আমিও মনে করি পীর ধরা ফরজ, জান্নাতে যেতে হলে আপনাকে পীর ধরতে হবে।
লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:২৫:৫১ বিকাল
জীবদ্দশায় জান্নাতের সার্টিফিকেট পাওয়ার চেয়ে সৌভাগ্য এই পৃথিবীতে আর কিছুই নাই। যারা জান্নাতের সার্টিফিকেট পেয়েছেন এবং যারা আল্লাহর রাসূলের সাহাবী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন তাঁদের প্রতি মুসলিমদের তীব্র আকর্ষণ থাকা খুবই স্বাভাবিক, কারণ তাঁদের সব গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন। যেহেতু তাঁরা মহান আল্লাহর প্রিয়ভাজন হতে পেরেছেন তাই তাঁদের সন্তুষ্টি অর্জন করে তাঁদের সুপারিশের মাধ্যমে আমরাও জান্নাত হাসিল করতে পারবো এটাই তরিকার কথা। তাই তাঁদের কবরের পরিচর্যা করা, কবরে মোমবাতি-আগরবাতি জ্বালানো, কবরের উপর মোশারী টাঙ্গানো, জন্মদিবস-মৃত্যুদিবস পালন এবং প্রতিবছর তাঁদের সন্মানে ওরস করা কর্তব্য। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে জান্নাতুল বাকি ও মাওয়াতে হাজার হাজার সাহাবীর কবর রয়েছে এবং সেখানে শুধুমাত্র একটা ইটের নিশানি ছাড়া আর কিছুই নাই! মোমবাতি, আগরবাতি,কবরে গিলাপ লাগানো, ওরস এসব তো বহুদুরের কথা, এমনকি কবরের পরিচয় ও নাই!!' দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পর কারোও কিছু করার ক্ষমতা থাকেনা, এমনকি নবী-রাসূলদেরও।
ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিমদের একটা অংশ মাজারকে মসজিদের চেয়েও বেশি গুরুত্বদেয়। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, মাজারের পীর বাবাকে সন্তুষ্টি করতে পারলেই জান্নাত নিশ্চিত, আল্লাহর পরিবর্তে তারা পীরের কাছেই সব কিছু চায়, এমনকি মাজার তথা পীর বাবার জন্য তারা জীবন দিতেও প্রস্তুত!! তবে হ্যাঁ, আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছেও আপনি চাইতে পারেন, যার কাছে চাইবেন তাকে তিনটা শর্ত পূরন করতেই হবে।
১) সামনাসামনি অথবা টেলিফোনে চাইতে পারেন।
২) যার কাছে চাইবেন তাকে অবশ্যই জিবিত হতে হবে।
৩) যা কিছু চাইবেন তা দেওয়ার ক্ষমতা তার কাছে থাকতে হবে।
এই শর্তগুলোর বাহিরে গিয়ে কারো কাছে কিছু চাওয়া ১০০%শিরক। আল্লাহ সবগুনাহ ক্ষমা করতে পারেন কিন্তু শিরকের গুনাহ ক্ষমা করবেন না।
নিচের লিংকের ভিডিওটিতে দেখুন এই ভন্ড পীর নিজেকে আল্লাহর সমতুল্য মনে করে...
https://www.facebook.com/dilmohammed.mamun/videos/vb.100000902801201/780173602022726/?type=2&theater
অনেকে বিশ্বাস করে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে হলে যেইরকম বিভিন্ন মাধ্যম ধরতে হয় তেমনি আল্লাহ কে পেতে হলে মাধ্যম হিসেবে পীর ধরতে হয়! তাই পীর ধরা ফরজ। তবে আমিও মনে করি পীর ধরা ফরজ, জান্নাতে যেতে হলে আপনাকে পীর ধরতে হবে। পীর ধরা তেমনি ফরজ, চোর ধরা ঠিক যেমনি ফরজ হয়। একটা চোরকে ধরার পর যা কিছু করা হয় পীরকেও ধরার পর তা করা অতি উত্তম। চোর যেমন গৃহ থেকে মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে গৃহস্থকে নিঃস্ব করে দেয়, ঠিক তেমনি পীর তার নিচক দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের জন্য মুরিদ ও ভক্তদের মহামূল্যবান ঈমান কেড়ে নিয়ে তার যাবতীয় আমল নষ্ট করে নিঃস্ব করে দেয়। তাই শিরকের হাত থেকে বাঁচতে হলে, পরিবার ও সমাজের লোকদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে হলে পীর ধরে তাকে চোরের মতই শায়েস্তা করা ঈমানের দাবী। এই লিংকের ভিডিওতে নিজে দেখুন, কবর তথা মাজার পুজারীদের আকিদা কেমন...
https://www.facebook.com/dilmohammed.mamun/videos/vb.100000902801201/1039778376062246/?type=2&theater
পীর সম্পর্কে একজন মুফতীর কাছ থেকে আরোও বিস্তারিত জানতে এই লিংকের ছোট্ট ভিডিও টি দেখুন।
https://www.facebook.com/dilmohammed.mamun/videos/vb.100000902801201/863277537045665/?type=2&theater
সন্মানীত ভাই ও বোনেরা, তামাম দুনিয়ার যত পীর আছে সবাইকে একত্রিত করলেও আল্লাহর রাসূলের সাহাবীরা জিহাদের ময়দানে যে ঘোড়া দৌড়াইয়াছেন সেই ঘোড়ার পায়ের ধুলার যোগ্যও হবেনা। আল্লাহর কসম এই পীরেরা আপনার জন্য কিছুই করতে পারবেনা, এদের কোন ক্ষমতা নাই।
জান্নাত পেতে চান? তাহলে প্রানভরে মা-বাবার খেদমত করুন, মাজারে নজরানা না দিয়ে মা-বাবাকে খাওয়ান, মাজারে মশারী না টাঙ্গিয়ে মা-বাবার আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা করুন, মাজারে গিলাপ না লাগিয়ে মা-বাবার জন্য উত্তম পোষাকের ব্যবস্থা করুন। আপনার মা-বাবা যখন আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহর দরবারে দুইহাত তুলে আপনার জন্য দোয়া করবেন, তখনিই আপনার দুনিয়ায় শান্তি ও পরকালের মুক্তি নিশ্চিত হবে।
বিষয়: বিবিধ
১০০৮৩ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যে কোন জিনিস সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে সেটা সম্পর্কে কনসেপ্টটা স্পষ্ট থাকা জরুরী। পীর জিনিসটা কি? আসলে শাইখ বলতে যা বুঝায় পীর শব্দটাও সেই অর্থেই ব্যবহার হতো। যেমন সলাত হয়েছে নামায, সাওম হয়েছে রোজা, তেমনি শাইখ হয়েছে পীর।
এই পীররা কারা ছিলেন? নূন্যতম ইতিহাস জানা লোকও জানে, এনারা ছিলেন মুসলিম সমাজের উচুঁ স্তরের আলেম, আবেদ ও সালাফ ব্যক্তিগণ, যাদের কাছ থেকে মানুষ দ্বীন শিক্ষা করতো। তাঁরা যেমন মানুষকে কুরআন, হাদীস, ফিক্বাহ শিক্ষা দিতেন, তেমনি আত্মনিয়ন্ত্রন, মুজাহাদা, মুশাহাদা ইত্যাদিও শিক্ষা দিতেন।
পরবর্তীতে কিছু লোক এটাকে ব্যবসা বানিয়ে বসেছে। দ্বীনের কোন দিকটাকে সুযোগ সন্ধানি মানুষ ব্যবসা বানায়নি? কুরআন পড়ানো? হাদীস পড়ানো? দরস-তাদরিস প্রদান? চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো যায় কিভাবে মানুষ এগুলোকে ব্যবসা বানিয়ে বসেছে, তাই বলে এগুলোর প্রয়োজন নেই বলে বাদ দিতে পারবেন?
প্রয়োজন হলো আবর্জনাকে পৃথক করা। পীর বা পীরের মর্যাদা শিক্ষকের চেয়ে বেশি কিছু না, পীর আপনাকে হাত পা ধরে জান্নাতে নিতে পারবে না, চুল ধরে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারবে না। পীর হেদায়াতের পথ দেখাবে আল্লাহর ওয়াস্তে, নজরানা আর গরু ছাগলের ওয়াস্তে না। এগুলো বুঝতে পারলেই যেমন জঞ্জাল দুর হবে, তেমনি সঠিক স্পিরিটটাও হারিয়ে যাবে না।
বাংলাদেশের হযরত শাহাজালাল (র) এর মাধ্যমেই আমরা ইসলাম নামক মহান নিয়ামত টা পেয়েছি। চট্টগ্রামের অনেক পীরের নাম শুনেছি যারা ইসলামের খেদমতে অনেক কাজ করেছেন। তাই আমি ওলী আওলিয়াদের অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি।
বর্তমানে ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ আওলিয়াদের কেউ বেচে নাই, কিন্তু তাদের মাজার দিয়ে একশ্রেণীর ভন্ড প্রতারক মানুষ দের ঈমান হারা করতেছে,ইসলামের মধ্যে নানান কুসংস্কার তৈরি করতেছে, আপনি লিংকে দেওয়া ভিডিও গুলো দেখলে নিজেই বুঝতে পারবেন। বর্তমানে যারা জীবিত পীর আছে, তাদের ৯৯.৯৯% ভন্ড প্রতারক।
দুঃখিত ভাই, আপনার পার্সেন্টেসের সাথে আমি একমত হতে পারলাম না কোনভাবেই। সমস্যাটা হলো, কিছু মানুষের পীর নামেই এলার্জি আছে, তাদের যতই বোঝানো হোক বুঝবে না। উদাহরণ স্বরুপ তথাকথিত কিছু আহলে হাদিস ভাইদের কথা বলা যেতে পারে।
বেশ কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের অন্যতম আলেম মুফতি দিলওয়ার হুসাইন সাহেবের সাথে আলাপ করছিলাম। এক সময় এই একই প্রশ্ন আমি তাকে করলাম। উত্তরে তিনি আমাকে বললেন, "একজন প্রকৃত হক্কানী পীরের মধ্যে কিছু নিদর্শন থাকবে, যেমন-
১। তিনি অবশ্যই শরীআ শাসিত জীবন যাপন করবেন,
২। ইলমে দ্বীন সম্পর্কে তার জ্ঞান থাকবে
৩। তিনি নিজেও কোন প্রকৃত আল্লাহওয়ালার সংস্পর্ষে থেকে দ্বীন শিক্ষা করেছেন
৪। তাঁর সঙ্গ মানুষকে আল্লাহর কথা ভাবতে বাধ্য করবে। ইত্যাদি
এবার একটু চোখ কান খুলে দেখেন, আশা করি পার্সেন্টেন্সটা পরিবর্তন হবে।
আপনি তো নিজেকেই বিচারক ঠাওরিয়ে বসেছেন, আমি নাম ঠিকানা দিবো আর আপনি সেখানে গিয়ে কুরআন সুন্নাহর আলোকে বিচার করবেন। ভাই, কুরআন সুন্নাহর কতটুকু জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন এ পর্যন্ত? অন্য সবকিছু বাদ দেন, আপনার দৈনন্দিন জীবনে যে সকল বিষয় আসে, আশা করি সেগুলোর উত্তর দেয়ার মতো জ্ঞান অবশ্যই আছে, নইলে এমন দাবী করতেন না, তাই না? তাহলে দু'একটা প্রশ্ন করলেও হয়তো কিছু মনে করবেন না; অনুমতি দিলে করবো।
মনে রাখবেন, কাউকে বিচার করতে হলে, অন্তত তাঁর যুক্তিগুলো কাউন্টার করার মতো দলীল উপস্থিত জানতে হয়।
যাই হোক, আপনাকে নাম ঠিকানা দিলাম, এমন দুইজনের দিলাম যেখানে আসা, পাওয়া ও জানা সহজ হবে। আর আমার ভাগ্য ভালো হলে আমিও উপস্থিত থাকতে পারবো।
১. মাওলানা মুফতি দিলওয়ার হুসাইন দা.বা. (দারুল উলুম করাচী ফারেগ; মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস, জামিয়া ইসলামিয়া আকবর কমপ্লেক্স, মিরপুর-১, ঢাকা, খতিব মসজিদে আকবার, পরিচালক, মারকাজুল বাহাসিল ইসলামী, কালশী, মিরপুর, ঢাকা।
২. মাওলানা মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানী দা.বা. (দারুল হাদিস ও দারুল ফিক্বাহ, মদিনা ইউনিভার্সিটি ফারেগ, সিনিয়ার মুহাদ্দিস, মারকাযুল ফিক্বরিল ইসলামী, বসুন্ধরা, ঢাকা; প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, কুরআন শিক্ষা ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ)
এক নং পীর সাহেব সম্পর্কে কিছু জানি না। তেমনিভাবে উপরের বোল্ডকৃত কোটেশনবৃদ্ধ উদৃত পীর সাহেব সম্পর্কেও আমার কোন ধারণা নেই। কিন্তু শেষোক্ত পীর সাহেব এমন একজন আলেমের গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন যিতি আজ থেকে প্রায় ২৮ বছর আগে চট্টগ্রামের বিখ্যাত ক্বাউমী মাদ্রাসা জামেয়া ইসলাম পটিয়া থেকে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাতে জড়িত থাকার কারণে তাকে বের করে দেয়া হয়েছিল। এমনকি তার বিরুদ্ধে লাওয়াততের অভিযোগ পর্যন্ত তোলা হয়েছিল তখন। একজন সত্যিকারে হকপন্থী পীর সাহেবের পক্ষে এজাতীয় বিতর্কিত ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানে জড়িত থেকে কিভাবে হক তরিকা এবং হক সিলসিলায় নিজের অবস্থানকে ধরে রাখতে পারবেন?
ভাই, যেটা জানেন না, দয়া করে সেটা নিয়ে কথা বলবেন না।
আপনি যার কথা বলছেন, ওনার সম্পর্কে এরকম কথা আগেও বহু লোকের কাছ থেকে শুনেছি। লক্ষ্যনিয় ব্যাপার হলো, উক্ত লোকেদের একজনকেও পাইনি যিনি কিনা উপরোক্ত ভদ্রলোকের অথবা উল্লেখিত পটিয়া মাদরাসার ছাত্র/ শিক্ষক/কর্মকর্তা/সেখানের সাথে এতটুকু সম্পর্ক রাখে যে ভিতরগত কথা জানতে পারে। আপনি নিজেই বলুন, আপনি কোথা থেকে শুনেছেন? শোনার পর সেটার সত্যতা যাচাই করেছেন? এই আয়াতটি দেখুন-
إِذْ تَلَقَّوْنَهُ بِأَلْسِنَتِكُمْ وَتَقُولُونَ بِأَفْوَاهِكُم مَّا لَيْسَ لَكُم بِهِ عِلْمٌ وَتَحْسَبُونَهُ هَيِّنًا وَهُوَ عِندَ اللَّهِ عَظِيمٌ (
"যখন তোমরা একে মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে এবং মুখে এমন বিষয় উচ্চারণ করছিলে, যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিল না। তোমরা একে তুচ্ছ মনে করছিলে, অথচ এটা আল্লাহর কাছে গুরুতর ব্যাপার ছিল।"
মজার ব্যাপার হলো, যে পটিয়া মাদরাসা থেকে নাকি তাকে লাওয়াতাতের মতো গুরুতর অপরাধের জন্য বের করে দেয়া হয়েছিলো, সেখানেই এখন প্রতি বছর বার্ষিক মাহফিলে তাকে বিশেষ অতিথি হিসেবে দাওয়াত করে নেওয়া হয়। আজব!
আপনার কথা থেকে তো মনে হচ্ছে আমি মানুষকে বলে বেড়াচ্ছি যে "আসো, ওমুক পীরের মাজারে গেলাপ লাগাও, তমুক পীরের নামে লঙ্গরখানা বসাও, তমুক পীরের নামে ধুপ-লোবান জ্বালাও"
আমার উপরের কথাগুলো যদি একবিন্দু মাত্র বুঝতেন তাহলে এইসব আজগুবি কথা অন্তত আমার সামনে বলতে আপনি লজ্জিত হতেন।
যাই হোক, আপনাকে আমি অবুঝ হিসেবে ধারণা করতে চাই না; সুতরাং বুঝেও যে বুঝতে চাচ্ছেন না এই ধারণা করা ব্যতিত অন্য কোন উপায় আর থাকলো না।
আরেকটু বিস্তারিত লিখতে বেশি উপকৃত হতাম।
জাযাকাল্লাহ খাইর
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঈসা(আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা উঠিয়ে নেবার পরই তার অনুসারীরা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে ।
যে সব আল্লাহর অলি অনেক আগের , এখন আমাদের মাঝে নেই - তারা কি ওয়াকিবহাল যে লোকজন তাদের কবরকে মাজার বানিয়ে শিরকের মত কাজ করছে ?
বর্তমানে যারা জীবিত অবস্থায় লোকজনের এসব শিরকীয় কাজ উপভোগ করছে তারা কঠিন আযাবের সন্মুখিন হবে তাদের দলবলসহ।
আপনাকে ধন্যবাদ।
ভন্ড পীর গণ হলেন - মাইজভান্ডার, আটরশি, সুরেশ্বর, চন্দ্রপাড়া, রাজারবাগ, কুতুববাগ, দেওয়ানবাগ, রেজভী (আহমদ রেযা খান সিলাসিলার কয়েক হাজার পীর ও দরবার)
বিস্তারিত জানতে হলে নিচের কিতাবটি পড়ুন
https://islamiboi.wordpress.com/2013/02/21/bn_tasauf/
আপনি মানুষকে যেভাবে কুরআন হাদীস বুঝার আহবান জানান, তা দেখে যে কারো মনে হয় যে আপনি বোধ হয়ে সেগুলোর আগাগোড়া বৃত্তান্ত খুব ভালো করে বুঝে গেছেন! এমন পরোক্ষ দাবীও কি ঠিক?
সুন্দর কথা।
“কায়রোতে আমাকে তাছাউফের খিরকা পরিধান করিয়েছেন আমাদের শায়েখ, মুহাদ্দিস ও যাহেদ যিয়াউদ্দীন ঈসা বিন ইহইয়া আনসারী (রহঃ), তিনি বলেন-আমাকে মক্কায় তাছাঊফের খেরকা পরিধান করিয়েছেন প্রসিদ্ধ সূফী শায়েখ শিহাবুদ্দীন- সোহরাওয়ারদী (রহঃ), তিনি তাছাউফের খেরকা পরিধান করেছেন তার চাচা আবু নাজিব (রহঃ)
থেকে”
[সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, খ--২২, পৃষ্ঠা-৩৭৭]
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রহ, বলেন,
“তাছাউফের ধ্যাণ-ধারণা সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় বসরা থেকে এবং আব্দুল ওয়াহেদ বিন যায়েদ (রহঃ) এর কিছু সাগরেদ সর্বপ্রথম তাছাউফের ইমারত তৈরি করেন। আব্দুল ওয়াহেদ (রহঃ) হাসান বসরীর সাগরেদ ছিলেন। আর বসরায় তখন যুহদ, ইবাদত ও আল্লাহর ভয়ের এতটা আধিক্য ছিল যে, তা অন্য কোন মুসলিম জনপদে দৃষ্ট হত না। এজন্য বলা হয়ে থাকে, ফিকহুন কুফিউন ও ইবাদাতুন বিসরিয়াতুন (কুফার ফিকহ ও বসরার ইবাদত)। ”
(মাজমুউল ফাতাওয়া, খ--১১, পৃষ্ঠা-৬)
তিনি আরো বলেন,
“সূফী শব্দটি প্রথম তিন জামানায় তেমন প্রসিদ্ধ ছিল না। এটি এর পরে প্রসিদ্ধি লাভ করে। এ ব্যাপারে অনেক ইমাম ও শায়েখদের বক্তব্য রয়েছে। যেমন, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ), আবু সুলাইমান দারানী (রহঃ)। সূফিয়ান সাউরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি এ ব্যাপারে সর্বপ্রথম আলোচনা করেছেন, কেউ কেউ হাসান বসরী (রহঃ) এর কথা উল্লেখ করেছেন।”
[মাজমুউল ফাতাওয়া- খ--১১, পৃষ্ঠা-৫]
তিনি আরো বলেন,
“একদল তাছাউফ ও সূফীদের নিন্দা করে এবং বলে যে, তারা বিদআতী, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বহির্ভূত। আবার কতিপয় ইমামদের থেকে এদের সম্পর্কে প্রশংসাপূর্ণ উক্তি বর্ণিত আছে, যা প্রসিদ্ধ এবং তাদেরকে ফকীহ ও মুতাকাল্লিমীনদের কিছু দল অনুসরণ করেছে। আরেক দল তাদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ী করেছে এবং তারা দাবী করেছে যে, সূফীগণ নবীদের পরে সৃষ্টির মাঝে সর্বাধিক পরিপূর্ণ ও শ্রেষ্ঠ। বাস্তবতা, উভয়টি তথা সূফীদের নিন্দা ও তাদের অতিরিক্ত মর্যাদা দান নিন্দনীয়। সঠিক কথা হল, সূফীগণ আল্লাহর আনুগত্যের ক্ষেত্রে ইজতেহাদ করে
থাকেন যেমন অন্যরা আল্লাহর আনুগত্যের ক্ষেত্রে ইজতেহাদ করেন। ইজতেহাদের তারতম্যের কারণে তাদের মাঝে কেউ কেউ অগ্রগামী নৈকট্যপ্রাপ্ত এবং কেউ কেউ মধ্যম স্তরের যে হল, ডানপন্থী (আসহাবুল ইয়ামীন)। এ উভয় প্রকারের মাঝে এমন লোক রযেছে যারা কখনও ইজতেহাদ করে এবং তাদের ইজতেহাদে ভুল হয়। আবার কেউ কেউ রয়েছে, যারা গোনাহ করে এবং তওবা করে অথবা তওবা করে না। আবার এমন কিছু লোক সূফীদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার দাবী করেছে যারা নিজেদের উপর অত্যাচারকারী ও তার প্রভূর অবাধ্যতাকারী। কখনও কখনও বিদআতী ও যিদ্দিক শ্রেণীর কেউ কেউ তাদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার দাবী করেছে, কিন্তু গবেষক সূফীদের নিকটে এরা সূফীদের অন্তর্ভূক্ত নয়।”
[মাজমুউল ফাতাওয়া-খ--১১, পৃষ্ঠা-১৭]
তিনি আরো বলেন,
“সূফী শব্দকে তারা মূলতঃ সিদ্দিকীনদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। আর নবীদের পরে সৃষ্টির মাঝে শ্রেষ্ঠ হলেন, সিদ্দিকীন।”
[মাজমুউল ফাতাওয়া, খ--১১, পৃষ্ঠা-১৬]
আপনার এই মাজমুউল ফাতাওয়া পেশ করে সাধারন সহজ সরল মুসলিমদের বিপদগামী করতে পারবেন,ইসলাম ও মুসলীমদের কোন উপকার করতে পারবেন না। তামাম দুনিয়ার যত পীর আছে সবাইকে একত্রিত করলেও আল্লাহর রাসূলের সাহাবীরা জিহাদের ময়দানে যে ঘোড়া দৌড়াইয়াছেন সেই ঘোড়ার পায়ের ধুলার যোগ্যও হবেনা। আল্লাহর কসম এই পীরেরা আপনার জন্য কিছুই করতে পারবেনা, এদের কোন ক্ষমতা নাই। লিংকে দেওয়া ভিডিও গুলো দেখার অনুরোধ থাকলো। ধন্যবাদ আপানাকে।
তিনি যদি পীর হয়ে থাকেন, কুতুব হয়ে থাকেন, আলেম হয়ে থাকেবন তাহলে মুসলিম শরীফের হাদীসটি কি জানতেন না- যে হাদীসে কবরের উপর মাজার বানাতে রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন। হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুল (সাঃ) কবরে চুনকাম (অর্থাৎ দেয়াল দিয়ে মাজার নির্মাণ) করতে ও সেখানে বসতে নিষেধ করেছন। (মুসলিম-২২৮৯).
নাহ, রাসুল (সাঃ) শুধু মাজার নির্মাণ করতেই নিষেধ করেননি, বরং মাজারগুলো গুড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আবু হাইয়াজ আসাদী বলেন, আলী (রাঃ) আমাকে বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি কাজের জন্য পাঠাবো যে কাজের জন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে পাঠিয়েছিলেন। আর তা হলো, কোনো মূর্তি দেখলে তা নিশ্চিহ্ন করবে এবং কোনো কবর উঁচু দেখলে তা মাটির সাথে মিশিয়ে দিবে। (মুসলিম-৯৬৯)। তাহলে আমাদের উচিত যেসব এলাকায় বড় বড় মাজার আছে সেগুলো গুড়িয়ে দেয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন