ছন্দনামে ও অজ্ঞাত পরিচয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় ইসলাম-প্রচার
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ ০১ মার্চ, ২০১৬, ১২:৩৬:৪৬ রাত
ইন্টারনেট ইসলাম প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। মুসলমানেরা এ মাধ্যমটিকে ইসলাম প্রচারে ব্যাপকহারে ব্যবহার করছে। আলহামদুলিল্লাহ, এটি খুবই ইতিবাচক দিক। বাংলা ব্লগগুলোতেও তথ্যবহুল ইসলামিক লেখা প্রচুর। কিছু কিছু লেখায় কুরআন-হাদিসসহ অন্যান্য মৌলিক গ্রন্থের রেফারেন্স খুবই আশাব্যঞ্জক। তবে ব্লগ ও ফেইসবুকের মত স্যোসাল মিডিয়াতে অনেকে ইসলাম নিয়ে লেখেন; কিন্তু ছন্দনামে ও পরিচয় লুকিয়ে। তাঁরা এটি কেন করেন সেটা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারণ কুরআন আমাদেরকে যাচাই-বাছাই করে সংবাদ, তথ্য ও জ্ঞান ইত্যাদি গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়। যাতে করে অনিরাপদ উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন: "হে ঈমানদারগণ যদি কোন ফাসেক তোমাদের নিকট কোন সংবাদ নিয়ে আসে তাহলে তা যাচাই কর" [সূরা হুজুরাত, আয়াত: ৬] এ দলিলের ভিত্তিতে হাদিস সংকলনের যামানায় হাদিস বিশারদগণ হাদিস বর্ণনাকারী তাবেয়ী ও তাদের পরবর্তী রাবীদের বিস্তারিত পরিচয় জিজ্ঞেস করতেন। তাদের জন্ম-মৃত্যু, শিক্ষক, ছাত্র, লিপিবদ্ধ করতেন। তাদের আমল-আখলাক কেমন ছিল সেসব জানতেন। যাতে করে কেউ রাসূলের নামে মিথ্যা বলে পার পেয়ে যেতে না পারে। তারপরেও একজন রাবীর বর্ণিত হাদিসকে অন্য রাবীদের বর্ণনার সাথে যাচাই-বাছাই করে নিতেন; যাতে করে বিশ্বস্ত রাবীদের অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলোকেও এড়ানো যায় এবং ভুল হলে সেগুলো শুধরে নেয়া যায়। এভাবে তারা হাদিসে রাসূলকে সংরক্ষণ করতে পেরেছেন। কিন্তু বর্তমানে স্যোসাল মিডিয়ার ইসলাম প্রচারকগণ কেন যে, ছন্দনামে লিখেন তা বোধগম্য নয়। লেখকের নামই যদি জানা না গেল তাকে চেনা যাবে কিভাবে!?। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দ্বীনদারি জানা তো আরও দূরের বিষয়। এজন্য অন্তত ইসলাম নিয়ে লিখতে গেলে সনামে, সপরিচয়ে লেখা বাঞ্ছনীয় নয় কি! প্রখ্যাত তাবেয়ী মুহাম্মদ ইবনে সিরীন (মৃত্যু-১১০ হিঃ) বলেন: "নিশ্চয় এ জ্ঞান হচ্ছে- ধর্ম। সুতরাং আপনারা চিনে নিন কার কাছ থেকে আপনাদের ধর্ম গ্রহণ করছেন"[খতীব আলবাগদাদী প্রণীত আল-জামে লি আখলাকির রাবী, পৃষ্ঠা ১/১২৯]
বিষয়: বিবিধ
১২৫৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকেও কিন্তু আমি চিনিনা তবুও আপনাকে ভাল লেগেছে লেগেছে. ভাল কোন লেখা দিলে অবশ্যই পড়ব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন