বৃহত্তর ঐক্য করতে হলে সকল ইসলামিক শক্তিকে বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর পাশে দাঁড়ানো সময়ের দাবী।
লিখেছেন লিখেছেন মাসুম বিল্লাহ মাদানি ১২ মার্চ, ২০১৬, ০১:১৮:৩৫ দুপুর
আজকে একটা ভিডিও দেখলাম চর্ম নাই পীরের ভাই ছারছীনা দরবারে গিয়ে দুই দরবারে ঐক্যের ঘোষনা দিচ্ছে।
https://m.youtube.com/watch?v=IsPRkUhHreU&feature=share
এতে আবাল জনতা আনন্দে উচ্ছসিত হয়ে তাকবীর ধ্বনীতে আকাশ- বাতাস মুখরিত করে তুলছে। তাদের বুঝা উচিত শুধু বৃহত্তর ইসলামী দলের বিরুধিতায় আজ তারা ঐক্যবদ্ধ। এদের কাছে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা জামায়াতের চেয়ে ও উত্তম। যে ছারছিনা এত বছর নিজেদের অরাজনৈতিক দাবী করে সাঈদী সাহেবকে দরবারে আসতে দিত না। আজ তারা নাস্তিকদের ধোসর রাজনৈতিক হীন চরিত্রের চর্ম নাই কে জায়গা দিয়েছেন। কারণ মূলে সবাই বর্তমান সরকারের পদলেহন কারী চাটার দল। জেনে রাখা দরকার জামায়াতকে মূলোৎপাটন করতে পারলে ইসলামিক কোন দরবার বা পীর আওলীয়া কাউকে ই তারা ছাড়বে না। আজকে যারা খুব খুশি হচ্ছেন জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেখে। তারা ঐ জায়গায় যাওয়ার আগেই ঈমান বিক্রী করে আখেরাতের বিনিময়ে দুনিয়াকে কিনে নিয়েছেন। তবে বাতিলরা কাউকেই ছাড়ার পাত্র নয়। একদিন তারা ইসলামকে বাংলার জমিন থেকে বিদায় করতে আপনাদের ও ছাড়বে না। সুতরাং নাস্তিকদের পা চাটা গোলাম না হয়ে নিজেদের মধ্যে শিরক মুক্ত তাওহীদি চেতনা নিয়ে বৃহত্তর ঐক্যের জন্য সকলকে জামায়াতে ইসলামীর পাশে দাঁড়ানোর সময়ের দাবী বলে মনে করছি।
আজকে আগামী প্রজন্মকে ইসলাম শূন্য করতে নাস্তিকদের সব আয়োজন সম্পন্ন। পাঠ্য পুস্তকে হিন্দুয়ানী ধর্ম শিক্ষা ও ইসলামকে বিকৃত রূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মহানবী সঃ কে নিয়ে কুরুচিপূর্ন মন্তব্য ব্লগ বক্তৃতায় ছাড়াচ্ছে। ইসলামকে জঙ্গী সন্ত্রাসী বলে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। পাঠ্য পুস্তকে সচেতনতার নামে নিরাপদ অবৈধ যৌনতা শিখানো হচ্ছে। যাতে জাতির চরিত্র ধ্বংস করে জারজ সন্তানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়। সারা দেশে নারীদের ধর্ষণ, খুন, গুম এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশের প্রধান বিচারপতি হিন্দু, সারাদেশের প্রায় নব্বই ভাগ থানার ওসি হিন্দু, মাদ্রাসা গুলিতে হিন্দু শিক্ষক নিয়োগ, মুসলমানদের দেশে গরু জবাই নিষিদ্ধ করার মত দাবী তুলার দুঃসাহস দেখানো কিসের আলামত???
সুতরাং মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নাই। আমি ও মনে করি নিজেদের খুটিনাটি ভুলগুলি শুধরে জামায়াত, ছারছিনা, চর্মনাই সহ ইসলামী সকল শক্তি একই প্লাটফর্মে আসার বিকল্প নাই।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৪ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর বলেছেন। জাযাকাল্লাহ খাইর
আর উপরে আন্দোলনের যেসব ইস্যু উল্লেখ করেছেন, সেগুলো আপনাদের চেয়ে অন্যান্য ইসলামী দলগুলো বেশি করে.আপনারা পারেন শুধু নেতাদের ফাঁসি থেকে বাচাতে হরতাল দিয়ে জনগণের জান মালের ক্ষতি করা।
নাকি নাস্তিক, বাতিল শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কোন প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাচ্ছেন না?
লেখক যদি একটা পক্ষ নিয়ে কথা বলে, আপনিও কিন্তু কম যাননি! আপনিও পক্ষ নিয়েছেন। চোখ, কান, বিবেক বুদ্ধি যদি আল্লাহ্ আপনাদের দিয়ে থাকে, তা একবার ভেবে দেখুন, জামায়াতী নেতাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাচ্ছে ৭১ রে স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকার জন্য নাকি এখানে অন্য কোন কারণ রয়েছে?
২০১৩ সাল, হেফাজত আন্দোলনের সময় শুক্রুবার যখন সারাদেশে আন্দোলন হয়, ঢাকা থেকে অসংখ্য লোক ধরে থানায় ভরে, আমি ছিলাম তখন একটা থানায়। ৪০ জনের মত আন্দোলনকারীকে ধরে, রাত এগারোটায় ১৫ জন লোককে ছেড়ে দেয়া হয়, তারা কারা জানেন? তারা চরমনাই পীর সাহেবের মুরিদ। সবাই একই সাথে একই আন্দোলনে শামিল হয়ে গ্রেফতার হয়েছে, বাকিদের রেখে ১৫ জনকে কেন ছেড়ে দেয়া? এটা কিসের আলামত? কি জবাব দেবেন?
@ সত্যের বিজয়
একজনে যদি মউদুদী মতাদর্শ আকড়ে থাকে, অন্যেরা পীর নিয়ে আগলে থাকে!
সুন্দর বলেছেন। জাযাকাল্লাহ খাইর
মন্তব্য করতে লগইন করুন