মনের মত সাজের অবুঝ শিশুটি যেন বাংলার নির্যাতিত পুরুষ সমাজের প্রতিচ্ছবি।
লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০১:০৯:৫৭ দুপুর
এই অবুঝ শিশুটি যেন বাংলার নির্যাতিত পুরুষ সমাজের প্রতিচ্ছবি। দিন দিন নারীর ক্ষমতা এত বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে সেখানো পুরুষদের অবলা বলাও মনে হয় অমূলক হবেনা। একজন মাননীয় সংসদ সদস্যতো জাতীয় সংসদে তার চরম হতাশার কথা বলেই পেলেছেন!!....ভিডিওতে দেখতে পারেন।
আবার কিছুদিন পর একটা নতুন আইন আসতেছে যেটাকে মূলত পারিবারিক নির্যাতন বন্ধের আইন বললেও এটাযে পুরুষদের গলায় ফাঁস লাগানোর আইন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এই আইন মোতাবেক আপনি আপনার স্ত্রীকে রাত-বিরাত যেকোন সময় ঘরের বাহিরে সময় কাটানো সুযোগ দিতে বাধ্য!
আপনার স্ত্রী যখন টাকা চাইবে তখনই দিতে আপনি বাধ্য, আপনার পকেটে থাক না থাক সেটা আপনার স্ত্রীর দেখার বিষয় না!
আপনার স্ত্রী তার ছেলে বন্ধুদের সাথে জমিয়ে প্রেমের আলাপ করতে পারবে, আপনি কোন আপত্তি করতে পারবেন না!
আপনার স্ত্রী যদি অন্য কারো সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তবুও আপনি কিছুই বলতে পারবেন না, কারণ তখন সে মানসিক চাপ সৃষ্টির অজুহাতে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার রাখবে!!!
এবার একটু ঠান্ডা মাথায় নিজ নিজ পরিবারের কথা চিন্তা করুন, উপরে বর্ণিত কথাগুলো যদি আপিনার পরিবারে এপ্লাই হয় তাহলে আপনার পারিবারিক জিবন কেমন হবে?? আপনি পারবেনতো শান্তিতে সংসার করতে!! কি করবেন তখন ছেলে-মেয়ে ও সামাজিকতার কথায় মাথায় রেখে স্ত্রীকে তালাক ও দিতে পারবেন না, আবার এগুলো সহ্য ও করতে পারবেন না।
যদি বাংলার নারী সমাজ কোরানকে বুঝতো, ইসলামকে বুঝতো তাহলে তাদের সন্মান আরোও যে কত বাড়তো তা যে কোন সচেতন মুসলিমই বুঝতে পারেন। কিন্তু নারীর ক্ষমতার নামে যা করা হচ্ছে তা কোনদিন কোন সমাজে শান্তি বয়ে আনতে পারেনি, আর পারবেও না।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৩ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিয়ে , পরিবার এসব আর থাকবে না ।
নারী , পুরুস সবাইকে কোরআন বুঝতে হবে সুন্দর পরিবার সুন্দর সমাজ গড়ার জন্য ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ধন্যবাদ আপনাকে
দুঃখে কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে, সত্যিই তো! আমাদের পরিবারে যদি এগুলো প্রয়োগ করা হয়, তবে আমরা কই যাইয়ুম।
পুরুষ মানুষ কাদতে নেই। সবাই নিজ পরিবারের দায়িত্ব নিলে ইনশা আল্লাহ বাতিল আমাদের পরিবার পর্যন্ত পৌছতে পারবে না। দরকার পারিবারিক ভাবে প্রকৃত শরীয়তের অনুশীলন। জাযাকাল্লাহ খাইর
বিষয়টা সত্যিই উদ্বেগের, কারন ইনসাআল্লাহ আমাদের পরিবার হেফাজতে থাকলে আশে-পাশের পরিবার গুলোর কিছু না কিছু প্রভাব তো পড়তে পারেই তাই না?? ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে।
সব ক্ষেত্রে নারীকে যেমন অবলা বলা যায় না , তেমনি সবসময় স্বামীদের কে ও বেচারা বলাটা ও যুক্তিসঙ্গত নয়…
ধন্যবাদ আপনাকে।
এতে আখেরে পুরুষ মানুষেরই লাভ হবে । এর ছেলেরা বিয়ের ব্যাপারে আগে যতটা নেগেটিভ মাইন্ডের ছিল এই আইন গুলো বিয়ে না করার ব্যাপারে তাকে সলিড ডিসিশন নিতে সাহায্য করবে । আল্লাহ যদি কৈফিয়ত চান তাহলে তার কারণও বলতে পারবে ।
দুনিয়ার নরকে না প্রবেশ করার একটা অপশন তো ছেলেদের হাতে চলে এল - এটা তো ভাল খবরই ।
আসলে সরকার চাচ্ছে আমেরিকা-ইউরোপের মত বাংলাদেশেও বিবাহ টা অপসেনাল হয়ে যাক, তাহলে ৭০% জারজ জন্ম হবে। তখন সেকুলারিজম টিকিয়ে রাখা যাবে, কেউ ইসলাম নিয়ে মাথা ঘামাবেনা...
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন