আয়াতুল করসী।

লিখেছেন লিখেছেন sarkar ১৩ মার্চ, ২০১৫, ০৩:৩২:২৬ রাত

আয়াতুল কুরসী-এর আরবি, উচ্চারণ, বাংলা অনুবাদ এবং ফজিলত আরবিঃ

ﺍﻟﻠّﻪُ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻲُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮﻡُ ﻻَ ﺗَﺄْﺧُﺬُﻩُ ﺳِﻨَﺔٌ ﻭَﻻَ ﻧَﻮْﻡٌ ﻟَّﻪُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﻣَﻦ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻋِﻨْﺪَﻩُ ﺇِﻻَّ ﺑِﺈِﺫْﻧِﻪِ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠْﻔَﻬُﻢْ ﻭَﻻَ ﻳُﺤِﻴﻄُﻮﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍﻣِّﻦْ ﻋِﻠْﻤِﻪِ ﺇِﻻَّ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎﺀ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮْﺳِﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽَ ﻭَﻻَ ﻳَﺆُﻭﺩُﻩُ ﺣِﻔْﻈُﻬُﻤَﺎ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢ

উচ্চারণঃ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বিয়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।

বাংলা অনুবাদঃ আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান। [আল কুরআন: সূরা বাকারাহ্, আয়াত ২৫৫]

ফজিলতঃ জান্নাতের দরজা: আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল নুরে মুজাসসাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। [নাসায়ী]

হজরত আলী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে, প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। [সুনানে বায়হাকী]

মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াত: আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ রা. রাসূল সা.-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. ! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল সা. বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। [নাসায়ী]

উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! এই ইলমের

কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। [সহীহ মুসলিম]

শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার আয়াত: হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, সূরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। [মুসতাদরাকে হাকিম] কপি করা হয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

১৪২৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

308643
১৩ মার্চ ২০১৫ রাত ০৪:০৩
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : এত সুন্দর পোষ্ট পড়তে পারার জন্য আলহামদুল্লিলাহ। আল্লাহ লেখককে দীর্ঘজীবী করুন। আমিন
১৩ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৮
249714
sarkar লিখেছেন : কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
308649
১৩ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৭:১৮
শেখের পোলা লিখেছেন : ভাল লাগল৷ আমি তার কাব্যানুবাদ করে দিলাম৷
আয়াতুল কূরসী

(কাব্যানুবাদ)

তিনিই হলেন আল্লাহ যাহার, তূল্য পূজ্য নাইতো আর,

চিরঞ্জীব আর সদা প্রভু, ঘুম তন্দ্রা পায়না তার।

দ্যুলোক-ভূলোক যেথায় যাহা সৃষ্টি তা তার নিজের গড়া,

তার সমীপে ওকালতী করবে কে তার হুকুম ছাড়া!

ভূত-ভবিষ্য সব জানা তার, নাই সীমানা জ্ঞান গরিমার।

সাধ্য কি তার নাগাল কে পায়! শুধু যে টুক মর্জ্জি তাহার৷

বেগ জানেনা শাসন তাহার, ক্লান্ত তিনি হননা কভু,

বিশ্ব ব্যাপী কূরসী যাহার, সর্ব শ্রেষ্ঠ মহান প্রভু।
১৩ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৭
249713
sarkar লিখেছেন : অনেক সূন্দর উপস্হাপনা আপনার।ধন্যবাদ ভাইয়া।
308660
১৩ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৯:৫৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
308700
১৩ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৮
sarkar লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনা কেও।
308771
১৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৬:৪০
কাহাফ লিখেছেন :
আমরা যারা আয়াতুল কুরসি মুখস্ত করতে চাই তাদের অনেক উপকারে আসবে পোস্ট!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!!
308857
১৪ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:৩৫
sarkar লিখেছেন : যদি কারো উপকারে আসে তাহলে পোষ্ট টা সার্থক হবে। ধন্যবাদ।
328020
৩০ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:১৩
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো ইনিশিয়েটিভ লেখাটি। তবে নুরে মুজাস্সাম বলাটি ভুল। রসুল (সা) নুরের তৈরি নন। এই অংশটি চেঞ্জ করা উচিত। তিনি আদম সন্তান আর আদম সন্তান মাটির তৈরি।

অনেক ভালো লাগলো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File