ঘুরে এলাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার, ইনানি ও হিমছড়ি থেকে...

লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০১:১৬:৩৭ দুপুর



কক্সবাজার! বহুদিন থেকেই আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় স্থান। মনের কোণে ছোট্ট একটা প্লান ছিল, আকর্ষণীয় সেই স্থানকে আরোও রঙ্গিন ও স্মৃতিময় করে তুলতে প্রিয়জনকেই সঙ্গী করবো। তাই স্থান গুলোতে যাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রিয়জনের অপেক্ষায় যাওয়া হয়নি। ছাত্রজীবনের শেষ না হতেই কর্মজীবনে একটানা ৭ বছরের প্রবাসজীবন! মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় অতঃপর সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটি এলো।

প্রবল ইচ্ছে ছিল গ্রীনলাইন সার্ভিসে ভ্রমণ করবো, সচেতনতার অভাবে তা আর হলোনা। কমপক্ষে দুইদিন আগে যোগাযোগ করলে নিশ্চিত যেতে পারতাম, যাওয়ার আগের দিন যোগাযোগ করলে জানালো একদম পেছনের ৪টা সিট খালি আছে তাই আর যাওয়া হলোনা। ৮ই ডিসেম্বর'১৬ সকাল সাতটায় জি.ই.সি মোড়ে এস.আলম কাউন্টারের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর নাম নিয়ে আমার সহধর্মিণীকে সাথে নিয়ে রওয়ানা দিলাম।

যথাসময়ে কাউন্টারের সামনে অপেক্ষারত এস.আলম এসি সার্ভিসের বাসে আমাদের বুকিং কৃত সিটে গিয়ে বসলাম, সাথে ছিল আমার বাল্যবন্ধু বাবু ও তার স্ত্রী। লম্বা সফরে পথে খাওয়ার জন্য কিছু চিপ্স, প্রাণ ঝালমুড়ি, প্রাণডাল, চাটনি, পানি ও টিস্যু নিলাম। ৯টা ৩০মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বাস যাত্রা শুরু করলো।দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে তে অবস্থিত 'Four Seasons Restaurant & Resorts' এ ১৫ মিনিটের যাত্রাবিরতি ছিল।

বিরতিতে সবাই ফ্রেস হয়ে রেস্টুরেন্টের বাহিরের প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখলাম, নারিকেলের ডাবের পানিতে তৃষ্ণা মিটালাম।

ননস্টপ এসি বাসের জানালা দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ের দুই পাশে গ্রামবাংলার নয়ন জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে অবশেষে বিকাল তিনটায় গন্তব্যে পৌছালাম। পূর্বে বুকিংকৃত 'রীম রিসোর্টের অভ্যর্থনা কক্ষে পৌছালে হোটেলের ম্যানেজার আইয়্যুব ভাই(পূর্বপরিচিত) সাদরে গ্রহণ করলেন।





হোটেলের রুমটা আমার খুব ভালো লেগেছিল। একটু প্রেস হয়ে জোহর ও আছরের কছর নামায একসাথে শেষ করে তীব্র আন্দোলনরত পেটের চাহিদা মিটাতে সবাই রেস্টুরেন্টে গেলাম। ৭/৮ রকমের ভর্তা, গরু, মুরগী আর ডাল দিয়ে পেটের আন্দোলন দমন করলাম।

সময় তার নিজস্ব গতিতে বয়ে চলছেই, সময়ের লাগাম টেনে ধরার মত ক্ষমতা একমাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া আর কারোও পক্ষে সম্ভব নয়। চলমান সময়কে সর্বোচ্চ ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই আমরাও সময়কে ব্যবহার করতে দেরি না করে রেস্টুরেন্ট থেকে সমুদ্রসৈকতে চলে গেলাম। হঠাৎ ৪/৫ জন্য ক্যামেরাম্যান DSLR ক্যামেরা নিয়ে আমাদের ঘিরে ধরলো! আমরাতো কোনো সেলিব্রেটি নই, এদের উদ্দেশ্য কী? তাদের মধ্য থেকে একজন আমাকে বললো, 'আমি প্রফেশনাল ক্যামেরাম্যান, আপনাদের আনন্দময় মুহূর্ত গুলোকে স্মৃতিময় করে রাখাই আমার কাজ, আপনাদের সাথে সার্বক্ষণিক লেগে থেকে বিভিন্ন এঙ্গেলে আপনাদের ছবি তুলে সেগুলো মেমোরি কার্ডে দিয়ে দিবো, প্রতি ছবি পাঁচ টাকা করে দিতে হবে'। আমার সহধর্মিণীর সম্মতি চাইলে সে বললো, 'DSLR ক্যামেরার ছবি অবশ্যই সুন্দর হবে, তাছাড়া ওরাতো প্রফেশনাল!'

ক্যামেরাম্যান নিয়ে হানিমুনের শুটিং শুরু করলাম।









ঘুরে ঘুরে অনেক ছবি তুললাম, হাটু পানিতে নামনাল, দুইজন মিলে স্পীড বোটে উঠলাম। জীবনে প্রথমবারের মত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আসলাম, তাও আবার জীবন সঙ্গিনীকে সাথে নিয়ে। সম্মানিত পাঠক বুঝতেই পারছেন আনন্দের মাত্রাটা কোন পর্যায়ে গেছে!

রাতে সবাই রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে বসলাম, সবচেয়ে বড় সাইজের রূপচাঁদা মাছ অর্ডার করলাম, ২০ মিনিট সময় নিয়ে ৪ টা রূপচাঁদা ফ্রাই করে দিল, প্রতিটা রূপচাঁদা ৪৫০ টাকা করে রেখেছিল। আমার মাছটা আমি পুরো খতে পারলেও আমার স্ত্রী অর্ধেকের বেশি খেতে পারলোনা। কি আর করা, তার টাও আমাকে খেতে হলো!! আমার বন্ধুরও একই অবস্থা। বুঝতে পারলার দুই মেডামই খানায় দুর্বল!

রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে বন্ধু বাবুর সাথে পরামর্শ করে পরেরদিন ভোরে ইনানি বীচ ও হিমছড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। হিমছড়ি আর ইনানি না গেলে কক্সবাজার ভ্রমণটাই নাকি পূর্ণতা পায়না! পুরা দিনের জন্য একটা টমটম রিজার্ভ করলাম।

সকাল ৮টায় কলাতলি থেকে ইনানি বিচের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম, সাথে স্কুল জীবনের আরেক বন্ধু নাছির হোসেন ও যুক্ত হলো। সাগরের কোল ঘেষে চলে যাওয়া রাস্তার একপাশে সমুদ্রের ঢেউ অন্যপাশে পাহাড়। এ যেন এক নৈসর্গিক দৃশ্য, কবির সেই দুটো লাইনের কথা মনে পড়ে যায়, "এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি"। প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রতি এতটাই আকৃষ্ট হয়ে গেলাম তখন আমার পাশে যে আমার স্ত্রী বসা আছে সেটাও মুহূর্তের জন্য ভুলে গিয়েছিলাম। তার মিষ্টি চিমটি খাওয়ার পর মনোযোগ ভাঙ্গলো! এভাবেই মহান স্রষ্টার সৃষ্টির বিচিত্রতা উপভোগ করতে করতে সকাল ৯:৩০ এর মধ্যেই ইনানি বিচে পৌঁছলাম।

টমটম থেকে নেমে সবাই চা পান করে একটু সতেজ হওয়ার চেষ্টা করলাম। তারপর সবাই সী বিচের দিকে রওয়ানা হলাম। বিচে আসার সাথে সাথে চার চাকা বিশিষ্ট মোটরসাইকেল ড্রাইভারেরা আমাদের কাছে এগিয়ে আসলো। একজন বললো ইনানি বিচে আসলেন, লাল কাঁকড়া দেখবেন না বালির মোটরবাইক ড্রাইভ করবেন না তা কি করে হয়? ঐযে দূর সীমানা দেখতেছেন, ঐখান থেকে ঘুরে আসবেন, পথে হাজার হাজার লাল কাঁকড়া দেখবেন, প্রিয়জন কে নিয়ে একটু ঘুরবেন। আপনাদের আনন্দের মাত্রা অনেক বাড়বে, আনন্দ করতেই যখন এসেছেন এটা বাদ দিবেন কেন? বললাম, আমি নিজেই ড্রাইভ করবো, প্রিয়জনকে নিয়ে পুরো এরিয়া ঘুরে ঘুরে দেখতে চাই। আমরা দুইজন নতুন একটা মোটরবাইকে উঠলাম, আমার বন্ধু বাবু তার স্ত্রীকে নিয়ে একটাতে উঠলো, কিন্তু আমাদের বিবাহিত ব্যাচেলর বন্ধু নাছিরের অসহায় অবস্থা দেখে একজন মোটরবাইক ড্রাইভার বললো, 'আপনার যেহেতু কেউ নাই, আপনি আমার সাথেই আসেন! সবাই একসাথে হো হো করে হেসে উঠলাম।'



৩০মিনিট ধরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরার পর পাথরের বীচ নামে খ্যাত ইনানি বীচে আসলাম। সাথে একজন DSLR ক্যামেরাম্যান ও নিলাম। সবাই মিলে অনেক গুলো ছবি তুললাম, বড় বড় পাথরের উপর যখন সমুদ্রের ঢেউ গুলো আছড়ে পরে তখন ভিন্ন রকমের নয়ন জুড়ানো দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়। দুপুর ১১:৩০ এর দিকে ইনানি বীচ থেকে সবাই হিমছড়ির দিকে রওয়ানা হলাম। ইনানি বীচের মধুর স্মৃতিগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। ১২:১৫ এর দিকে সবাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হিমছড়ি এসে পৌছালাম। হিমছড়ি বাজারে মৌয়ালীর খাটি মধু পেয়ে লোভ লামলাতে পালামনা, সবাই মধু কিনলাম। ৫টা টিকেট নিয়ে সবাই পার্কে প্রবেশ করে সিঁড়ি বেয়ে শত শত ট্যুরিষ্টের সাথে আমরাও উপরে উঠলাম। পাহাড়ের চূড়ায় উঠে যখন চারদিকে তাকালাম, দেহমনে আনন্দের শিহরণ জেগে উঠলো। তখন মনের অজান্তেই মুখে একটি গান চলে আসলো, 'তোমারি সৃষ্টি যদি হয় এত সুন্দর, না জানি তাহলে তুমি কত সুন্দর'।



অনেকক্ষণ সময় নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলাম, পাহাড়ি ঝর্ণা দেখার পর সবাই মার্কেট থেকে কিছু কেনাকাটা করলাম। এবার হোটেলে ফিরে যাওয়ার পালা, তাই দেরি না করে অপেক্ষামান টমটমে উঠে বসলাম। চলন্ত টমটমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ ও গল্প কৌতুক করতে করতে ২:৩০ মিনিটে হোটেলের সামনে এসে পৌছালাম।

ফ্রেস হতে নামাজ ও দুপুরের খাবার সেরে বিকাল ৫টায় সমুদ্র সৈকতে আসলাম। হাজার হাজার দর্শনার্থীতে ভরপুর ছিল সমুদ্র সৈকত। সাগরের বড় বড় ঢেউয়ের মাঝে সাতার কাটা ও জাম্পিং করার মজাই আলাদা, তাই সুযোগটা হাতছাড়া না করে উপভোগ করলাম। ইউ.এ.ইতে আরব সাগরের অনেক গুলো বীচে গোসল করলেও কক্সবারের মত আনন্দ পাইনি। যদিও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ইউ.এ.ইর সমুদ্র সৈকত গুলোর মত উন্নত না।

সন্ধ্যা নেমে আসলে আমরাও হোটেলে ফিরে আসলাম। গোসল ও নাস্তা সেরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। শুধু মনের আনন্দের জন্য দৌড়াদৌড়ি করলেতো হবেনা, শরীরের ও একটা হক্ক আছে!

কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়াটা খুব সহজ, তাই সুযোগটা হাতছাড়া করারমত বোকামি করলাম না। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম, ভোরেই আমরা সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিব। তাই রাতের খাবার শেষ করে জাহাজের টিকেট কনফার্ম করলাম। বেশি ঘুরাফেরা না করে রাত ১০টার মধ্যেই হোটেলে ফিরলাম, কারণ খুব ভোরেই ঘুম থেকে উঠতে হবে, শরীরেরও রেস্টের প্রয়োজন। সম্মানিত পাঠকমণ্ডলী, হয়তো ইতোমধ্যে আপনারা বিরক্ত হয়েই গেছেন, তাই লিখাটা আর বেশি লম্বা করলাম না। পরের পোস্ট শুধু সেন্টমার্টিন নিয়ে লিখবো। আশাকরি সাথে থাকবেন।

বি:দ্র:- DSLR ক্যামেরা দিয়ে ৩০০+ টা ছবি তোলা হলেও সাইজ বড় হওয়ার কারণে DSLR ক্যামেরা দিয়ে তোলা একটা ছবিও আপলোড করতে পারিনি।

বিষয়: বিবিধ

২০৩৮ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381713
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০৩:০২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো ছবি ও লিখাটি। খানার জন্য আমাকে নিয়ে যেতে পারতেন!!!
381714
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:১৪
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া কেমন আছেন?
আসলে আমি আপনার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম, আপনি পাশে থাকলে খানা নিয়ে কষ্ট মোটেও হতো না। হা হা হা
ধন্যবাদ ভাইয়া।
381717
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রাত ০৯:২০
হতভাগা লিখেছেন : প্রথমবার যখন যাই তখন রাত ৮ টায় বাসে উঠে সকাল সাড়ে ১০ টায় পৌছে ছিলাম । এরপর থেকে টাকা খরচ করে হলেও বিমানে যাই ।

মনে করছেন টাকা বেশী তাই ফুটানি মারতেছে ?

নারে ভাই , কিছু কিছু ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশ বিমানে ভালই ছাড় পাওয়া যায় , অন্য ফ্লাইটেও এক টিকিটে ১ টি ফ্রী থাকে মাঝে মাঝে । ২ জন আপ ডাউন লেগেছিল গত বছর ১৫৬১২/- (এর মধ্যে ১৫০/- করে ৪ টিকিটে ৬০০/- সার্ভিস চার্জ)। ১ ঘন্টা ১০ মিনিট লাগে । আর বাসে মনে ভাড়া দিনকে দিন বাড়তেছে । ২০০০/- পার পারসন পার ট্রিপ মনে হয় ।

বাইরে থেকে যখন এসেছেন আর যখন অনেক বছর পর আসা হয়েছে, তাই ট্রাই করতে পারতেন।

আমার কাছে লাবনী বিচের চেয়ে কলাতলি বীচ ভাল লেগেছে নিরিবিলি বলে । হলিডের মোড়ে গিয়ে হোটেল ঝাঊবন , পঊষীতে খেয়েছি । ১০-১২ পদের ভর্তা নিয়ে একটা আইটেম আছে ১৫০/- রাখে। খাই নি , তবে অনেককে এটা দিয়েই খেতে দেখেছি। ওখানকার রুপচাঁদা ফ্রাই না খেলে মনে হয় কক্সবাজার আসাটাই বৃথা ।

সকালে ভোরে উঠে সাগর পাড়ের বাতাস ভোগ করার মজাই আলাদা ।আমার কাছে মনে হয়েছে এসব জায়গায় গেলে সকালে বিশেষ করে ৮.৩০ টার পর আর বীচে থাকা উচিত নয় । যদি কেউ পানিতে গোসল করতে চায় তাহলে সেটা ভিন্ন। সাগরের পানিতে ভিজলেও হোটেলে এসে গোসল তো করতেই হয় । নচেৎ প্রচন্ড রোদে মাথা ব্যথা হয়ে সারাদিনটাই মাটি হয়ে যাবার ভয় থাকে ।
বের হওয়া উচিত আসলে সন্ধ্যার কিছু আগে । মার্কেট করে রুমে ফিরে রাতে আবার সাগর পাড়ে যাওয়াটাও ভাল লাগে ।

ঠিকই বলেছেন যে , কক্সবাজারে গেলে ইনানী-হিমছড়ি না গেলে কোন মানেই হয় না ।

তবে এসব জায়গায় যাওয়াটা আমার কাছে একটা কুইজের মত মনে হয় । কারণ , সকাল সকাল গেলে সন্ধ্যে হবার আগেই ফেরা যায় । এসব জায়গায় নিরাপত্তাটা একটা বিশাল ফ্যাক্টর ।

এসময় যখন আপনি ফিরবেন তখন নিজেকে বোকা মনে হবে , কারণ বিকেলের দিকেই তো এসব জায়গার আসল সৌন্দর্য্য ফুটে উঠে ! সকালের রোদও ইনানী-হিমছড়িতে মহা প্যারা হয়ে দেখা দেয় । তবে ১ম বার সকালে মেঘ ছিল , বাতাস ছিল প্রচন্ড , তবে বৃষ্টি ছিল না । একেবারে সুবিধাজনক আবহওয়া এসব জায়গায় বেড়াতে যাবার জন্য । ইনানী বীচ আমার কাছে সবচেয়ে বেশী সুন্দর লেগেছে ।

ইনানীর পাশে কক্সবাজারের একমাত্র ৫ তারকা হোটেল রয়াল টিউলিপ সী পার্ল এ ঢু মেরেছিলাম । ১০ তলা হোটেল।পুরাই অস্থির ও মাথা নষ্ট একটা পিস । এরকম হোটেল বাংলাদেশে ২য় টি আছে কি না আমার জানা নেই ।
হিমছড়ি পাহাড়ে উঠে ছবি তুলেছিলাম পাহাড় সাগড় ও তার মাঝে মেরিন ড্রাইভকে ফোকাস করে । পুরাই বিদেশী বিদেশী লেগেছিল পিকগুলোকে ।

হিমছড়ি পাহাড়ের পাদদেশে আর্মিদের একটা রেস্টুরেন্ট আছে - স্টোন ফরেস্ট । অর্ডার দিলে খাবার বানায় , ৪০ মিনিটের মত লাগে । খাবারের মান ভালই (হতেই হবে)।

হিমছড়ি-ইনানী আসতে যেতে অটোওয়ালাকে বার বার থামিয়েছি ছবি তোলার জন্য।

এই ২০-২২ কিলো মিটার পথে কলাতলী লাবনী বীচের মত লাক্সারিয়াল হোটেল নেই , যা আছে সব চিংড়ির হ্যাচারী ।

কক্সবাজারে আসা যাওয়ার পথে বার বার মনে হয়েছে যে আমাদের সরকার পর্যটনের এই অপার সম্ভাবনার জাগয়াটিকে মোটেও পাত্তা দেয় না । ইন ফ্যাক্ট বাংলাদেশের কোন পর্যটন স্পটকে তারা কখনই গুরুত্ব দেয় না । এসব জায়গায় যা উন্নতি হচ্ছে তার ৯৯% বেসরকারী ইনিশিয়েটিভে ।

কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু বানালে এবং এখানে বাংলাদেশ সহ অন্যান্য জনপ্রিয় দলের খেলার শিডিউল দিলে মারাত্মক লাভ হবে পর্যটন খাতে ।

আমা কাছে মনে হয় যে , সামনের দিন গুলোতে পিক সিজন অফ সিজন বলে কিছু থাকবে না । একেক ঋতুর মজা একেক রকম। কেউ কেউ দল বল নিয়ে আসতে ওছন্দ করে , আবার কেউ কেউ নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করে । কারও শীত কাল ভাল লাগে , কারও আবার বর্ষাকাল । কারও আবার সিগনালের সময়!! সবার আবার একই সময়ে ছুটি হয় না ।

বর্তমানে ট্রেন্ড হয়ে আসছে বর্ষার সিজনে কক্সবাজার যাওয়া । যাওয়া হয় নি , তবে ইচ্ছে আছে যাবার ইন শা আল্লাহ।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:২৮
315634
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া কেমন আছেন? সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধধন্যবাদ।
এস আলম এসি সার্বিসের বাসটি অনেক উন্নত মানের ছিল তাতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু এত্ত লম্বা সময় বাসে বসে থাকাটা অন্যতম একটা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইনশাআল্লাহ পরেরবার বিমানে/ হেলিকপ্টারে যাবো। কক্সবাজার এমন একটা জায়গা যেখানে বার বার যেতে ইচ্ছে করে। ইনশাআল্লাহ পরের বার যখন যাবো মিনিমাম ৭ দিন থাকার প্লান নিয়েই যাবো।
বাংলাদেশ সরকার ইচ্ছে করলে কক্সবাজার সৈকতের ইনকাম দিয়েই দেশের অর্থনীতির পরিবর্তন করতে পারে। মনে হচ্ছে দাদা বাবুরা তা চাচ্ছেনা।
381724
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সকাল ১১:৪৩
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : সুন্দর এবং দারুণ এক পোস্ট! তবে অতিরিক্ত ছবির ব্যবহারে কেমন জানি লাগছে। পরিহার করার দরকার ছিল বৈকি! ধন্যবাদ...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৩৩
315635
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই কষ্টকরে লিখাটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
381733
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রাত ১০:২৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam! After long time your presence with our sweet bhabi is really wonderful!!!!! Your fantastic realisation with respected bhabimoni it's heart touching! Very enjoyable writing n photographs so far... very best wishes for you....
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
315636
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ওয়াইলাইকুম সালাম, আপু কেমন আছেন?
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনার আন্তরিকতা আমাকে বার বার ব্লগে আসতে উৎসাহ যোগাবে।
লিখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। জাজাকাল্লাহ
381764
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সকাল ১১:৩৯
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আপনার ভ্রমণের বিস্তারিত জেনে ও ছবিতে দেখে খুব ভাল লাগল।
আপনার জীবনটা সুন্দরে সুন্দরে ভরে উঠুক। Rose Rose
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০২:৩৮
315643
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম,আপনার দোয়া সবসময় কাম্য।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। জাজাকাল্লাহ
381820
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সকাল ১১:৫১
চোরাবালি লিখেছেন : ভালো লাগলো
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০১:৩৩
315680
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
381882
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রাত ১০:৩৫
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম,,

সম্ভবত ২০০২ সালে গিয়েছিলাম,
এখন ও মনে হয়, এই ত সেদিন,,,

তবে সাগরের চেয়ে ঝড়না আমার বেশি ভাল লাগে
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৪০
315713
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, আপু কেমন আছেন?
কক্সবাজার ভ্রমণ সত্যিই আনন্দদায়ক, আর প্রিয়জন যদি সাথে থাকে তাহলেতো আনন্দের মাত্রাটা কয়েকগুন বেড়ে যায় তাই না আপু?? হা হা হা
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
381976
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সকাল ০৯:২৯
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আহ! দারুণ ভ্রমণ। স্মৃতিকাতর করে দিলেন। আমি কক্সবাজার অনেকবার গিয়েছিলাম। তবে বউ ছেলে নিয়ে গিয়েছি একবারই। তখনই প্রথমবার গিয়েছি ইনানী আর হিমছড়ি। যাওয়ার পথে সাগর আর পাহাড়ের যুগল সৌন্দর্য এতোটা মনোমুগ্ধকর যে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
315777
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া কেমন আছেন?
আসলে কক্সবাজার এমন একটি জায়গা, যেখানে বার বার যেতে ইচ্ছে করে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File