যুবক হাউজিংয়ের মাঠ কর্মীর যন্ত্রণাময় জীবন ও সচেতন বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন।(১০০% সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ২৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:২০:০২ দুপুর



করিমের ভগ্নীপতি প্রবাসী, বোনের একাউন্টে কিছু টাকা অলস পড়ে রয়েছে। করিমের বোন চাচ্ছেন এই টাকাটা অলসভাবে বসিয়ে না রেখে কোথাও ইনভেস্ট করে কিছু টাকা আয় করতে। তাই প্রতিদিন করিমকে তার বোন বিরক্ত করেই যাচ্ছে, অন্তত এই টাকাটা কোথাও কাজে লাগা, তোর দুলাভাইয়ের যে টাকাটা খরচ করেছিস সেটা কভার করার চেষ্টা কর, উনি দেশে আসার সময় হয়ে আসতেছে, টাকার হিসাব চাইলে আমি কি বলবো? এই কথাটা প্রতি সপ্তাহে করিমকে ২/১ বার শুনতেই হয়, কারণ কৃষিকাজ ছাড়া করিমের বাবার তেমন কোন ইনকাম সোর্স না থাকায় পারিবারিক কাজে এবং বাবার চিকিৎসা বাবদ দুলাভাইয়ের কিছু টাকা করিমের পরিবারকে খরচ করতে হয়েছে।

করিম বি.বি.এস প্রথম বর্ষের ছাত্র, সপ্তাহে ৩/৪ দিন ক্লাস ও প্রাইভেট শেষে উপজেলা চত্বরের মৃদু বাতাস সমৃদ্ধ ছায়াযুক্ত পুকুর পাড়ে ৬ বন্ধু মিলে গ্রুপ স্টাডি করে। একদিন গ্রুপ স্টাডি শেষে যখন সবাই সিঙ্গারা, চামুচা ও পেঁয়াজু নিয়ে ব্যস্ত তখন করিম তার বোনের বিষয়টি নিয়ে বন্ধুদের পরামর্শ চাইলো। সব শুনার পর বন্ধু সোহেল বললো, আমার বড়ভাই সুমন যুবক অফিসের ব্রাঞ্চ ম্যানাজার। আমার সাথে ভাইয়ার অফিসে চল, ভাইয়ার সাথে পরামর্শ কর, স্বল্প সময়ে এর চেয়ে বেশি প্রোপিট অন্য কোথাও পাবিনা।

সোহেলের কথা শুনে করিম খুব খুশি হয়, কারণ এতদিন পর বোনকে একটা সু-সংবাদ দেওয়া যাবে। সোহেলের ভাইয়ার বড় ও সুসজ্জিত জনাকীর্ণ অফিস দেখে করিমের খুব ভালো লাগলো। অনেক ব্যস্ততা সত্ত্বেও ছোট ভাইয়ের বন্ধু হিসেবে করিমের সাথে সুমন ভাই খুব আন্তরিকভাবে যুবকের বিভিন্ন মেয়াদের সঞ্চয়, চলমান প্রকল্প এবং মার্কেট ভ্যালু মিয়ে কথা বললেন। সবশেষে নাস্তা খেয়ে সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে করিম সুমন ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিলো। উল্লেখ্য ২০০৪-২০০৭ পর্যন্ত দেশব্যাপী যুবকের জয়জয়কার ছিল, সম্পূর্ণ ঘুষমুক্ত জব ফেয়ারের মাধ্যমে যোগ্যতাবলে চাকুরীর প্রক্রিয়া চালু করে বেকার যুবকদের স্বপ্নের ঠিকানায় পরিণত হয়েছিল। এই জন্য যুবকের লাভজনক প্রস্তাবটি করিমের কাছে খুব ভালো লাগলো।

করিম তার বোনকে যুবক সম্পর্কে বিস্তারিত বললো, করিমের বোনও খুব খুশি হলো যেন অনেকদিন যাবত তিনি এই রকম একটা প্রতিষ্ঠানই খুঁজতেছিলেন। পরের দিন করিম কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার বন্ধু আনোয়ারকে নিয়ে যুবকের অফিসে সুমন ভাইয়ের কাছে গেল। একবছরের মেয়াদী হিসেবে টাকাটা জমা করলো, সুমন ভাই দুইজনকে নাস্তা করালেন, তারপর করিমকে ২ দিন পর লেনদেনের মূল ডকুমেন্ট নিয়ে যেতে বললেন।

দুইদিন পর করিম যুবক অফিসে আসলে সুমন ভাই করিমকে যুবকের মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেন। পড়ালেখা ও পারিবারিক কাজের পাশাপাশি পার্টটাইম জব হিসেবে প্রস্তাবটা করিমের কাছে ভালো মনে হলো। করিম সুমন ভাইয়ের কাছ থেকে কাজের ধরণ ও কাজ করার পদ্ধতি সবকিছু বিস্তারিত বুঝে নেয়। করিম কলেজের পাশে চেয়ারম্যানের বাড়িতে তিনবছর লজিং ছিল এবং কলেজের আশেপাশে বেশ কিছু টিউশনিও করতো। সেই সুবাদে লজিং বাড়ির লোকজন এবং টিউশনির অভিভাবকেরা করিমকে খুব ভালো জানতো। করিম টিউশনি ও লজিং বাড়িতে গিয়ে যাদেরকেই যুবকে কাজ করার কথা জানালো এবং যুবকের মুনাফার ব্যাপারে বিস্তারিত বললো তারা সবাই টাকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করলো। অনেকেই বললো, আমাদের টাকাটা ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবে মুনাফা বিহীন অবস্থায় পড়ে আছে, যেহেতু যুবক প্রতিবছর ভালো মুনাফা দিচ্ছে, তাহলে যুবকে রাখাই ভালো। তারা করিমের সাথে যুবক অফিসে এসে সুমন ভাইয়ের কাছ থেকে আরোও বিস্তারিত জেনে বুঝে তারপর টাকা জমা রাখলো। দুই দিন পর করিম বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে লেনদেনের মূল ডকুমেন্ট বুঝিয়ে দিল। নিজ এলাকাতেও টিউশনির সুবাদে করিমের ভালো পরিচিতি ছিল। বাড়ির এবং এলাকার কিছু লোকও করিমের সাথে যুবকের অফিসে গিয়ে টাকা রাখলো, এদের কারো সাথে সুমন ভাইয়েরও পূর্বপরিচয় ছিল। আত্মীয়স্বজনদের মধ্যেও অনেকেই টাকা রাখলো।

আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, টিউশনি ও লজিং বাড়িসহ যাদেরকেই করিম যুবকে টাকা রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল তারা সবাই করিমের সাথে যুবকের অফিসে গিয়ে সুমন ভাইয়ের কাছ থেকে আরোও বিস্তারিত জেনে বুঝে নিজ হাতে চুক্তিনামা দলিলে স্বাক্ষর করে টাকা জমা করেছিল। দুইদিন পর করিম যুবক অফিসের সমন্বয়কারী মির্জা মোর্শেদের স্বাক্ষরিত লেনদেনের মূল দলিল গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল, এভাবে সবার সাথে করিমের সম্পর্ক আরোও দৃঢ় হলো।

দেখতে দেখতে বছর শেষ হয়ে এলো, সেই বছর সর্বোচ্চ গ্রাহক সংগ্রহে ভূমিকা রাখার জন্য করিমকে যুবক অফিস থেকে পুরুষ্কৃত করা হলো। সুমন ভাইয়ের পরামর্শে করিম তার কমিশনের পুরো টাকাটাই যুবকে রেখে দিল। এমনকি স্বল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় করিম তার ৪৮ শতাংশ ফসলী জমি বন্ধক দিয়েও যুবকে টাকা রাখলো, যদিও করিমের বাবার প্রবল আপত্তি ছিল। (যুবক উদাও এবং করিমের যন্ত্রণাময় দিনগুলো পরের পর্বে প্রকাশ করা হবে)

বিষয়: বিবিধ

২৯১৪ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

366784
২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
কুয়েত থেকে লিখেছেন : হায় হায় এভাবে কত করিম যে এই দেশে শেষ হলো কে তার হিসাব রাখে..? ডেসটেনিতে কত করিম নিঃস্ব হলো সেয়ার বাজারে কত করিম উদাও হলো কে কার হিসাব নিবে তার পরেও দেশর মানুষ ঠিকে আছে। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে
২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৩
304345
আবু জান্নাত লিখেছেন : দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাই কেমন আছেন? ইনশাআল্লাহ পরের পর্বে করিম ও তার পরিবারের চরম যন্ত্রণা দায়ক জীবনের বাস্তব কথাগুলো তুলে ধরবো। আজ করিমের জীবন নিরাপত্তা হীন, ধন্যবাদ আপনাকে
২৩ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
304380
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Tongue Tongue Surprised Surprised
366785
২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:০৭
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাই কেমন আছেন? ইনশাআল্লাহ পরের পর্বে করিম ও তার পরিবারের চরম যন্ত্রণা দায়ক জীবনের বাস্তব কথাগুলো তুলে ধরবো। আজ করিমের জীবন নিরাপত্তা হীন, ধন্যবাদ আপনাকে
366796
২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০২:৪৬
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : পরে যে কি হবে? সচেতন মুলুক পোস্টের জন্য জাযাকাল্লাহ ..
২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:১৩
304337
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : পরের পোস্টে করিম এবং তার পরিবারের মানসিক চরম কষ্টের ও জীবন নাশের হুমকিতে ভরপুর থাকবে। ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় ভাই।
366802
২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:০৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি মোটামুটি নিশ্চিত, করিম লোকটির অপর নাম (দিলু) মামুন।

২০০৬ সালে ডেসটিনি আমার পিছে অন্তত দু'মাস ঘুরেছে, অনেক বার ফেনী হেড অফিস পর্যন্তও নিয়েছিল, কিন্তু এই বান্দা সূদ সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন করে ওদের অনেক গলাবাজি ও গালাগালি শুনেছে।

আমি হাদিস উপস্থাপন করে প্রশ্ন করি, ওরা আমাকে যুক্তি দিয়ে বুঝায়, কামেল পাশ এক মুফতি সাব ও আমাকে ৯,৬ পনের টাইপের অনেক বুঝিয়েছেন। আলহামদু লিল্লাহ শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকলে পেরেছিলাম।

শেষ গালিটা ছিল, হুজুররা একটু কেড়া টাইপের হয়, এদেরকে কেউ বুঝাতে পারে না। বেহুদা ওর পেছনে সময় নষ্ট করলাম।

যুবকসহ ডেসটিনি উধাও হয়ে যাওয়ার পর ঐ সকল মুপ্তি সাবরাও উধাও হয়েছেন, প্রায় ৮-৯ বছর এলাকা ছাড়া হয়েছেন।

এ কাজে বেশি দেখা যেত ফেনী কলেজসহ হাইস্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। কামেল মাদরাসার ছাত্রছাত্রীদেরও কিন্তু কম দেখা যায়নি। ঐ সকল নেতারা বেশিরভাগই আজো এলাকা ছাড়া।

আপনার বাকি গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।


২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:১৮
304338
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ওয়াইলাইকুম সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু। জনাব যুবকের কর্মকর্তাদের কাছে তথা সুমনভাইয়ের কাছে সুদ সম্পর্কে আমার অনেক প্রশ্ন ছিল। কিন্তু লম্বা দাঁড়ি বিশিষ্ট আলহাজ্ব টাইপের অনেক হুজুরকেও যুবকে লেনদেন করতে দেখেছি, তারা এমন ভাবে বুঝিয়েছি যেন যুবক ১০০% সুদমুক্ত। কিছু সুবিধাভোগী মোল্লার কারণে সহজ সরল মুসলিমেরা আজ বিভ্রান্তির মধ্যে। আপনি সচেতন হওয়ার কারণেই হয়তো আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:২৩
304339
আবু জান্নাত লিখেছেন : "কিন্তু লম্বা দাঁড়ি বিশিষ্ট আলহাজ্ব টাইপের" Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor কামল পাশ মুপ্তি সাব কি এমনিতে বলেছি!!! Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out

২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৪২
304341
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : ভাই গালি দিবেন না, ওদের কাজের ফল, মহান আল্লাহ ই দিবেন,
২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৫০
304343
আবু জান্নাত লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor রেগে গেলে কিন্তু হেরে যায়, আপনি কিন্তু হেরে গেছেন, আপনার গোপন পরিচয় করিম লোকটির পরিচয় কিন্তু সবাই পেয়ে যাবে। Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
হাঁসতে হাঁসতে পেট ব্যথা করছেরে ভাই। Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor কপাল খারাপ নয়, ভাগ্য খারাপ।

যাগগে ভাই, মানুষ জীবনে অনেক ভুল করে, ভুলে ভরা জীবন। যা হবার হয়েছে, এবার বাকি গল্পটি বলেন। Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck

২৩ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৪:০৩
304346
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : শরিফ ভাই, ঐ সুবিধাভোগী লোকগুলোর কারনে আজ কতটা মানসিক টেনশনে আছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা।
২৩ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৪:০৬
304348
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : মোহতারাম আবু জান্নাত ভাই, ঐ সুবিধাভোগী কুচক্রী লোকগুলোর কারনে আজ কতটা টেনশনে আছি তা ভাষা দিয়ে বোঝানো জাবেনা।
২৩ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৪:১১
304349
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : বিবর্ণ সন্ধ্যা আপু,ঐ কুচক্রী লোকগুলো আমার সুন্দর সাজানো জীবনকে কলঙ্ক ময় করে দিয়েছে।
মুহতারাম আবু জান্নাত ভাই, আপনি হাসতেছেন!! ঠিক আছে আমিও কাঁশতেছি।Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
২৩ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
304390
আবু জান্নাত লিখেছেন : ভাই সত্যিই বলছি, আপনার দুঃখে আমিও দুঃখিত, কিন্তু আপনার উত্তেজনা দেখে না হেঁসে থাকতে পারি নাই।

আমার এক মামাও ৬,০০০/- টাকা খুঁইয়েছে।

আমার এক সহপার্টিতো উনার আত্মীয় স্বজনের টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ট্রি প্লান্টেশনের নামে ঢেলেছে। সব হারিয়ে বেচারা এখনো আত্মীয়দেরকে চোখ দেখায় না।

আসলে ওদের টেকনিকটাই এমন যে একজন জেনারেল শিক্ষিতকে কিভাবে টার্গেট করবে, একজন আলেমকে কিভাবে টার্গেট করবে, তাদের পক্ষ থেকে কি কি প্রশ্ন আসতে পারে, কি কি জবাব দেওয়া যেতে পারে, এসব কিছু আগে থেকেই প্লান করা থাকে। তাই তো সব স্তরের মানুষকে ওরা ধোকা দিতে পারে।

ধন্যবাদ ভাই।

২৩ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
304392
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, হুজুর আপনার সুন্দর বিশ্লেষণ মূলক মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি যথার্থই বলেছেন।
366806
২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৪০
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম

খুব ই করুন কাহিনী,
আমার এক খালা শ্বাশুরী ও ঠিক এই কাজটা ই করেছিল ডেসটিনির পাল্লায় পড়ে,
এখন জমি জামা বিক্রি করে অন্যদের ক্ষতি পুরোন দিচ্ছে যতটুকু পারছে
২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৫২
304344
আবু জান্নাত লিখেছেন : আমাদের এলাকায়ও এমন অনেকে হয়েছে। অনেক লোভে পড়ে, অনেকে না বুঝে এগুলো করেছে।
২৩ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৯
304356
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : হুম্
অনেক সময় বুঝে ও কিছু করার থাকে না,
আমার শ্বাশুরি ও উনার বোনের পাল্লায় পড়ে আড়াই লক্ষ্য টাকা রেখেছিল,
আমার স্বামী উনাকে নিষেধ করেছিল, তখন, মা ছেলের মাঝে সে কি ঝগড়া,
অতপর সবগুলো টাকা ই জলে গেলো
২৩ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
304381
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ওয়াইলাইকুম সালাম, কেমন আছেন আপু??
আপনার খালা শাশুড়ি জমি বিক্রি করে টাকা দিতে যাবে কেন? তিনি কি টাকা মেরে খেয়েছিলেন নাকি? কমিষনে চাকুরী করেছিলেন মাত্র!! লাভ হলে কি গ্রাহকেরা উনাকে লাভের অংশ দিত?
২৩ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৮
304385
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : মুহতারাম আবু জান্নাত ভাই, করিম কিন্তু সইচ্চায় যায়নি, বোনের কারনে গিয়ে ফাইস্যা গেছে!!
366807
২৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৪৮
তট রেখা লিখেছেন : এ যে, ডেস্টিনির কাহিনী। আমার স্ত্রী আমাকে না জানিয়ে তার কাজিনের পাল্লায় পরে একই কাজ করেছিলো। আমার শ্যালক আমার পিছেও ঘুর ঘুর করেছিলো পাত্তা পায়নি। আসলে মানুষের হালাল-হারাম লেন-দেন ও সুদের ভয়াবহতার ব্যপারে অজ্ঞতা ও অত্যধিক লোভ এক শ্রেনীর ঠগ-বাজদের এ সকল দুস্কর্ম করতে প্রভাবিত করে।
২৩ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৩
304382
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাই তটরেখা, এখানে লোভের চেয়েও বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার চিন্তা বেশি উৎসাহী করেছিল। তাছাড়া হুজুর নামের কিছু নির্লজ্জ লোভীর কারনে সাধারণ মুসলিমেরা প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছেন। হয়তো আপনি খুব সচ্ছল ছিলেন বলে ভালোভাবে চিন্তা করার সুযোগ পেয়েছেন, মাঝেমাঝে বেকারত্ব মানুষকে প্রচন্ডভাবে বিভ্রান্ত করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
366812
২৩ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৪:৪২
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওইসব করিমরা গোল্লায় যাক! তাতেও আমার কোন আপত্তি নেই। এই ভাইটা কি ছিলনা ? একবার তো জিজ্ঞেস করতে পারতো, সাকা ভাই, যুবকে টাকা রাখা ঠিক হবে কিনা? এখন সেই সাকা ভাইকেই করুণ কাহিনী শোনাতে আসছে!

কত সময় কত অভাবে থেকেছি, চোখের সামনে দিয়ে গেল কত ডেসটিনি, ইলিংস, ডোলেন্সার, ভূয়া ফ্রিল্যান্সিং। কিন্তু আউব্বা জাউব্বা সাকাটাকে কেউ কখনো পটিয়ে নিতে পারলোনা।
করিমের প্রতি নো সিম্পেথি!
২৩ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১৩
304386
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, মুহতারাম তখন আপননাকে পাইলে করিম হয়তো ঠিকই জিজ্ঞেস করতো। করিম তো চুরি করেনি, সে নিজে যেমন বেকারত্ব দূর করতে চেয়েছিল তেমনি অন্যের উপকার করতেও চেয়েছিল। লাভের অংশতো গ্রাহকেরা করিমকে দিত না, তাহলে করিমকে শুধু শুধু কেন দোষারোপ করবে? তারাতো বুঝে শুনে স্বজ্ঞানে লেনদেন করেছিল???
366818
২৩ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৪:৫৪
আফরা লিখেছেন : জী পড়লাম কিন্তু এসব ব্যাপারে তেমন কিছু জানা নেই । আগামী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২৩ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১৪
304387
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আফরা আপু পরের পর্বে আশাকরি ১০০% বুঝতে পারবেন। আপনার উপস্থিতি সব সময় কাম্য, ধন্যবাদ আপনাকে।
366849
২৩ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:৩৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যুবক ও ডেসিটিনি একরকম নয়। প্রকৃত পক্ষে যুবক ব্র্যাক বা আশার মত করে আমানত সংগ্রহ করত। তাদের সিরামিক কারখানা,চিংড়ি প্রজেক্ট, ল্যান্ডফোন সহ অনেক কিছু ছিল। যার সম্পদ মুল্য আমানত এর চেয়ে বেশি। কিন্তু স্রেফ প্রতিহিংসা বসে তত্বাবধায়ক সরকার এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। তখন যদি সম্পদগুলি বিক্রি করত তবে অনেক অর্থ পাওয়া যেত। সেগুলি এখন যুবলিগ নেতাদের দখলে!!
২৩ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:৫১
304404
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া আসল মন্তব্য টি করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।মাননীয় অর্থমন্ত্রী দুই বছর আগে ঘোষনা দিয়েছিলেন, সারা দেশে যুবকের যে পরিমাণ সম্পদ আছে তা দিয়ে যুবকের সব পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংক যুবকের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে টাকা পরিশোধের দায়িত্বও নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে যুবকের গ্রাহকদের জিজ্ঞাসা, টাকাটা পেতে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে???
নাকি আদৌও টাকাটা পাবেনা তাও বুঝতেছিনা।
১০
367021
২৫ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:১৬
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : একাধারে প্রবাসে ছিলাম বলে হয়ত আমাকে পায়নি।
২৫ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৩৪
304571
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া নফল নামায পড়ে আল্লাহ্‌র কাছে শুকরিয়া আদায় করুন। হা হা হা। ধন্যবাদ আপনাকে
১১
367590
৩০ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:১৪
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : একটা কথা মনে রাখতে হবে-যে হাদিসের ফজীলত ইনিয়ে বিনিয়ে বেশি করে লিখেছে, তা জাল হাদীস। আর যে ব্যবসায় লাভ বেশি তাতে মানুষ ঠকবেই। (আমার অনুমান এটা)
যুবক, ইউনিপে ডেসটিনি-হায় হায় কোম্পানী। মানুষের সর্বনাশের জন্য যাদের তৈরি করেছে সাম্রাজ্যবাদীরা..ধন্যবাদ
০১ মে ২০১৬ রাত ০৩:০৯
304986
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : প্রিয় ভাই, যুবক,ডেসিটিনি একরকম নয়। প্রকৃত পক্ষে যুবক ব্র্যাক বা আশার মত করে আমানত সংগ্রহ করত। তাদের সিরামিক কারখানা,চিংড়ি প্রজেক্ট, ল্যান্ডফোন সহ অনেক কিছু ছিল। যার সম্পদ মুল্য আমানত এর চেয়ে বেশি। কিন্তু স্রেফ প্রতিহিংসা বসে তত্বাবধায়ক সরকার এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। তখন যদি সম্পদগুলি বিক্রি করত তবে অনেক অর্থ পাওয়া যেত। সেগুলি এখন যুবলিগ নেতাদের দখলে!!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File