রাজন হত্যা ও ড.হাছান মাহমুদের মন্তব্য।
লিখেছেন লিখেছেন সাজেদুল ইসলাম ১৩ জুলাই, ২০১৫, ১১:৩৬:৩৬ রাত
আমাদের দেশের রাজনীতি মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে নোংরা রাজনীতি।এখানকার রাজনীতিবিদরা কখন কি বলে তার কোন ইয়ত্তা নেই।তাদের যখন যেটা খুশি তখন তারা সেটা মন্তব্য করে ফেলে।মন্তব্য করার আগে একবারও চিন্তা করে না যে আমি কি মন্তব্য করছি।তারা যে কোন বিষয়কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে।সিলেটে রাজন হত্যাকান্ড নিয়ে যখন সারা দেশব্যাপী তোলপাড় চলছে।এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তোলপাড় চলছে।এমন সময় আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ এমন এক মন্তব্য করলেন যাতে আমাদের অবাক হওয়া ছাড়া আর কিছুই নেই।তার মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করা যায় না।তিনি মন্তব্য করলেন যে,রাজন হত্যাকান্ডে খালেদা জিয়া দায়ী।তার যুক্তি গত ০৫ জানুয়ারি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছিলেন সমাজে তার বিরুপ প্রভাব পড়েছে।খালেদা জিয়ার সেই সন্ত্রাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সন্ত্রাসীরা সিলেটে রাজনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।ড.হাছান মাহমুদ আপনি হয়তো ভূলে গেছেন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের কথা যে দিন আপনাদের নেত্রীর কথায় লগি-বৈঠার আন্দোলনের নামে প্রকাশ্য দিবালোকে নিরীহ ছাত্রদেরকে হত্যা করে এমন হত্যাকান্ডের সূচনা করেছিলেন ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা।তারা সেদিন শুধু হত্যাকরেই ক্লান্ত হয় নি তারা লাশের উপর দাড়িঁয়ে নৃত্য করেছিল।সোনার ছেলেদের এমন কান্ড এখানেই থেমে থাকে নি তাইতো পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে দিবালোকে মিডিয়ার সামনে খুন করে নিরীহ দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎকে।আজ যদি এই হত্যাকান্ডগুলোর সঠিক বিচারের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্য্কর করা যেত তাহলে রাজনের মতো শিশুদের এমন ভাগ্যবরণ করতে হতো না।আমরা রাজন হত্যাকারীসহ সকল হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্য্কর দেখতে চাই।যাতে আর কেউ এমন সাহস করতে না পারে।এবং আর কোন মাকে যাতে এভাবে তার নাড়িঁ ছেড়া ধন হারাতে না হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
িইসলামী রাষ্ট্র ছাড়া ইসলামী আইণের ব্যাবহার প্রযোজ্য নয়।
আর ইসলামী রাষ্ট্র হলে প্রত্যেক নাগরিকের অন্ন বস্ত্র নিশ্চিত করা রাষ্ট্র এবং বাকি স্বচ্ছল নাগরিকদের দায়িত্ব।
হিংসার মধ্যে ডুবে থাকলেই শুধু এমন নিম্ন মানে জ্ঞনের পরিচয় মিলে।
হাসান মাহমুদ, ইনু জানোয়াররা এসব বুঝলে দেশের এই অবস্থা হতনা। এগুলা স্বঘোষিত পিশাচ।
আর বায়ুবিয় পিছলামি রাষ্ট্রে আল্লার ফেরেস্তারা আসমান থেকে নেমে এসে মানুষের ঘরে/ঘরে টাকার বস্তা দিয়ে যাবে।
ছাগু কি গাছে ধরে!!!!
উনি গত টার্মে মন্ত্রী ছিলেন , সম্ভবত বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের । এরও আগে তত্ত্বাবধায়কের আমলে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে বেশ একটা Goody ইমেজ গড়ে তুলেছিলেন ।
তার কথাবার্তা গত টার্মে বেশ রাশভারী টাইপের ছিল । মনেই হত না যে উনি এসব উল্টা পাল্টা কথা বলার লোক । এসব কথা বরং বলতো হাইব্রিড হানিফ ।
আওয়ামী লীগের মধ্যে একটা প্র্যাকটিস খুব ইফেক্টিভ , তাহলো - যখনই কোন মন্ত্রী/নেতা দেখবে যে সে নিজেকে অড পজিশনে ফেলে দিয়েছে বা দলে তার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে/আসছে - তখনই সে জিয়া ও খালেদা জিয়ার নামে খিস্তি খেউড় করা শুরু করে ।
এতে তার মন্ত্রীত্ব রক্ষা পায় বা মন্ত্রীত্ব লাভ হয় ।
এই টার্মে প্রথমে হাসান সাহেব মন্ত্রী হন নি । তাই মাথা গরম হয়ে আছে । ইচ্ছে মত খালেদা জিয়া , জিয়াকে নিয়ে বলে যাচ্ছেন ।
আজকালের মধ্যেই নাকি নতুন কিছু নেতাকে মন্ত্রীত্ব দেওয়া হচ্ছে । এদের মধ্যে আগের আমলের ফারুক ও দীপু মনি আছেন । আছেন পুঁচকে তারানা হালিমও ।
এটা হাসানকে অস্থির করে দিয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন