তুরস্ক(মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বলকান অন্চল অন্যতম)।সে সময় তুরস্কের মূল ভূখণ্ড দখল করতে অসে উচ্চাভিলাসী বৃটিশ নেতৃত্বাধীন বিশ্ববাহিনী। চানাখখালের গালিপল্লী দিয়ে হামলা চালায় বৃটিশ নেতৃত্বাধীন বিশ্ববাহিনী।মাতৃভূমি রক্ষায় পাল্টা হামলা চালায় তুর্কি বাহিনী।শুরু হয় দুই পক্ষের অসম যুদ্ধ।
প্রায় পৌনে দুই লক্ষ সৈন্য মারা পড়লে গালিপল্লির যুদ্ধে পরাজয় মেনে নেয় বৃটিশ বাহিনী।সেইসাথে রক্ষা পায় অখণ্ড তুরস্ক। সেই যুদ্ধে দেড় লাখের মতো টার্কি সেনাও শহীদ হয়।
যুদ্ধের উপসেনাপতি কামাল পাশা নিজের ও শত্রুপক্ষের সব সেনাদের চানাখখালেতে কবর দেন। তাদের উদেশ্যে পাশা দুটি শোকাচ্ছন্ন কবিতাও লেখেন।
তোমরা যারা এ যুদ্ধে শহীদ হয়েছ/মৃত্যুর পর তাদের আর কোনো ভিন্ন পরিচয় নেই/তোমরা সবাই আমার ভাই/ঘুমাও, এখানে শান্তিতে ঘুমাও (ধারণাকৃত অনুবাদ।হুবুহু নয়)।
সরকারিভাবে সেই যুদ্ধের শতবর্ষ চলছে পুরো তুর্কিজুড়ে।আমরা বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ইস্তাম্বুল থেকে চানাখখালে এসেছি বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে।
ঐতিহাসিক ট্রয় নগরী এই চানাখখালেতেই।পৃথিবীর ইতিহাসের বিশাল একটি অংশ দখল করে আছে প্রাচীন এ শহরটি।
বিষয়: বিবিধ
১১০৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহ
গ্যালিপলি যুদ্ধ পৃথিবির ইতিহাসের গুরুত্বপুর্ন ঘটনাগুলির অন্তর্ভুক্ত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন