মিরপুর-১ এর কাঁচাবাজারসহ সকল ফুটপাত উচ্ছেদ: জনদুর্ভোগ চরমে

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ গোলাম ছাকলাইন ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৩:১০:১২ দুপুর



শিরনাম দেখলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কারন-

এক

কেউ মনে করতে পারেন ফুটপাত উচ্ছেদ করলে আবার জনদর্ভোগ কেমনে হয়। সেটাতো জনগনের জন্য আরো ভাল। জনগন আরামে আয়েশে ফুটপাত ব্যবহার করতে পারবে, চলাফেরা করতে পারবে । কিন্তু সত্যিই কি আমরা সাধারন জনগন তা পারি?



দুই

আবার কেউ আমার সাথে প্রথমেই একমত হবেন গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে যে তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নাকরেই এমন কাজ করা ঠিক হয়নি এজন্য। যদি তুলেই দেয়া হবে তাহলে বসতে দেওয়া হয়েছিল কেন? আইন শৃংখলা বাহীনি কি আজ বাংলাদেশে নতুন সৃষ্টি হলো ?



প্রশ্ন গুলোর উত্তর সচেতন জনতা খুব ভাল করেই জানেন।

এখন আমার আজকের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা বলি- আমি একটি বড় এনজিও তে মানব সম্পদ বিভাগে চাকুরী করি। স্বভাবিকভাবেই আমার বাজার করতে হয় শুক্রবারে এবং একসঙ্গে পুরো সপ্তাহের বাজার। যাই হোক আজ সকালে বাজারে গেলাম প্রথমে মাছের বাজার থেকে প্রয়োজনীয় মাছ কিনলাম, মাংস কিনতে হয়না কিছুদিন যাবত তাই মাংসোর বাজারে যাইনি। কারন কুরবানির মাংস এখনো শেষ হয়নি। এরপর গেলাম কাঁচা বাজারে, মাছের বাজার থেকে কাঁচা বাজারে ছোখ পড়তেই মনে হলো একি, আমি কি মিরপুর-১ এর কাঁচা বাজারেই এসেছি নাকি ভুল করে অন্য বাজারে আসলাম। যাইহোক অনুভুতি ফিরে আসার পর বুঝলাম ঠিক জায়গাতেই আছি কিন্তু বাজারটা্ই শুধুনেই। এখন কি করা যায়, আবার শুক্রবার জুমার নামাজ আছে কি করব ভেবে পাচ্ছিলামনা। এর মধ্যে একটি আলু পেয়াজের আড়ৎ চোখে পড়ল সেখান থেকে আলু আর পেয়াজ কেনার পর আড়ৎদার কে জিজ্ঞেস করলাম আশেপাশে কোন কাঁচা বাজার আছে কি না? উনি বললেন 'ভাই দুইটা দোকান আছে মাছের বাজারের গলিতে যান গলা কাইটা লইবো'। এই গলা কাটার (অর্থ দাম বেশী) কথা শুনে আর সেদিকে পা বাড়ালামনা । আবার আড়ৎদার কে জিজ্ঞেস করলাম ভাই এই অবস্থা আর কতদিন চলবে? তিনি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে বললেন এই এক সপ্তাহ! তার মানে তিন এবিষয়ে অভিজ্ঞ। এই বাজারে আমার মত শত শত মানুষ শুধু ঘুড়ছে কারো যেন কিছুই করার নেই। সবাই অসহায় এখানে। আর এ অসহায়ত্বের যেন শেষ নেই বাংলাদেশীদের!

সব জায়গার এক অবস্থা।

এর পর যেটুকু বাজার করেছি তাই নিয়ে রিকশায় রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে আর পথের মধ্যে যখন যেখানে সবজীর ভ্যান দেখলাম সেখান থেকে প্রয়োজনীয় সবজী কিনে বাসায় ফিরলাম একমহাযুদ্ধ শেষে! আপাতত: এক সপ্তাহের জন্য যুদ্ধ শেষ।

জনদুর্ভোগে থাকাটাই আমাদের সকল বাংলাদেশীদের জন্য বড় সুখ!

বিষয়: বিবিধ

১৩৩২ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

291498
০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৯
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : Applause Applause Applause ছাওয়াবের কাজ করেছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
235293
মোহাম্মদ গোলাম ছাকলাইন লিখেছেন : ছোয়াবের কাজ না পাপের কাজ তা নিয়মিত বাজারে না গেলে বোঝা যাবে না।
291501
০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যেভাবে পুলিশ মানুষকে মারধোর করে চলাচলের অযোগ্য ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার এর শিক্ষা(!) দিচ্ছে তাতে এটাত স্বাভাবিক!
পুলিশ-ম্যাজিষ্ট্রেট দের ঘুষের টাকা আছে। জনগন এর কি হলো সেই চিন্তা করে কে???
০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৪
235292
মোহাম্মদ গোলাম ছাকলাইন লিখেছেন : বাংলাদেশের সাধারন জনগনের একমাত্র ভরসা মহান আল্লাহ। তারা শুধুমাত্র আল্লাহকেই বিশ্বাস করে অন্য কাউকে নয়। এই জন্য বাংলাদেশের জনগনের চিন্তা অন্য কারো করতে হয় না!
291529
০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৯
হতভাগা লিখেছেন : ১নং এ বাজার উঠায়া দিছে তো কি হইছে ? মিরপুরে কি কাঁচা বাজারের অভাব আছে ? ৬নং এর মাসজিদ বাজারে যান বা ১১ নং এর বাজারে যান । সেখানে সবজি এভেইলেবল , ১নং এর চেয়েও বেশী আছে ।

''এই গলা কাটার (অর্থ দাম বেশী) কথা শুনে আর সেদিকে পা বাড়ালামনা ।''


''আমি একটি বড় এনজিও তে মানব সম্পদ বিভাগে চাকুরী করি। ''


০ বড় এনজিওর এইচ আর এ কাজ করা লোক দাম বেশী এর ভয় করে !!!
০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩১
235291
মোহাম্মদ গোলাম ছাকলাইন লিখেছেন : ভাই হতভাগা আপনার কাছে মিরপুরের অনেক বাজারের তথ্য আছে বুঝতে পরছি। তাই বলি, বোমার কাজ কখনো পটকা দিয়া হয় না- আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১৯
235313
হতভাগা লিখেছেন : বুঝতে পারি না - বুঝাইয়া বলেন
291631
০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:০৪
শেখের পোলা লিখেছেন : নতুন চাঁদার হার নির্দিষ্ট হলেই আবার শুরু হবে৷৷
০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২৩
235290
মোহাম্মদ গোলাম ছাকলাইন লিখেছেন : হ্যাঁ ভাই আপনার কথার যুক্তি আছে। দেখা যাক কয়দিন পর ঐসব নিদৃষ্ট হয়?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File