ফাল্গুন ও লেজেহুমোময় শুভেচ্ছা
লিখেছেন লিখেছেন সরোজ মেহেদী ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১১:১৯:৫১ রাত
এক দেশে ছিলেন এক জেনারেল কবি।হঠাৎ তিনি হয়ে গেলেন রাষ্ট্রপতি।তার নাম ছিল লেজেহুমো।ওই দেশেই ছিল আর এক রাষ্ট্রপতির বাস।যার নাম ছিল ডা. বদু চৌ।দু’জনের মধ্যে ছিল নানা বিষয় নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা।তো হলো কি-একবার লেজেহুমো প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হলেন।অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি গেলেন ডা. বদুরই এক জুনিয়রের কাছে চিকিৎসা নিতে।
তার পরের কাহিনী শুনুন-বদৌ চৌ জুনিয়র লেজেহুমোকে খুঁটিয়ে নাটিয়ে দেখলেন।কিছু ঔষুধের সাথে তাকে দুটি সাপিসেটরও দিলেন।অতপর বললেন, আপনার অবস্থা খুব একটা ভাল না। আপনি ওপাশ হয়ে দাঁড়ান আমি এখনই আপনাকে একটা সাপিসেটর দিয়ে দেই।আর একটা বাসায় গিয়ে চার ঘন্টা পর দিবেন।জুনিয়র ডাক্তারের সাপিসেটর খেয়ে হুমো সাহেব বাসায় এসে বেঘোরে ঘুমালেন।এদিকে তার জ্বর বেড়ে তিনগুণ। মধ্যরাতে হুমোর ওয়াইফ মিসেস বিদিশা বেচারাকে ডেকে তুললেন অপর সাপিসেটরটি দিয়ে দেয়ার জন্য।
এতক্ষণ সবকিছু ভালই চলছিল।তবে যেই না লেজেহুমোকে সাপিসেটর দিতে গেলেন তার ওয়াইফ সেই মুহূর্তে বাঁধল বিপত্তি।হুমো সাহেব চিল্লাইয়া উঠলেন এই রাখো রাখো ‘তোমার একটা হাত আমার পিঠে আর একটা আমার পেছনে কেন’ উত্তেজিত গলায় জানতে চাইলেন তিনি।হাসতে হাসতে বিদিশা উত্তর দিলেন-এক হাত পেছনে না থাকলে সাপিসেটর ঢু...কী করে।বউ এর এমন উত্তর শুনে মুখটা শুকিয়ে গেল হুমো সাহেবের।তিনি ফিস ফিস করে বললেন-তাহলে সন্ধ্যায় দুই হাত আমার পিঠে রেখে বদুর ওই জুনিয়র ডাক্তার কী, হ্যাঁ...কী...
শেষ কথা
একটা সময় গেছে, হুমো সাহেব ছিলেন যুবক।তার যৌবনে রঙিন ফাল্গুন ছিল, ছিল নানা বয়সী ফাল্গুনীরা।
আজ হুমো ‘নাই সাহেব’ টাইপ এক বৃদ্ধ পাপেট।তবে ফাল্গুনের আবীর আগের মতোই রঙিন, যা মেখে নানা ঢঙে ঘুড়ে বেড়ায় ফাল্গুনীরা আর তাদের পেছন পেছন ঘুরে নতুন সব খদ্দেরেরা।
আজকের দিনে তাদের সবাইকে লেজেহুমোময় ফাল্গুনীয় শুভেচ্ছা।শুভ হোক ফাল্গুন।
বিষয়: বিবিধ
১০৬১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন