মৃত ব্যক্তিটি জড়িয়ে আছেন আরেকজন জীবিত ব্যাক্তিকে!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ গোলাম ছাকলাইন ২৭ এপ্রিল, ২০১৫, ১১:১২:৪৮ রাত
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা যে কত ভয়াবহ তা বোঝা যায় যখন নেপালের ছবি দুটি দেখি। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। প্রতি মুহূর্তে উদ্ধার হচ্ছে নিথর বা রক্তাক্ত দেহ। দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন তাঁরা। নির্বিকারভাবে তোলেন লাশ। শোনেন আহতদের আর্তনাদ। কিছু ঘটনায় চমকে ওঠেন অভ্যস্ত উদ্ধারকর্মীরাও। থেমে যায় হাত। নাড়া দেয় হৃদয়। এমন সব ঘটনা দেখে কোনো কোনো সময় হয়তো ক্যামেরা ক্লিক করতেও ভুলে যান সুপটু ফটোসাংবাদিক। টাইম সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে এমনই দুটি ছবির গল্প ।
সেই ভয়াল শনিবার। শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে কাঠমান্ডুর শম্ভু এলাকার পাহাড়ের ওপরের একটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে বাড়িটি। বাড়িটির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পাশাপাশি আটকে ছিলেন এই দুজন। একজন মৃত। আরেকজন জীবিত। মৃত ব্যক্তিটি জড়িয়ে আছেন আরেকজনকে। যিনি জীবিত, তিনিও মৃতপ্রায়। ১৮ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপে আটকা ছিলেন।
একইসঙ্গে এই ছবিতে জীবন ও মৃত্যু। ছবিটি তোলেন এএফপির ফটোসাংবাদিক প্রকাশ মাথেমা।
এই মর্মস্পর্শী ছবিটি তুলেছেন ইউরোপিয়ান প্রেস ফটো এজেন্সির ফটো-সাংবাদিক নরেন্দ্র শ্রেষ্ঠ। তাঁর বাড়ি থামেল থেকে বেশি দূরে নয়। নেপালে আসা পর্যটকদের একটি বড় অংশ থাকে থামেলে। ভূমিকম্পে থামেলের একটি হোটেল বিধ্বস্ত হয়। সেখানে আটকা পড়েন অনেকে। ওই এলাকায় নির্মাণকাজও চলছিল। তাই সেখানে দৌড়ে যান শ্রেষ্ঠ। আশঙ্কা ছিল-নির্মাণশ্রমিকেরা ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন কি না।
উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একটি মাথা দেখতে পান। শরীরের বাকি অংশটি ধ্বংসস্তূপের নিচে। সবাই ভেবেছিলেন ব্যক্তিটি আর বেঁচে নেই। ওপরের স্তূপ সরানোর পর সবাই বিস্মিত হয়ে দেখেন-তিনি জীবিত।
মহান আল্লাহ আমাদের বাংলাদেশকে ভূমিকম্প থেকে হেফাজত করুন ।- আমিন
বিষয়: বিবিধ
১২২৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন