ইসলামের দৃষ্টিতে প্রেম-ভালবাসা এবং ব্যভিচারের শাস্তি ও ব্যভিচারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার হুকুম

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৪:২৮:৩৮ বিকাল

একটি গ্রুপে এক ভাই প্রশ্ন করেছেন:

# প্রশ্নঃ একটি মেয়ে পরকিয়া প্রেম করে অবৈধ মেলামেশায় জরিত হয়ে গিয়েছিল আর এক প্রর্যায়ে তার প্রেম বেংগে যাওয়ায় তারই প্রেমিক, তাদের অবৈধ মেলামেশার খবর নানা ঢকোমেন্ট সহ কিছু কিছু মানুষের সাথে প্রকাশ করে দেয়। এখন মেয়েটির আযও বিয়ে হয় নাই এ অবস্তায় যদি কেউ উক্ত ঘঠনাটি জেনে শোনেও তাকে বিয়ে করে, তাহলে ইসলামের বিধি নিষেধ কি আছে ?

বিঃদ্রঃ প্লিজ সহিহ দলীল সহ জানাবেন।

আমার জবাবটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম:

উত্তর:

এক: ইসলামে প্রেম-ভালবাসার বিধান

ইসলামে গাইরে-মোহরেম নারী-পুরুষের মাঝে প্রেম-ভালবাসা নিষিদ্ধ, এটি চরম গুনার কাজ। আল্লাহ তাআলা বলেন:

فَانكِحُوهُنَّ بِإِذْنِ أهْلِهِنَّ وَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ مُحْصَنَاتٍ غَيْرَ مُسَافِحَاتٍ وَلا مُتَّخِذَاتِ أَخْدَانٍ ) النساء 25

“অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপপত্নি গ্রহণকারিণী হবে না।”[সূরা নিসা, আয়াত: ২৫]

এ আয়াতের তাফসীরে আল্লামা সূয়ূতী বলেন: مسافحات মানে প্রকাশ্যে ব্যভিচারকারিনী। আর متخذات أخدان মানে- গোপনে যাদের সাথে ব্যভিচার করা হয়।[তাফসীরে জালালাইন, পৃষ্ঠা-১৭৯]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রেমিক-প্রেমিকাদের মাঝে যেসব দেখা সাক্ষাত, ঘুরাফিরা সংঘটিত হয়ে থাকে সেগুলোকেও যিনা-ব্যভিচার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সহিহ মুসলিমে এসেছে- “দুই চক্ষুর যিনা হচ্ছে- দেখা, দুই কানের যিনা হচ্ছে- শুনা, জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, হাতের যিনা হচ্ছে- ধরা, পায়ের যিনা হচ্ছে- হাঁটা, অন্তর কামনা-বাসনা করে; আর যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা করে না।”[সহিহ মুসলিম(২৬৫৭)]

যা কিছু মানুষকে ব্যভিচারের দিকে নিয়ে যায় কুরআনে কারীমে সে সব কর্ম থেকে দূরে থাকার আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:

( وَلا تَقْرَبُوا الزِّنَى إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلاً ) الاسراء/32

“আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।”(সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত: ৩২) এ আয়াতে আল্লাহ এ কথা বলেননি যে, ব্যভিচার করো না; বরং বলেছেন: ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। অর্থাৎ যেসব কর্ম ব্যভিচারের দিকে নিয়ে যায় সেগুলোতেও লিপ্ত হয়ো না।

বেগানা নারী-পুরুষের মাঝে নির্জনবাসকে ইসলাম হারাম করেছে। হাদিসে এসেছে-

“কোন পুরুষ যদি কোন নারীর সাথে নির্জনে একত্রিত হয় সেখানে শয়তান থাকে তৃতীয় ব্যক্তি”।[সুনানে তিরমিজি (২১৬৫); আলবানী হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]

সুতরাং প্রেম-ভালবাসার নামে যুবক-যুবতীদের মাঝে যা কিছু ঘটছে শরিয়তের ভাষায় সেগুলোও ব্যভিচারের পর্যায়ভুক্ত; জঘন্য গুনাহর কাজ।

দুই: দুনিয়া ও আখেরাতে ব্যভিচারের শাস্তি

প্রেম-ভালবাসা ব্যক্তিকে যেনা-ব্যভিচারে পতিত করে, এর ফলে অবৈধভাবে দুই যৌনাঙ্গ মিলিত হয়। যেনা করা কবিরা গুনাহ; মহাপাপ ও জঘন্য অপরাধ। এ কারণে আল্লাহ তাআলা আখেরাতের আগে দুনিয়াতেই এ অপরাধের শাস্তি ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:

( الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ وَلا تَأْخُذْكُمْ بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللَّهِ إِنْ كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَائِفَةٌ مِنْ الْمُؤْمِنِينَ ) النور/2

“ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ;তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর করণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক এবং মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।[সূরা নূর ২]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “অবিবাহিত নারী ও অবিবাহিত পুরুষ ব্যভিচার করলে শাস্তি: একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরেরর জন্য নির্বাসন। বিবাহিত নারী বিবাহিত পুরুষের সাথে ব্যভিচার করলে শাস্তি একশ বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপে হত্যা।”[সহিহ মুসলিম (৩১৯৯)]

আল্লাহ তাআলা বলেন: “এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যা হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।[সূরা ফুরকান (৬৭-৭০)]

ব্যভিচারের অপরাধের জঘন্যতার কারণে বলা হয়েছে ব্যভিচারকালে ব্যক্তির ঈমান থাকে না। রাসুল (স) বলেন, “কোন ব্যভিচারী ব্যভিচারের সময়ে মুমিন অবস্থায় থাকে না। কোন চোর চুরির সময় মুমিন অবস্থায় থাকে না। কোন মদখোর মদ খাওয়ার সময় মুমিন অবস্থায় থাকে না... [বুখারি, (২৪৭৫) মুসলিম (৫৭)]

রাসুল (স) আরো বলেন, “কোন ব্যক্তি যখন ব্যভিচার করে তখন তার ভেতর থেকে ঈমান বেরিয়ে যায়, এরপর তা তার মাথার উপর ছায়ার মত অবস্থান করতে থাকে। এরপর সে যখন তা থেকে তওবা করে তখন তার ঈমান পুনরায় তার কাছে ফিরে আসে”। [আবু দাউদ (৪৬৯০), সুনানে তিরমিজি (২৬২৫)]

আখেরাতে ব্যভিচারী নারী-পুরুষের শাস্তি সম্পর্কে রাসুল (স) বলেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক কঠোর শাস্তি নির্ধারিত থাকবে। তারা হচ্ছে বৃদ্ধ ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী গরীব।”[মুসলিম ও নাসায়ী]

তাদের শাস্তি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন:

“যিনারাকীরা উলংগ অবস্থায় এমন এক চুলার মধ্যে থাকবে যার অগ্রভাগ হবে অত্যন্ত সংকীর্ণ আর নিম্নভাগ হবে প্রশস্ত উহার তলদেশে অগ্নি প্রজ্বলিত থাকবে তাদেরকে তাতে দগ্ধ করা হবে। তারা মাঝে মধ্যে সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার কাছাকাছি অবস্থায় পৌছে যাবে; অত:পর আগুন যখন স্তমিত হয়ে যাবে তখন তাতে তারা আবার ফিরে যাবে। আর তাদের সাথে এই আচারণ কেয়ামত পর্যন্ত করা হবে।”[বুখারী (৭০৪৭)]

পরকিয়া প্রেম বা অন্যের বিবাহ বন্ধনে থাকা স্ত্রীর সাথে প্রেম-প্রণয়ের মাধ্যমে ব্যভিচারের লিপ্ত হওয়া আরও জঘন্য অপরাধ ও মহাপাপ। ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় পাপ কোনটি?” তিনি বললেন: “কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করা।” আমি বললাম: “এটা নিশ্চয়ই জঘন্যতম গুনাহ। তারপর কোনটি?” তিনি বললেন: “তোমার সন্তান তোমার সাথে আহারে বিহারে অংশ নিবে এ আশংকায় সন্তানকে হত্যা করা।” আমি বললাম: “এরপর কোনটি?” তিনি বললেন: “তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া।”[বুখারি (৪২০৭) ও মুসলিম (৮৬)]

তিন: যিনাকারী মহিলাকে বিয়ে করার হুকুম:

যে মুসলমান তার ঈমানী দুর্বলতার কোন এক মূহূর্তে যেনায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে তার উচিত অনতিবিলম্বে তওবা করা এবং আল্লাহর দিকে ফিরে আসা। যেনার গুনাহ অতি জঘন্য হওয়ার কারণে আল্লাহ তাআলা যেনাকারী নারী-পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া হারাম করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “ব্যভিচারী কেবল ব্যভিচারিণী অথবা মুশরিক নারীকে ছাড়া বিয়ে করবে না এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক ছাড়া বিয়ে করবে না। আর মুমিনদের উপর এটা হারাম করা হয়েছে।”[সূরা আন-নূর: ৩]

তবে যেনাকারী নারী বা পুরুষ খালেস তওবা করলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন ও তার গুনাহগুলোকে নেকীতে পরিবর্তন করে দেন। সূরা ফুরকানে আল্লাহ তাআলা যেনাসহ আরও কয়েকটি কবিরা গুনাহের শাস্তি উল্লেখ করার পর বলেন: “তবে যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু”[সূরা ফুরকান, আয়াত: ৭০]

তাই যেনাকারী নারী খালেস তওবা করলে এবং এ পাপ থেকে ফিরে আসলে তাকে বিয়ে করা জায়েয।

শাইখ মুহাম্মদ বিন ইব্রাহিমকে যিনাকারিনীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন: তওবা না করা পর্যন্ত যিনাকারিনীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয নেই। যদি কেউ যিনাকারী নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় তাহলে একটি হায়েয এর মাধ্যমে তার গর্ভাশয় খালি কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে। আর যদি তার গর্ভধারণ সাব্যস্ত হয় তাহলে সন্তান প্রসবের আগে বিয়ে করা জায়েয হবে না।[দেখুন আল-ফাতাওয়া আল-জামেয়া লিল মারআ আল-মুসলিমা (২/৫৮৪)]

চার: মুসলমানের দোষ গোপন রাখা:

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন।”[সহিহ মুসলিম (২৬৯৯)]

ইমাম নববী এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন: মুস্তাহাব হচ্ছে- সেসব মানুষের দোষ গোপন রাখা বাহ্যতঃ যারা মানুষকে কষ্ট দেয়া ও দুর্নীতিকারী হিসেবে পরিচিত নয়। আর যদি মানুষকে কষ্ট দেয়া ও দুর্নীতিকারী হিসেবে পরিচিত হয় তাহলে এমন লোকের দোষ গোপন না-রাখা মুস্তাহাব। যদি তার পক্ষ থেকে কোন ক্ষতির আশংকা না থাকে তাহলে তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার দিতে হবে। কারণ এ ধরণের লোকের দোষ গোপন রাখলে সে মানুষকে কষ্ট দেয়া, দুর্নীতি করা ও আরও বেশি হারাম কাজ করার প্রতি আরও বেশি লোভাতুর হবে এবং অন্যকেও এ কাজে প্রলব্ধ করবে। দোষ গোপন রাখার এ হুকুম সে পাপের ব্যাপারে যে পাপ সংঘটিত হয়ে শেষ হয়ে গেছে। আর যদি পাপটি সংঘটিত হওয়াকালে তাকে দেখতে পায় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সে পাপের প্রতিবাদ করা এবং সাধ্য থাকলে বাধা দেয়া ফরজ। এ ক্ষেত্রে দেরী করা জায়েয নয়। আর যদি বাধা দিতে অক্ষম হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করবে; যদি এ অভিযোগ করতে গিয়ে কোন অকল্যাণ ডেকে না আনে।

তাই এ মেয়ে যদি এ পাপের উপর অব্যাহত না থাকে; সে তার গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়; তাহলে তার দোষ গোপন রাখা বাঞ্ছনীয়। যারা তার কুৎসা রটনা করে বেড়াবে এবং ঈমানদারদের মাঝে অপরাধ ছড়াতে ব্যস্ত থাকবে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখেরাতে তাদেরকে কঠিন শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:

إِنَّ الَّذِينَ يُحِبُّونَ أَنْ تَشِيعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِينَ آمَنُوا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

“নিশ্চয় যারা ঈমানদারদের মাঝে ফাহেশা (ব্যভিচার) ছড়িয়ে দিতে পছন্দ করে দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন; তোমরা জান না।[সূরা নূর, আয়াত: ১৯]

বিষয়: বিবিধ

৬৪৫২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

359713
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:২৬
কুয়েত থেকে লিখেছেন : সুন্দর লেখাটির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি ভালো লাগলো। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। সহিহ মুসলিম
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
298209
মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ লিখেছেন : পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
359716
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৩
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ব্যভিচারী কি জিনিস?
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
298208
মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ লিখেছেন : http://www.english-bangla.com/bntobn/index/ব্যভিচারী
359743
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:৩৭
হতভাগা লিখেছেন : কোন এক ঘটনায় জেনেছিলাম যে এক বেশ্যা নাকি এক পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করিয়ে জান্নাতের যোগ্য হয়ে গিয়েছিলেন ?
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:৫২
298236
মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ লিখেছেন : عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : بَيْنَمَا كَلْبٌ يُطِيفُ بِرَكِيَّةٍ قَدْ كَادَ يَقْتُلُهُ الْعَطَشُ ، إِذْ رَأَتْهُ بَغِيٌّ مِنْ بَغَايَا بَنِي إِسْرَائِيلَ فَنَزَعَتْ مُوقَهَا ، فَاسْتَقَتْ لَهُ بِهِ ، فَسَقَتْهُ إِيَّاهُ ، فَغُفِرَ لَهَا بِهِ
অর্থ- আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: একটি কুকুর একটি কূপের চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল। পিপাসার তাড়নায় কুকুরটি মৃত্যুর উপক্রম হয়েছিল। সে মুহূর্তে বনী ইসরাইলের একজন পতিতা তাকে দেখে নিজের মোজা খুলে (সেটি ভিজিয়ে) কুকুরটিকে পানি পান করাল। ফলে এ আমলের কারণে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন।[সহিহ বুখারী (৩২৮০) ও সহিহ মুসলিম (৫৯২৩)] তবে এ হাদিসে জান্নাতের যোগ্য হওয়ার কথা নেই। তবে অন্য এক হাদিসে কুকুরকে পানি খাইয়ে এক লোক (ব্যভিচারী মহিলা নয়) জান্নাতে প্রবেশ করেছেন বর্ণিত আছে।
359749
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:০৬
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো পড়ে। এসব পড়ে বেশী বেশী মানার তৌফিক দান করুন আমিন
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:৫৩
298237
মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ লিখেছেন : আমীন।
359757
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১১:০০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:৫৩
298238
মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File