বৃষ্টির যত আমল
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ ০১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০২:২৭:৩৮ দুপুর
বৃষ্টি আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত। বৃষ্টির মাধ্যমে তিনি উদ্ভিদ গজান। বৃষ্টি না হলে ফসল ফলানো সম্ভবপর হয় না। বৃষ্টির পানিতে সিঞ্চিত হয়ে যে তরু-লতা, গাছ-পালা, শস্য, ফলমূল জন্মে সেটাই মানুষ ও পশুপাখির জীবন ধারনের প্রধান উপকরণ। বৃষ্টির মাধ্যমে এ ধরার বুক ময়লা আবর্জনা ধুয়ে মুছে, রোগ-জীবানু মুক্ত হয়ে মানুষের বসবাসের জন্য পবিত্রতা অর্জন করে। পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বৃষ্টির বড় ভূমিকা রয়েছে। তাইতো বৃষ্টি পেয়ে আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করা মানুষের কর্তব্য এবং অনাবৃষ্টি দেখা দিলে তা থেকে মুক্তির জন্য বৃষ্টির নামায আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। মানব জীবনে বৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা ও বৃষ্টির এমন গুরুত্বের কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বৃষ্টি সংক্রান্ত বেশ কিছু শিষ্টাচার শিখিয়েছেন যা আমরা তাঁর সুন্নাহ থেকে জানতে পারি।
বৃষ্টির জন্য জুমার খোতবাতে দোয়া করা:
আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে এসেছে- একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার খোতবা দেয়াকালে একব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট বৃষ্টির জন্য দোয়া করার আবেদন জানালেন। তখন তিনি হাত তুলে দোয়া করলেন: আল্লাহুম্মা আগিছনা, আল্লাহুম্মা আগিছনা, আল্লাহুম্মা আগিছনা (হে আল্লাহ, আমাদের বৃষ্টি দিন, হে আল্লাহ আমাদের বৃষ্টি দিন, হে আল্লাহ, আমাদের বৃষ্টি দিন)[সহিহ বুখারি, ১০১৪] সে জন্য জুমার খোতবাতে সকল মুসল্লিকে নিয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা সুন্নত।
বৃষ্টির প্রার্থনার নামায আদায় করা:
অনাবৃষ্টি দেখা দিলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি মুসলমানদেরকে নিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনার দুই রাকাত নামায খোলা ময়দানে গিয়ে আদায় করতেন। নামায শেষে খোতবা দিতেন। মুসলমানদেরকে নসীহত করতেন। এরপর দোয়া করতেন, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং বৃষ্টি চাইতেন। এরপর তিনি তাঁর পরিধেয় পোশাক (পাগড়ি বা জামা) উল্টিয়ে পরতেন। সহিহ বুখারিতে এসেছে- “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসতিসকা (বৃষ্টি প্রার্থনা) এর নামায আদায় করেছেন দুই রাকাত, এরপর তিনি তাঁর চাদর উল্টিয়ে পরেন।”[সহিহ বুখারি, ১০২৬]
বৃষ্টি নামলে গায়ের কিছু অংশ অনাবৃত করা সুন্নত: যখন বৃষ্টি নামে তখন গায়ের কিছু অংশের পোশাক অনাবৃত করা সুন্নত। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে রয়েছে- একদা আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম। সে সময় আমাদেরকে বৃষ্টি পেয়েছে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর গায়ের পোশাক কিছুটা সরিয়ে নিলেন যাতে তার গায়ে বৃষ্টি পড়ে। আমরা জিজ্ঞেস করলাম: আপনি এমনটি কেন করলেন? তিনি বললেন: “যেহেতু বৃষ্টি তার রবের নিকট হতে নবাগত।”[সহিহ মুসলিম, ৮৯৮]
বৃষ্টির সময় পঠিতব্য দোয়া: আয়েশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে বৃষ্টি দেখলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন: আল্লাহুম্মা, সাইয়্যিবান নাফিআ (হে আল্লাহ, এ যেন হয় কল্যাণকর বৃষ্টি)।[সহীহ বুখারি, ১০৩২]
বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়:
সাহল বিন সাদ (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, দুই অবস্থার দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। আযানের সময়ের দোয়া এবং জিহাদকালীন দোয়া যখন একপক্ষ অপর পক্ষের মুখোমুখি হয়। অপর এক বর্ণনাতে আছে- বৃষ্টিকালীন দোয়া।[সুনানে আবু দাউদ, আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন]
বৃষ্টির পর যে দোয়া পড়তে হয়:
যায়েদ বিন খালেদ আলজুহানি (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে- “আর যে ব্যক্তি বলবে: মুতিরনা বি ফাদলিল্লাহি ওয়া রাহমাতিহি সে ব্যক্তি আমার প্রতি ঈমানদার এবং নক্ষত্রের (প্রভাবের) প্রতি কাফের।[সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম]
ব্যাপক বৃষ্টি ও ঢল নামার আশংকা হলে করণীয়:
হাদিসে এসেছে- যদি ব্যাপক বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে ধন-সম্পদ নষ্ট হওয়া, রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়া এবং জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা দেখা দেয় তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন: হে আল্লাহ! আমাদের আশপাশে বৃষ্টি দিন, আমাদের উপরে নয়। হে আল্লাহ! পাহাড়-টিলা, খাল-নালা এবং উদ্ভিদ গজাবার স্থানগুলোতে বৃষ্টি দিন।
বৃষ্টির এ মৌসুমেও অনাবৃষ্টিতে আমরা যে কষ্ট পাচ্ছি এর থেকে নাজাত পাওয়ার জন্য আমাদেরকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা উচিত। ইসতিগফার করা উচিত। বৃষ্টির নামায আদায় করা উচিত। জুমার খোতবাতে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা উচিত। বৃষ্টি পেলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করা এবং এ সংক্রান্ত সুন্নতগুলো পালন করার চেষ্টা করা বাঞ্চনীয়। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর আযাব ও গজব থেকে হেফাযত করুন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
২২২৪ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আসামের চেরাপুঞ্জি পৃথিবীর সবচেয়ে বৃষ্টি প্রবন এলাকা। বৃষ্টির নামাজ ছাড়াই সেখানে বৃষ্টি আর বৃষ্টি। অথচ উত্তর সাহারা'তে গত ৫ বছরে মাত্র ২ বার বৃষ্টি হয়েছে। খরার কারনে ফসল ফলছে না। হাজার ইসতিগফার করেও সেখানে কাজ হয় না।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : বৃষ্টির নামাজ পড়ার কারনে বৃষ্টি হয় হয় এমন প্রমান পৃথিবীর কোথাও নেই। বৃষ্টি মুলত ভৌগলিক জলবায়ুর উপর নির্ভরশীল একটি বিষয়। না চাইলেও কোথাও অতি বৃষ্টি। আবার হাজার চাইলেও বৃষ্টির দেখা মিলে না। যে কারনে বৃষ্টির করুনার দিকে চেয়ে না থেকে মানুষ নিজেরাই জলসেচ করে ফসল ফলায়। নামাজেই যদি বৃষ্টি হবে তো বাংলাদেশে ইরি/বোড়ো শীত মৌসমে এত/এত সেচ যন্ত্রের ব্যবহার কেন??এ থেকেই প্রমান হয় ধর্মের কথা মূর্খের সান্তনা। বিজ্ঞানহীন মানুষের কল্পকাহিনী, জিন-ভুত-আল্লা, বৃষ্টির আজাব.... এসব আজেবাজে আজগুবি কথা বালাই হাস্যকর। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : না ভাই, আল্লাপূজক মূর্খকে জ্ঞানদান করা আমাদের দায়িত্ব না। কিন্তু এই বিজ্ঞানহীন মূর্খের দল যখন কল্পিত জিন-ভুত-আল্লার কথা বলে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ায় সমস্যা হয় সেখানেই। তাই দুচার কথা বলতে হয়।আপনি বলেছেন- "জুমার খোতবায় শাইখ সালেহ আলু তালেব কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য দোয়া করলেন। আসরের আগে হোটেল থেকে বেরিয়ে দেখি মুষুলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা মুসলমানেরা বিশ্বাস করি দোয়া করলে আল্লাহ দোয়া কবুল করেন। সেটা যা চাওয়া হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে দেয়ার মাধ্যমেও হতে পারে; পরবর্তীতেও দেয়া হতে পারে; পরকালে সওয়াব দেয়ার মাধ্যমেও হতে পারে।"
আপনি একবার বল্লেন ঝমঝম বৃষ্টি, তারপর বল্লেন বৃষ্টি পরে হতে পারে, সেই আপনি আবার বল্লেন বৃষ্টি নাও হতে পারে।
তা ভায়া- এটা যে তালগোল মারা কথা সেটা নিজেই প্রমান করলেন, ধন্যবাদ।
তবে হাঁ- হজ্জের ময়দানে আপনার শাইখ সালেহ আলু তালেবের দল কায়মনোবাক্যে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের ধ্বংস কামনা আল্লাহর কাছে কতই না বিলাপ করেন! ঝমঝম বৃষ্টি তো দুরের কথা, ইসরাইলের একটা পশমও আপনার আল্লা স্পর্স করতে পারেন্না। আক্ষেপ আপনার জন্য।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আপনি বলেছেন- "জুমার খোতবায় শাইখ সালেহ আলু তালেব কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য দোয়া করলেন। আসরের আগে হোটেল থেকে বেরিয়ে দেখি মুষুলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা মুসলমানেরা বিশ্বাস করি দোয়া করলে আল্লাহ দোয়া কবুল করেন। সেটা যা চাওয়া হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে দেয়ার মাধ্যমেও হতে পারে; পরবর্তীতেও দেয়া হতে পারে; পরকালে সওয়াব দেয়ার মাধ্যমেও হতে পারে।"
আপনি একবার বল্লেন ঝমঝম বৃষ্টি, তারপর বল্লেন বৃষ্টি পরে হতে পারে, সেই আপনি আবার বল্লেন বৃষ্টি নাও হতে পারে।
তা ভায়া- এটা যে তালগোল মারা কথা সেটা নিজেই প্রমান করলেন, ধন্যবাদ।
তবে হাঁ- হজ্জের ময়দানে আপনার শাইখ সালেহ আলু তালেবের দল কায়মনোবাক্যে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের ধ্বংস কামনা আল্লাহর কাছে কতই না বিলাপ করেন! ঝমঝম বৃষ্টি তো দুরের কথা, ইসরাইলের একটা পশমও আপনার আল্লা স্পর্স করতে পারেন্না। আক্ষেপ আপনার জন্য।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : আপনি বলেছেন- "আমি আপনাদের জন্য লিখি না; মুমিনদের জন্য লিখি।"আপনি নিজেই তো নাপাক, মূর্খ, অথর্ব। দোয়া কবুলের উপযুক্ত ব্যাক্তি আপনি নন।আপনার এসব লেখা মুসলমানদের কি উপকারে আসবে?
দেখুন কু-যুক্তির একটা সীমা থাকা দরকার। কাল্পনিক আল্লা এবং আবর্জনময় কোরাণ-হাদীস ঝেড়ে ফেলে অন্য দশ জনের মত মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন। জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করে বাস্তবতা বুঝতে শিখুন। চীন, জাপান, আমেরিকা, ইসরাইলের মত স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করুন। তবেই আলোর মুখ দেখবেন। কোরাণ-হাদীস মুখস্ত করে মসজিদের দান ভিক্ষা সংগ্রহ করা যায়, কোরবানী পশু চামড়ার টোকাই হওয়া যায়। তবে ইহুদীদের জ্ঞান বিজ্ঞানের ধারে কাছেও যেতে পারবেন্না। এটা বুঝেন তো??
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আপনি নিজেই তো নাপাক, মূর্খ, অথর্ব। দোয়া কবুলের উপযুক্ত ব্যাক্তি আপনি নন।আপনার এসব লেখা মুসলমানদের কি উপকারে আসবে?
দেখুন কু-যুক্তির একটা সীমা থাকা দরকার। কাল্পনিক আল্লা এবং আবর্জনময় কোরাণ-হাদীস ঝেড়ে ফেলে অন্য দশ জনের মত মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন। জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করে বাস্তবতা বুঝতে শিখুন। চীন, জাপান, আমেরিকা, ইসরাইলের মত স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করুন। তবেই আলোর মুখ দেখবেন। কোরাণ-হাদীস মুখস্ত করে মসজিদের দান ভিক্ষা সংগ্রহ করা যায়, কোরবানী পশু চামড়ার টোকাই হওয়া যায়। তবে ইহুদীদের জ্ঞান বিজ্ঞানের ধারে কাছেও যেতে পারবেন্না। এটা বুঝেন তো??
মন্তব্য করতে লগইন করুন