নামাজের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ গোলাম ছাকলাইন ১৩ মে, ২০১৫, ১০:৪৬:২৫ রাত
নামাজ পড়া আমাদের কাছে অনেক কষ্টকর। বিভিন্ন বাহানা দিয়ে প্রতিদিন আমরা নামাজ ত্যাগ করছি। যদিও নামাজ আমাদের সকল মুসলমানের উপর ফরজ। নামাজের কথা শুনলেই আলসেমি ধরে যায়। এত আলসেমি আমাদের অন্য কোন কাজে আসে না। টিভির কোন সিরিয়াল মিস হয়ে গেলে আমাদের আফসোসের শেষ থাকে না কিন্তু আমাদের সকল মুসলমানের উপর ফরজ নামাজ মিস হয়ে গেলে আমাদের কোন আফসোস লাগে না।
আসুন এবার জেনে নিই নামাজের অবিশ্বাস্য ১১ টি স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ-
১/ নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।
২/ নামাজের যখন আমরা দাড়াই তখন আমাদের চোখ জায়নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
৩/ নামাজের মাধ্যমে আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।
৪/ নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন আসে।
৫/ নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।
৬/ নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।
৭/ নামাজে ওজুর সময় মুখমন্ডল ৩বার ধৌত করার ফল আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।
৮/ ওজুর সময় মুখমন্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয়। ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে যায়।
৯/ কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ সে বিরত থাকে।
১০/ নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১১/ কেবল মাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত্ন নেওয়া হয় ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায়কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে।
মহান আল্লাহ তায়ালা যেনো আমাদের ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করেন।- আমিন
(উপকারিতা-সংগৃহীত)
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৭ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগল। ভালো শেয়ার।
তবে হাঁ, বাড়ী বাড়ী যেয়ে খতম/মুসলমানী'র নামে হাতপেতে মুরগীর রান খাওয়া নূরাণী চেহাড়ার মোল্লা মৌলবীদের জন্য নামাজের স্বাস্থ্যগত উপকারিতার দরকার আছে বৈকি।
আমার মনে হয়, আপনি আপনার ব্যক্তিগত জীবনে খুব একটা সুখী নন কারন আপনি কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না। যদি ইহকাল ও পরকাল দুকালেই সুখী হতে চান তবে শান্তির ধর্ম্ ইসলামের ছায়াতলে আসুন।
আমিও যখন কোন সময় কোন টেনশন অনুভব করি তখন যেকোন নামাজ শেষে মসজিদে কিছুক্ষন বসে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করলে আমি টেনশনমুক্ত হই। এজন্য আমি মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন