অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় সুস্থ সংস্কৃতির রূপরেখা ও আমাদের করণীয়।
লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ৩০ এপ্রিল, ২০১৬, ০১:৫১:০০ দুপুর
সংস্কৃতি শব্দটি বাংলা শব্দ সংস্কার থেকে গঠিত, এর অর্থ হচ্ছে মার্জিত আচরণ, কর্ষণ, সংশোধন, কৃষ্টি। ইংরেজিতে বলা হয় culture. এটি ল্যাটিন শব্দ cultura শব্দ থেকে এসেছে যা পঞ্চদশ শতাব্দীতে প্রথম ব্যবহার করা হয়। সাধারণত সংস্কৃতি বলতে মার্জিত রুচি, উত্তম স্বভাব-চরিত্র ও ভদ্রজনোচিত আচরণকে বুঝায়। যেখানে সুশিক্ষিত, সুরুচি সম্পন্ন ও ভদ্র আচরণ বিশিষ্ট মানুষকে cultured এবং অশিক্ষিত ও অমার্জিত স্বভাবের লোকদেরকে uncultured বলা হয়।
প্রকৃতপক্ষে সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের চিন্তা ও মতাদর্শের পরিশুদ্ধি, পরিপক্বতা ও পারষ্পরিক সংযোজন, যার কারণে মানুষের বাস্তবজীবন সর্বোত্তম ভিত্তিতে গড়তে ও পরিচালিত হতে পারে। মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, আচার আচরণ ও রীতিনীতির বিপরীতে যে-সংস্কৃতি গড়ে উঠে, সেটাকে অপসংস্কৃতি বলে, সেটা যেকোনো ধর্মের বিপরীতে হতে পারে।
সংস্কৃতিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়, বস্তুগত সংস্কৃতি ও অবস্তুগত সংস্কৃতি। খাদ্যদ্রব্য, পোশাক-আশাক, আসবাবপত্র, চিকিৎসা, যানবাহন ইত্যাদিকে বস্তুগত এবং মানুষের আচার-আচরণ, নাচ, গান, সিনেমা, নাটক ইত্যাদি বিনোদনমূলক উপাদান গুলোকে অবস্তুগত সংস্কৃতি বলা হয়। সুস্থ সংস্কৃতিতে ধর্মের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ধর্ম যদি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হয় তাহলে সংস্কৃতি ধর্মের একটা অংশ। ধর্মের এই ব্যাপক ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা অন্যকোন ধর্ম সম্পর্কে সত্য না হলেও ইসলাম সম্পর্কে তা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। পবিত্র কোরানে ইসলামকে দ্বীন বলা হয়েছে, আর দ্বীন হচ্ছে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। মহান আল্লাহ বলেন, "নিশ্চই আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম"। ইসলামের মূল ভিত্তি ও ভাবধারার আলোকে যে সংস্কৃতি গড়ে উঠে তাকে বলা হয় ইসলামী সংস্কৃতি।
যে ব্যক্তি সংস্কৃতিবান সে তার প্রকৃতি বা স্বভাবকে সম্পূর্ণভাবে বিকশিত করার জন্যে যত্নবান হয়। জ্ঞানের অধিকারী হওয়া বা সুন্দর গুনের অধিকারী হওয়াই সংস্কৃতি নয়, সত্য মহান ও সুন্দরের প্রতি যে ব্যক্তি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ অর্জন করেছেন, তিনিই প্রকৃতপক্ষে সংস্কৃতবান ব্যক্তি।
ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিমদের আগমনের পূর্বে শত শত বছর ধরে বৌদ্ধ ও হিন্দু রাজত্ব কায়েম ছিল। তাই বাংলা সংস্কৃতিতে এখনো ঐ সমস্ত ধর্মের প্রভাব সুস্পষ্ট।
আগেকার মত বাংলার শিশুরা এখনো ঠাকুরমারঝুলীর ভূত পেত্নীর গল্প শুনতে অভ্যস্ত। হিন্দুরীতিতে পহেলা বৈশাখে গাওয়া হয় "এসো হে বৈশাখ, এসো হে এসো" মূলত বৈশাখ নামটি হিন্দুদের বিশাখা দেবতার (নক্ষত্র) নাম থেকে এসেছে। এ গানের মাধ্যমে বিশাখা দেবতার কাছে হিন্দুরা প্রার্থনা করে থাকে, তাদের সব দুঃখ-কষ্ট তুলে নিতে। মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে সার্বজনীন মূর্তি পুজার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেটাকে সার্বজনীন পহেলা বৈশাখ হিসেবে পালন করে, সেটাকে একই দিনে ভারতে তাদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিশু দিবস হিসেবে পালন করে।
ঐ দিন টিভির পর্দা উপজাতিদের নৃত্য আর ভূত পেত্নীর মুখোশে ভরপুর থাকে, যেন এগুলোই বাংলার সংস্কৃতি!
বছরের প্রথমদিনে এই অনৈসলামিক হিন্দুয়ানী সংস্কৃতির মোকাবেলায় এই দিনে আমরা বাংলার অতীত-ঐতিহ্য নিয়ে নাটিকা তৈরি করতে পারি, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার আয়োজন করতে পারি, যুগ যুগ ধরে বাংলার মুসলিম সুফিসাধক ও ফকিরদের গড়ে তোলা বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃতি, শরিয়তি, মারফতি, কবি গান, ভাউল গান ও পুথির সাথে পরিচয় করাতে পারি। আবহমান বাংলার মেহমানদারীর ঐতিহ্য স্বরুপ এই দিনে পানতা-ইলিশের পরিবর্তে ক্ষুধার্তের মুখে খাবার তুলে দিতে পারি। এগুলো বাংলার মুসলিমদের ঐতিহ্য ছিল, বর্তমানে এগুলো হিন্দুয়ানি অপসংস্কৃতির ষড়যন্ত্রের শিকার, এভাবে আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে হিন্দুয়ানী নোংরা সংস্কৃতির পরিবর্তে সুষ্ঠ সংস্কৃতি উপহার দিতে পারি। সর্বস্তরের মানুষের সামনে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।
বাংলাদেশের শহরাঞ্চল থেকে গ্রাম পর্যন্ত সবত্র মুসলিমদের বিবাহ অনুষ্ঠান গুলো যেন অপসংস্কৃতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিনোদনের নামে অশ্লীল হিন্দি গানের সাথে ডান্স করা যেন রীতিতে পরিণত হয়েছে।
প্যাকাজ অনুষ্ঠানের নামে যেভাবে নোংরামি করা হয়, তা দেখে যেন আজ শয়তানও স্তব্ধ। ওয়াজ নসিহতের মাধ্যমে এই অপসংস্কৃতি বন্ধে আলেম সমাজের প্রচেষ্টা আজ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। তাই এই অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় সুস্থ সংস্কৃতি যেন আজ সময়ের দাবি। আলহামদুলিল্লাহ্ বর্তমানে এই নোংরা অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় ইসলামী চেতনায় উজ্জীবিত একঝাঁক তরুন-যুবক সুষ্ঠবিনোদন নিয়ে এগিয়ে এসেছে যদিও এই শিল্পগোষ্ঠী গুলো প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এক্ষেত্রে আমাদেরকে প্রত্যেক এলাকায় শিল্পগোষ্ঠী তৈরিতে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে ইসলামী শিল্পগোষ্ঠী গুলোকে আমন্ত্রণের মাধ্যমে সমাজের মানুষদের বুঝিয়ে দিতে হবে যে নোংরামি ছাড়াও সুস্থ বিনোদন সম্ভব।
বাংলাদেশের ঘরে ঘরে আজ হিন্দি সিনেমার আগ্রাসন চলছে। আপনার কোমলমতি শিশুরা হিন্দি চ্যানেলে সবসময় অশ্লীল পোশাকের উলঙ্গিনীদের দেখে আসতেছে, তাদের আবেদনময়ী শারীরিক ভাষা ও কথাবার্তা শুনতে শুনতে তাদের মধ্যেও অনৈতিকতা আসাটাই স্বাভাবিক।সিনেমায় কৌশলে মূর্তিপূজার কাজটাও সেরে নিচ্ছে।
হিন্দি সিনেমা-নাটকের কল্যাণে আজ আমাদের ছোট ছোট বাচ্চারাও পূজা করার পদ্ধতি ও সব দেবদেবীর নাম মুখস্ত বলতে পারে, যদিও ১০ জন নবীর নাম বলতে পারেনা! মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া সত্ত্বেও ইসলামী রীতিনীতির চেয়ে হিন্দু রীতিনীতিতে তারা বেশি অভ্যস্ত। এই হিন্দুয়ানী অপসংস্কৃতির মোকাবেলার সমাজের মুসলিম বিত্তবানদের ঈমানের দাবিতে এগিয়ে আসতে হবে। বেশ কিছু ইসলামি চ্যানেল তৈরি করতে হবে, যে চ্যানেল গুলোতে সার্বক্ষণিক ইসলামী ভাবধারায় তৈরি সিনেমা, নাটক চলবে, প্রতিদিন নানান শিক্ষণীয় বিষয়ে শিশু কিশোরদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা থাকবে। আজকালকার শিশুরা ঠাকুরমারঝুলির কার্টুন ভার্সন ও অন্যান্য কার্টুন দেখতে অভ্যস্ত, তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ইসলামিক ভাবধারায় তৈরিকৃত কার্টুন ও নবী-রাসূল, সাহাবী ও ইসলামি মনীষীদের জীবনী নিয়ে ছোটদের জন্য অনুষ্ঠান প্রচার করতে হবে। ইসলাম বিরোধী চ্যানেলগুলো নাচ গানের প্রতিযোগিতা দিয়ে তরুন প্রজন্মকে নোংরামির শেষ সীমানায় নিয়ে যাচ্ছে। তাই ইসলামী চ্যানাল গুলোতে দেশাত্মবোধক ও ইসলামী সংগীতের প্রতিযোগিতা, কেরাত প্রতিযোগিতা, হেফজো প্রতিযোগিতা, সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা সহ শিশুদের জন্য ইসলামী ভাবধারায় তৈরি নানান অনুষ্ঠান থাকবে। এভাবেই নোংরাসংস্কৃতির মোকাবেলা সুস্থ সংস্কৃতি দিয়ে করতে হবে।
মোবাইল-ইন্টারনেটের ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। মাঝে মাঝে আপনার সন্তানের স্মার্টফোন চেক করুন, ছার্চিং ইঞ্জিন গুলো, যেমনঃ গুগল, ইয়াহু এবং ইউটিউবের ছার্চিং হিস্টোরী চেক করুন। তাহলে আপনি নিজেই দেখতে পাবেন আপনার সন্তান অনলাইনে কি করে!! অনলাইনে ডাঃ জাকির নায়েক ও অন্যান্য ইসলামিক স্কলারদের ভিডিও গুলো দেখতে উৎসাহিত করুন। আপনার সন্তানকে যদি আপনি একটা সুস্থ সংস্কৃতি উপহার দিতে পারেন, সুস্থ সংস্কৃতিতে তাদের বেড়ে উঠার পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারেন, তাহলে আপনার সন্তান আপনাকে শ্রদ্ধা করবে, আপনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পর আপনার জন্য দুইহাত তুলে আল্লাহর কাছে দুয়া করবে। অপসংস্কৃতির ফসল ঐশির মত পিতামাতার হত্যাকারী হবেনা।
আজ আমাদের সংস্কৃতিকে বিদেশী ও বিজাতীয় নোংরা উপাদান ও ভাবধারা থেকে মুক্ত করে ইসলামী আদর্শের মানে উত্তীর্ণ এক নতুন সংস্কৃতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ইসলামী আদর্শবাদীদের সংগ্রাম চালাতে হবে। এই সংগ্রাম কঠিন, ক্লান্তিকর ও দুঃসাধ্য। এ পথে পদে পদে নানাবিধ বাধাবিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে, কিন্তু পরিপূর্ণ নিষ্ঠা, দৃঢ়তা ও সাহসিকতার সাথে এ সংগ্রাম চালাতে পারলে এর জয় সুনিশ্চিত।
তাই আসুন প্রচলিত অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় সুস্থ সংস্কৃতির গঠন ও বিকাশে যার যার অবস্থান থেকে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করি।
বিষয়: বিবিধ
৪৫৪২ বার পঠিত, ৬১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
স্টিকি শুভেচ্ছা।
সন্মানিত মডারেটরবৃন্দকে আন্তরিক অভিনন্দন সময়োপযোগী এই অসাধারণ লিখাটি ষ্টিকি করার জন্য।
লেখকের জন্য রইলো বিশেষ ষ্টিকি অভিনন্দন।
মদারেটরবৃন্দের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই আপনাকে উৎসাহিত করে তুলবার জন্য।
ষ্টে শুভেচ্ছা
সকল বিষয়ে বুঝার জন্য ছবির সাহায্যে প্রমাণ দেবার প্রয়োজন সব সময় দরকার পড়েনা। আমরা একটু চেষ্টা করলে বুদ্ধি দিয়ে উপেক্ষা করতে পারি এবং ঘটনাটি কলমের আচড়ে বুঝাতে পারি। অমানান সই ছবিটি গুরুত্বের জন্য হয়ত ঠিক আছে কিন্তু মৌলিকতার জন্য ঠিক নাই। তাই সম্ভব হলে ছবিটি তুলে নিবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
সুন্দর পরামর্শ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি ছবিটি ডিলেট করে দিয়েছি।
আসলে আমরা সবাই চাই সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা হোক, বিকশিত হোক। কেউ করতে চাইলে বাহবা দিই কিন্তু হাত বাড়াই না। কয়েক মাস আগে আমি একদল তরুন নিয়ে একজন উৎসাহী তরুণের নেতৃত্বে একটি ফিল্মমেকার প্রতিষ্ঠানের সূচনা করি। অনেক কষ্টে ছেলেটি ৮মিনিটের একটি শর্টফিল্ম তৈরী করে যাতে ইভটিজিংকে অনুতসাহিত করা হয়েছে। এডিটিং এ খরছ লাগলে সে খরছ যোগাড় করতে পারে না। ওর পড়ুয়া বন্ধুরা ২/১শ যা পারে দেয়, এডিটিংএ লাগে ৪/৫ হাজার টাকা। ফিল্মটির প্রিমিয়ার শো করবে প্রেস ক্লাবে, সে জন্য তার হল ভাড়া ৫ হাজার টাকার দরকার। আমি কয়েক জায়গায় নাড়া দিয়েও সাড়া পাইনি। এই টাকার জন্য সে প্রায় একমাস ঘুরাঘুরি করে। এখানেই আমাদের সমস্যা। আমরা চাই ভাল কিছু হোক, কিন্তু টাকা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয় সেটা বুঝতে চাই না। খারাপ কিছুর জন্য টাকা দেয়ার লোক অনেক। ভাল কিছুর জন্য টাকা চাইলে মুখ ঘুরিয়ে নিই।
তাহলে কেমনে হবে ভাল কিছু???
বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য সুস্থ সংস্কৃতির প্লাটফর্ম তৈরী করতে হবে শত শত হাজার হাজার।
আমরা আছি শুধু করতে হবে, গড়তে হবে সিলেবাসের পাঠের মধ্যে সিমাবদ্ধ। কে করবে, কে গড়বে, কিভাবে গড়বে তার প্রেকটিকেল ক্লাসের মধ্যে কেউ নেই। আর তাতে কেউ থাকলেও তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াইনা।
দিগন্ত টিভি রাজনৈতিক রোষানলে পড়েছিল, আমি যে ধারণা পেশ করেছি তা বাস্তবায়নে সব ধরনের ইসলামিক মাইন্ডেড লোককে যুক্ত করা যেতে পারে। আওয়ামীলীগ এর মধ্যে ইসলামকে ভালোবাসে এমন অনেক লোক আছে। মুলত এই চ্যানেল গুলো হবে শুধুমাত্র ইসলামী ভাবধারার সুস্থ সংস্কৃতি নিয়ে, এটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক হবে।
আপনার কথার যথেষ্ট বাস্তবতা আছে, তারপর ও অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় আমাদের সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
নববর্ষে ছাত্র শিবির সাধ্যমত চেষ্টা করে ক্ষুধিতের মুখে খাবার তুলে দিতে. আর কাউকে এমনটা করতে দেখা যায়না.
আলাদা টিভি না থাকলেও চলমান কিছু চ্যানেল এ কিছু ইসলামীk অনুষ্ঠান হয়েছে বা হয়, যা আশার সঞ্চার করে.
আপনি যে টিভি কেন্দ্রিক অনুষ্ঠানের রুপরেখা দিয়েছেন, তা করা এত সহজ নয়, যখন এই ধরনের টিভিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়না, হলেও কিছুদিন পর বন্ধ করে দেয়. দিগন্ত ও ইসলামিক টিভির দশা তো দেখেছেন.
আপনার বাচ্চাকে হিন্দুয়ানি কিছু দেখালে পিটিয়ে মারব.
তো ভালোই তো লিখেছেন. শুভেচ্ছা রইল হে শোকাহত যুবক
মূলত শিবিরের উদ্যোগেই দেশ ব্যাপী কিছু শিল্পগোষ্ঠী গড়ে উঠেছে, যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
কিছু টিভি আছে যেগুলো কোন খবর প্রচার করেনা, শুধু সিনেমা, নাটক ও অন্যান্য অনুষ্ঠান গুলো প্রচার করে, আমি মূলত ঐ ধরনের টিভির কথাই বলতেছে। তাহলে রাজনৈতিক রোষানলে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। ভাই, আগে বিবির সাথে দেখা করি তারপর না হয় বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে চিন্তা করমুনে। ধন্যবাদ আপনাকে খোঁচা মারার জন্য।
তাই আসুন আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক তথ্যবহুল একটি লিখা,
পরেছিলাম কয়েক দিন আগে ই
কিন্তু মন্তব্যের দরজা বন্ধ ছিলো
তাই ষ্টিকি হবার শুভেচ্ছা ও জানাতে
পারিনি
আসলে মাঝে মাঝে ব্লগে ডিস্টার্বের কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ব্লগে আসা হয় না। কষ্ট পড়ার ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অন্দক ধন্যবাদ। আসুন আমরা যার যার অবস্থান থেকে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করি যাই।
তথ্যভিত্তিক পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানলাম। সমাজ কী ভয়াবহ ভাবে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে , আফসোস!
শুকরিয়া!
সময়োপযোগী পোস্ট।
কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। জাজাকাল্লাহ
এখন আর ব্লগ ভালো লাগে না....
মন্তব্য করতে লগইন করুন