আপনার সন্তানের সেক্স এডুকেশন ঠিকমতো হচ্ছে তো?
লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৮:১৪:০২ রাত
বইটির নাম ‘নিজেকে জানো’ অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক এ বই বিতরণ করেছে।
বইটিতে ‘শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন’ অধ্যায়ে লেখা হয়েছে, যখন একটি মেয়ে ১০-১২ বছর বয়সে পৌঁছে তখন তার
শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয়। যেমন, উচ্চতা বাড়ে, মাসিক শুরু হয়, স্তন বড় হয়, বগলে ও … চুল বা লোম গজায়। এ বয়সে ছেলেদের শরীরের শুক্রাণুযুক্ত রস মাঝে মাঝে মূত্রনালী দিয়ে বের হয়ে আসে, যাকে …বলা হয়।
বইটির ‘বন্ধুত্ব ও ভালবাসা’ শীর্ষক অধ্যায়ে একটি শিরোনাম হলো ‘প্রেম করলে কেন ছেলেমেয়েরা ধরাধরি করে?’ এখানে লেখা হয়েছে প্রেম এমন একটি সম্পর্ক যেখানে প্রেমিক প্রেমিকা দু’জনের প্রতি প্রচণ্ড আকর্ষণ অনুভব করে, এ অনুভব হতেই তারা পরস্পরের খুব কাছাকাছি পেতে চায় এবং এ কারণেই অনেক সময় তারা পরস্পরকে স্পর্শ করে।
এ অধ্যায়ে আরেকটি শিরোনাম হলো, ‘পরিস্থিতির চাপে যদি দৈহিক মিলনের সম্ভাবনা দেখা দেয় তবে আমি সে অবস্থায় কী করবো?’পরিচয়ের একপর্যায়ে দৈহিন সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। যদি দৈহিক সম্পর্ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে গর্ভধারণ থেকে
নিরাপদ থাকার জন্য কোনো অস্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করা জরুরি। এরপরও যদি কোনো সমস্যা হয় তবে উপদেশের জন্য তুমি কাছের কোনো ক্লিনিকে যেতে পারো। (বইটির শেষে বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত বেশ কয়েকটি ক্লিনিক/সেবা সংস্থার তালিকা দেয়া রয়েছে এ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণের জন্য)।
এ অধ্যায়ে একটি শিরোনাম হলো ‘সতী পর্দা কি জানতে চাই?’ এ বিষয়ে যে বিবরণ বইটিতে দেয়া হয়েছে তা প্রকাশযোগ্য নয়।
এ অধ্যায়ে আরেকটি শিরোনাম হলো ‘প্রথম মিলনে কি সব মহিলার রক্ত পড়বে? এ বিষয়ে যে বিবরণ বইটিতে দেয়া হয়েছে তা প্রকাশযোগ্য নয়।
দৈহিক সম্পর্ক অধ্যায়ে আরেকটি শিরোনাম হলো ‘মায়ের পেট থেকে কিভাবে বাচ্চা বের হয়ে আসে ?’
এখানে সন্তান প্রসবের যে বিবরণ দেয়া হয়েছে তাও প্রকাশযোগ্য নয়। ‘বাচ্চা কিভাবে হয়?’ শিরোনামে লেখা হয়েছে কিভাবে মায়ের গর্ভে সন্তান আসে তার বর্ণনা।
দৈহিক মিলন অধ্যায়ের আরেকটি শিরোনাম হলো ‘অনেকের সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে তা ক্ষতিকর। এরকম হলে কিভাবে নিরাপদ থাকা যায়?’ এখানেও লেখা হয়েছে অনেকের সাথে দৈহিক সম্পর্ক থাকলে কনডম ব্যবহার খুবই জরুরি।
বইটিতে যৌনমিলন অধ্যায় আলোচনার আগে কিভাবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ছেলেমেয়েরা পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে, সে আকর্ষণ এবং ভালোলাগা প্রকাশের উপায় কী সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া যৌন অনুভূতি প্রকাশের বিভিন্ন উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। বইটির পেছনে লেখা রয়েছে মহিলা ও শিশুবিষযক মন্ত্রণালয়।
আজ থেকে ৭/৮ বছর আগের কথা একটু ভাবুন, তখন পাঠ্যপুস্তকে এই বইটা ছিল না। আমরা এই বইটি পড়িনি, তাই বলে কি পরিণত বয়সে আমরা ঐ বিষয়ের কিছুই জানি না? কোমলমতি শিশুদের এগুলো শিখানো কি এতটাই জরুরী !! আপনি আপনার সন্তানকে সাইকেল চালানো শিখিয়ে যদি সাইকেল কিনে না দেন তাহলে আপনার সন্তান কি করবে? হয়তো ক্লাসমেট যাদের সাইকেল আছে অথবা পাড়ার মধ্যে যাদের সাইকেল আছে তা কিছু সময়ের জন্য হলেও চালানোর চেষ্টা করবে তাই না? আপনি আপনার সন্তনকে ইভটিজিং থেকে বিরত থাকার জন্য বলবেন কিন্তু আপনার সন্তানকে বিদ্যালয়ে কি শিখাচ্ছে তাও আপনার জানা দরকার। অভিভাবকদের সময় থাকতে প্রতিবাদী হওয়া উচিত, কারণ আপনার নিরবতাই আপনার সন্মতি। সরকার ইভটিজিং এর জন্য কঠোর আইন করতেছে অথচ কোমলমতি শিশুদের সযত্নে কিভাবে ইভটিজিং করতে হয় তা শিখাচ্ছে !
বিরোধীতা নয়, নিজের ছেলে-মেয়ে অথবা ছোট ভাই-বোনের কথা মাথায় রেখে একটু ভাবুন, আমাদের কে কোনদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে???
বিষয়: বিবিধ
৪০৯৮ বার পঠিত, ৪২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বর্তমান আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে কোন ভালো মানুষ তৈরী হচ্ছে না, বেশির ভাগই বখাটে ও ইভটিজার তৈরী হচ্ছে। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে
পাশ্চাত্যের অনুকরণ ভালভাবেই হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে।
এই জেনারশনের কাছে কি ভালো কিছু আশা করা যাবে?
যখন টিউশনি তে ছাত্র ছাত্রীরা বইটা আমাকে পড়াতে বলে তখন আমার বিবেকে বাধা দেয়। আমি কিভাবে এগুলো পড়াবো? খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি অভিভাবকেরাও নিরব!অভিভাকদের কি কোন ভুমিকা নেই? ধন্যবাদ আপনাকে।
get available girl for their entertainment.
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে
টিভি তে একটা এড দেখায় ,
" নাথিং টু হাইড "
মনে হয় পৃথিবী এখন সেই পথে ই চলছে …
আপনি , আমি যদি পিছিয়ে থাকি ,
তবে ছাগু উপাধি পেতে হবে যে…
উদের উদ্দেশ্য হল ,
মিষ্টির বাটি খুলা থাকবে কিন্তু কেউ খেতে তো পারবে ই না এমন কি চেয়ে দেখেলে ও জরিমানায় পড়তে হবে …
আমাদের সন্তান অই ক্লাস পর্যন্ত পড়তে পরতে আরো কত কিছু জানি দেখেতে হয় , আল্লাহ ই ভালো জানেন
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে।
আর সেক্সের বিষয়টি যেহেতু জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত , তাই বাঁচতে হলে এ ব্যাপারে জানতে হবে
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মূল্যবান লিখায় শিক্ষা ব্যবস্থার ভয়ংকর চিত্র ফুটে উঠেছে। পড়ে সত্যিই বিস্মিত হয়েছি!
এর খেসারত মারাত্মকভাবে এই জাতিকে একদিন পরিশোধ করতে হবে।
অভিভাবকগণ পরিমলদের বিরুদ্ধে পথে নামলেও কুরুচিপূর্ণ এসব সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টু শব্দটি পর্যন্ত করে না! এটাই পরিতাপের বিষয়!
ইচ্ছাকৃতভাবেই একটি গোষ্ঠী আমাদেরকে বিপথগামী করছে।
এখনই সময় তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলার।
মূল্যবান সুন্দর লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
সর্বনাশা পরিণতিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত ওনারা বোবার অভিনয় চালিয়ে যাবেন।
সুশীল সমাজের বড় বড় কর্তাব্যত্তিরাও কী এখন ঘুমিয়ে আছেন!!
এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য!
কারন অভিবাবকদের মধ্যে তিন গ্রপ আছে ১ম গ্রপ হল অশিক্ষিত বাবা, মা এরা কিছু এ সব কিছু বুঝে না , এসব নিয়ে মাথাও ঘামায় না ।মনে হয় এই গ্রপটাই সব চেয়ে বড় ।
২য় গ্রপ : এরা বুঝে এটা ভুল কিন্তু এরা সংখ্যায় কম তাই প্রতিবাদ করে না ।
৩য় গ্রপ : এরা মনে করে এটা ঠিক ই আছে এটার তাদের সন্তানদের প্রয়োজন । তাই প্রতিবাদের প্রশ্নই আসে না ।
২য় গ্রপের দায়িত্ব হল প্রথম গ্রপকে বুঝানো এটা তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছু নয় ও এক সঙ্গে প্রতিবাদ করা । কিন্তু করবে সবাই যার যার ব্যাক্তিগত কাজ নিয়ে ব্যাস্ত ।
ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে
অফ টপিকঃআমি যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করে বড় হয়েছি সেখানেই আমার ছোটবোনকে পড়াশুনার জন্য ভর্তি করিয়েছি। এখন কয়েকদিন আগে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের অপরাধে এখন কারাগারে আছে। আমি আমার বোনকে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর যেতে নিষেধ করেছি।
এই দেশ এই দেশেরে জনগণ এই শান্তির জন্য হাহাকার করা জাতি’র ভবিষ্যত ভেবে অনেক মর্মাহত হই।
ছেলে মেয়েরা পাঠ্যবইতে কি পড়তেছে তা কি কোন অভিভাবক খবর রাখে? আমার মনে হয় মোটেও না... আগামী প্রজন্ম হবে একটা অশ্লিল-বেহায়াপনাময় প্রজন্ম, যার বীজ এই ইসলাম ও মানবতা বিরোধী সরকার বপন করেছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন