মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট ও আবুধাবি পুলিশের হেফাজতে আমার ছয় ঘন্টার অভিজ্ঞতা।

লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ০৮ আগস্ট, ২০১৫, ০৪:৫৮:১৬ বিকাল



অফিসে কাজের চাপ একটু বেশি থাকাতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট পর দুপুরের খাবারের জন্য অফিস থেকে রুমের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। অফিস আর রুমের দুরুত্ব ২ কিলোমিটার। পার্কিং এরিয়াতে ১৫০মিটার পথ অতিক্রম করার পর মেইন রোড়ে উঠার আগ মুহুর্ত্বে দেখলাম একটা চাইনিজ মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ড কে নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার জন্য পা বাড়িয়েছে। আমি মোটরসাইকেল কে স্লো করে তাদেরকে রাস্তা পার হওয়ার সুযোগ দিলাম। কিন্তু তারা রাস্তা পার না হয়ে ২ কদম পিছনে গিয়েই দাঁড়িয়ে গেল, আমি ভাবলাম তারা আমাকে আগে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই আমি আবার ড্রাইভিং শুরু করতেই হঠাৎ মেয়েটা রাস্তা পার হওয়ার জন্য দৌড় দিল। মনে মনে ভাবলাম আবুধাবি শহরে হাজার হাজার অত্যাধুনিক গাড়ি পড়ে রইলো, মরার জন্য তুই ঐগুলোর একটা ও চোখে দেখলিনা, আমার মত নিরীহ লোকের মটরসাইকেলটাই তুই দেখলি!!

জোরে ধাক্কা খেয়ে মেয়েটা রাস্তার উপর পড়ে গেল, আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম। মোটরসাইকেল রাস্তার মাঝখানে পড়ে রইলো, মাথার হেলমেট টা খুলে পাশে রেখে মেয়েটার দিকে এগিয়ে গেলাম। তার পোশাক এতটাই ছোট ও পাতলা ছিল যা উলঙ্গিনীই বলা যায়। তার চাইনিজ বয়ফ্রেন্ড তাকে উঠানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াতে তার পক্ষে উঠানো সম্ভব হচ্ছিল না। মেয়েটার মাথা, পায়ের উপরের অংশ ও হাতের কনুই থেকে অবিরত রক্ত ঝরতে লাগলো। আমি দৃষ্টিকে সংযত রেখে তাকে উঠানোর কাজে তার বয়ফ্রেন্ড কে সহযোগীতা করলাম। উত্তপ্ত (দুপুর ২টায় ৪৮ডিগ্রী সেলসিয়াস) রাস্তা থেকে পাশের বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নিয়ে বসিয়ে টেক্সি খুজতেই সাথে সাথে পেয়ে গেলাম। ওদেরকে টেক্সিতে বসিয়ে যখন আমি মাঝরাস্তা থেকে আমার মোটরসাইকেল উঠাতে গেলাম, তখন ২/৩ জন লোক আমাকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিল। কারন এখানে এক্সিডেন্ট হলে সাথে সাথে ঐ অবস্থায় পুলিশ কে ফোন করতে হয়। যেহেতু আমি পুলিশকে ফোন না করেই তাদেরকে টেক্সিতে উঠিয়ে দিয়েছি, এই জন্য পুলিশ আমাকে সার্চ করতে পারে শাস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে, এই ধারনা থেকেই মুলত তারা আমাকে পালিয়ে যাবার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু আমার বিবেক আমাকে পালিয়ে যেতে বাঁধা দিল, ড্রাইভিং করলে এক্সিডেন্ট হবে এটাই স্বাভাবিক, আমি জানি আবুধাবি পুলিশ ১০০% ইনসাফ করতে পারে, আমিতো কোন অপরাধ করিনি, তাহলে পালিয়ে যাবো কেন?

মোটরসাইকেল নিয়ে টেক্সির সাথে আমিও শেখ খলিফা মেডিকেলে চলে গেলাম। এই হাসপাতালের ইমারজেন্সি ডিপার্টমেন্টে ২৪ ঘন্টা পুলিশ থাকে জেনেও আমি টেক্সি থেকে নামিয়ে স্ট্রেচারে করে মেয়েটা কে ঐখানেই নিয়ে গেলাম। মনে মনে পড়তে লাগলাম "তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা-হাওলা ওয়ালা ক্যুয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহ। ইয়্যা কানা--বুদু, ওয়াইয়্যা কানাছতা--য়ি--ন"। পুলিশ আমাদের দেখা মাত্রই এগিয়ে আসলো, নিজেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল, সাথে আমিও গেলাম। মেয়েটিকে সিটে ভর্তি করানোর পর আমাকে ও মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড কে পুলিশ ঘটনা জিজ্ঞেস করলো,এক্সিডেন্ট যেইভাবে হয়েছে, ঐ রকমই বললাম। জিজ্ঞেস করলো আমি পুলিশকে ফোন করেছিলাম কিনা, আমি না-সূচক জবাব দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলাম। তখন পুলিশ অফিসারটা আমাকে বললেন, 'পুলিশকে ফোন করা তোমার উচিত ছিল, তাহলে পুলিশই তাকে এম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসতো, তবুও তোমাকে ধন্যবাদ।'

পুলিশ আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স, আমার আইডি কার্ড এবং গাড়ির লাইসেন্স নিয়ে নিল, তারপর ওয়েটিংরুমে বসতে বললো। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ও কেউ কিছু বলতেছেনা, কিন্তু পেট বার বার সিগনাল দিচ্ছে তার খাবারের প্রয়োজন, কারন লাঞ্চটাইম শেষ হয়ে গেছে। পুলিশের কাছে গিয়ে আমার পেটের দাবি-দাওয়ার কথা তুলে ধরলাম। সাথে সাথেই পুলিশ আমার জন্য ১টা চিকেন ভার্গার ও একটা ফ্রেশ ককটেল জুসের অর্ডার করলো। খানা শেষে আবার ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর একজন নতুন পুলিশ অফিসার এসে পুলিশের গাড়িতে করে আমাকে সেই এক্সিডেন্ট স্পটে নিয়ে গেল। এক্সিডেন্টের সময় আমার পজিশন কোথায় ছিল, মেয়েটার পজিশন কোথায় ছিল বিস্তারিত জিজ্ঞেস করে স্পটের কয়েকটা ছবি তুললেন।



তারপর আমাকে গাড়িতে বসতে বললেন, ভাবলাম হয়তো আবার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েই ছেড়ে দিবে। কিন্তু না, এবার আমাকে আবুধাবি সিটির বাহিরে অবস্থিত এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলেন, একটা চেয়ার দেখিয়ে বসতে বললেন। মনে মনে খুব ভয় পেয়ে গেলাম, যদিও আমার ইন্ডিয়ান ম্যানেজার, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানী ও ফিলিপাইনি কলিগেরা বার বার ফোন করে আমার খোঁজ-খবর নিচ্ছে। মনের মধ্যে নানান দুশ্চিন্তা উঁকিঝুঁকি করতে লাগলো, না জানি কি হয়!!

সিনিয়র ব্লগার নজরুল ইসলাম টিপু ভাইকে ফোন করে বিস্তারিত বললাম, উনি আমাকে খুব সাহস দিলেন, ভয় কিছুটা দুর হলো( উনি একমাস যাবত অসুস্থ, একা চলাফেরা করতে পারেন না, সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন)। আর কোন ভাইকে না জানাতে উনাকে অনুরোধ করলাম, অযথা সবাইকে টেনশন দিয়ে লাভ কি!

ঘড়ির কাঁটায় ছয়টা পার হয়ে গেছে, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেছে, আমার পেট ও তার খাবারের দাবিতে অটল। বাদ্য হয়েই পুলিশ অফিসার কে পেটের দাবির কথা জানালাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন আশে-পাশে আমার কোন বন্ধু আছে কিনা, তারপর উনি চলে গেলেন। সাথে সাথেই মনে পড়লো আমার ঢাকাইয়া বন্ধু হুমায়ুনের কথা। তাকে ফোন করলাম, আমার সব কথা শুনে সে খুব অস্থির হয়ে উঠলো,আসতেছি বলে ফোন রেখে দিল। দশমিনিট পর পুলিশ অফিসার একটা ব্যাগ এনে আমাকে দিলেন, বললেন খেয়ে নিতে। ব্যাগের মধ্যে একটা সেন্ডউইছ, ৪ টা চিপস এবং ২টা চকবার ছিল, মনের অজান্তে মুখ থেকে বের হয়ে গেলো, জাজাকুমুল্লাহ খাইরান, উনি মুছকি হেসে বললেন শুকরান। খাওয়ার পর আবার বসে রইলাম, কিছুক্ষন পর মাগরিবের আজানের মধুর সুর মসজিদ থেকে ভেসে আসলো। দুইজন পুলিশ অফিসার ছাড়া বাকি সবাই মসজিদে চলে গেল। পুলিশ অফিসারের ইমামতিতে পাশের একটা কক্ষে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাযের পর পরই বন্ধু হুমায়ুন থানাতে আসলেন, আমার জন্য এতবেশি পরিমান খাবার নিয়ে আসলেন যেন উনি হাসপাতালে রুগী দেখতে এসেছেন!! পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞেস করলাম আর কতক্ষন এখানে বসে থাকতে হবে? উনি আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করলেন, বসে থাকতে আমার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা! আমি না-সূচক জবাব দেওয়ার পর উনি শুধুই বসে থাকতে বললেন।

রাত ৮ টায় হঠাৎ একজন পুলিশের সাথে সেই চায়না মেয়েটি ও তার বয়ফ্রেন্ড কক্ষে প্রবেশ করলো। আমি এগিয়ে গিয়ে তার শারিরীক অবস্থার খোঁজ-খবর নিলাম, সে তার অবস্থা ভাল বললো যদিও তার হাত, পা ও মাথায় ব্যান্ডেজ লাগানো ছিল। তারপর পুলিশ অফিসার দুইজনকে একসাথে তাঁর সামনে বসতে বললেন। মেয়েটাকে তার শারিরীক অবস্থা জিজ্ঞেস করলেন এবং আমার বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ আছে কিনা, মামলা করবে কিনা জিজ্ঞেস করলেন। মেয়েটি বললো, তার কোন অভিযোগ নাই এবং কোন প্রকার মামলাও সে যেতে চায়না। তখন পুলিশ অফিসার তাকে জেব্রা ক্রসিং দেখে রাস্তা পার হওয়ায় পরামর্শ দিলেন এবং একটা পেপারে সাক্ষর নিয়ে নিলেন। আমার কাছ থেকে কোন পেপারে সাক্ষর নিলেন না, কোন জরিমানা ও করলেন না, আমাকে আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির লাইসেন্স ও আইডি কার্ড ফেরত দিয়ে বললেন, তুমি যেতে পারো। পুলিশ অফিসার কে সালাম দিয়ে চলে এলাম।

আরব-আমিরাতের পুলিশের উপর মানুষ ১০০% আস্থা রাখতে পারে বলেই এক্সিডেন্ট ছাড়াও যে কোন সমস্যার সমাধানে মানুষ পুলিশকে ফোন করে। যারা ইসলামকে নিজের ব্যক্তিজীবনে মেনে চলেন, তারাই পারেন শতভাগ ইনসাফ করতে। ধন্যবাদ আবুধাবি পুলিশ, আপনারাই পেরেছেন মানুষের বন্ধু হতে, মানুষের আন্তরিক ভালবাসা আদায় করতে।

বিষয়: বিবিধ

২৬৪০ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

334510
০৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:২০
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! পুলিশের ইনসাফ? যেন বিরল ঘটনা! মহান আল্লাহই আপনাকে সাহায্য করেছেন! প্রতিটি দেশেই যদি এমন পুলিশ থাকতো???????? তবে কতই না ভালো হতো! অনেক ধন্যবাদ
০৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:২৮
276571
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : "আরব-আমিরাতের পুলিশের উপর মানুষ ১০০% আস্থা রাখতে পারে বলেই এক্সিডেন্ট ছাড়াও যে কোন সমস্যার সমাধানে মানুষ পুলিশকে ফোন করে। যারা ইসলামকে নিজের ব্যক্তিজীবনে মেনে চলেন, তারাই পারেন শতভাগ ইনসাফ করতে।"
আরব-আমিরাত পুলিশের মাঝে যে ন্যায়পরায়নতা দেখেছি, তার ১০% যদি আমাদের দেশের পুলিশের মাঝে থাকতো, তাহলে বাংলাদেশের চেহারা অন্য রকম হতো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
০৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:২৯
276572
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ওয়াইলাইকুম সালাম,ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু "আরব-আমিরাতের পুলিশের উপর মানুষ ১০০% আস্থা রাখতে পারে বলেই এক্সিডেন্ট ছাড়াও যে কোন সমস্যার সমাধানে মানুষ পুলিশকে ফোন করে। যারা ইসলামকে নিজের ব্যক্তিজীবনে মেনে চলেন, তারাই পারেন শতভাগ ইনসাফ করতে।"
আরব-আমিরাত পুলিশের মাঝে যে ন্যায়পরায়নতা দেখেছি, তার ১০% যদি আমাদের দেশের পুলিশের মাঝে থাকতো, তাহলে বাংলাদেশের চেহারা অন্য রকম হতো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
334511
০৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:২৭
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো
০৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৩১
276573
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : সময় নিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
334522
০৮ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৮
নাবিক লিখেছেন : বঙ্গদেশে এই ঘটনা ঘটলে আপনার খবর আসিলো। যাইহোক লেখাটা অনেক ভালো লাগলো।
০৮ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩০
276597
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, নাবিক ভাই বঙ্গদেশে হলে এক্সিডেন্ট হওয়ার সাথে সাথে পাবলিকেই মেরে আমাকে মুমূর্ষু বানিয়ে পেলতো, পুলিশের কথা বাদই দিলাম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
০৮ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
276605
নাবিক লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও
২১ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:২৭
294641
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : Winking Winking Winking Winking
334533
০৮ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ একটা বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
এই ঘটনা বাংলাদেশে ঘটলে!! কমপক্ষে ১০০০০ টাকা খাইত পুলিশ।
০৮ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩২
276599
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া, বাংলাদেশে হলে, এক্সিডেন্ট হওয়ার সাথে সাথে পাবলিকেই মেরে আমাকে মুমূর্ষু বানিয়ে পেলতো, পুলিশের কথা বাদই দিলাম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
334536
০৮ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৭
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : সকল পক্ষের প্রতি রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি সঠিক উপায় অবলম্বন করায় আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করেছে। ভাল থাকুন..
০৮ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৩
276600
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। দোয়া করবেন ভাই, আপিনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
334538
০৮ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩১
সান বাংলা লিখেছেন : যদি ভাইজান বাংলাদেশে এই কাজটা হত আপনার তেরটা বাজতো!
০৮ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
276601
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : সান বাংলা ভাই, বাংলাদেশে হলে উন্মাদ পাবলিক ও পুলিশের যৌথ মাইয়ের শিকার হইতাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
০৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:০৮
276606
সান বাংলা লিখেছেন : হা হা হা পিলাচ আপনাকে...Good Luck
০৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:১৭
276608
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : এই দেশের পুলিশের মাঝে মানবতা আছে, তারা কেউ অপরাধী প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে শারিরীক অথবা মানসিক কষ্ট দেয় না। আপনাকে মোবারকবাদ
334566
০৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:৪৬
আবু জারীর লিখেছেন : মেয়েটার বয় ফ্রেন্ড থাকায় মামলাটার সুন্দর সমাধান করা গেলনা। নাহলে আমি এর একটা সুন্দর সমাধান দিতে পারতাম।
ধন্যবাদ।

টিপু ভাইকে সালাম দিবেন। তার জন্য দুয়া রইল যেন আল্লাহ্‌ তাকে দ্রুত সুস্থ্য করে দেন।
০৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:০৫
276626
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া আমার আম্মু কিন্তু উনার বৌ রেড়ি করে পেলেছেন,ইনশাআল্লাহ আগামি ১৪ই আগস্ট পদ্ধনামা হবে, এই অবস্থায় আপনি যদি অন্য কিছু করতে যান, তাহলে নিশ্চিত আমার কপালে দুঃখ আছে।
ঠিক আছে টিপু ভাইকে সালাম দিব। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
334569
০৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:১০
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মামুন ভাই। এত কাহিনি হয়ে গেল, অথচ আমি অধমকে একটুও জানালেন না!
যাই হোক ব্লগের কল্যানে জানলাম। লাঠিপেটা খাওয়ার জায়গায় সেন্ডুয়েজ, চিকেন, বার্গার কত খাবারই না খেলেন। ইস! ভবিস্যতে আমি না হয় ইচ্ছে করে এমন করবো ভাবছি।
বাহ! চমৎকার, কি খাবার, কি মেহমানদারী।

আসলে ভাই আল্লাহ ভীতি থাকলে তার থেকে দুনিয়ার কোন প্রাণীই কষ্ট পায় না, আবুধাবীতে আমার কয়েকজন পুুলিশ বন্ধু আছে, সত্যিই মানুষের মত মানুষ। যেন আপন কেউ।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
জাযাকাল্লাহ খাইর
০৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:০৭
276628
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ওয়াইলাইকুম সালাম, শরিফ ভাই, আসলে আমি কাউকে টেনশন দিতে চাইনি। বাংলাদেশ হলে পাবলিক +পুলিশ দ্বিমুখী পিটানি খাইতাম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
334581
০৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:০৬
আফরা লিখেছেন : বাংলাদেশের পুলিশ তো আরো বেশি ভাল আপনাকে কোথায় নিয়ে যেত না শুধু টাকা দিলেই ওখান থেকেই খালাস পেয়ে যেতেন ।

ধন্যবাদ ।
০৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:০৯
276629
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আপু, টাকা দিয়ে পুলিশের হাত থেকে হয়তো বাঁচতে পারতাম, কিন্তু পাবলিকের গনধোলাই থেকে বাঁচার তো কোন উপায় থাকতো না তাই না! সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১০
334588
০৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:৩৭
মেরাজ লিখেছেন : আর আমাদের দেশের গুলো হলে একেকটা ঠুলা হয়ে যেতো।
সৎ মানুষদের আল্লাহ্ এইভাবে সাহায্য করেন।
০৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:০১
276643
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া আমাদের দেশে হলে প্রথমে একটা গনপিটুনি খেতে হতো, তারপর পুলিশদের পকেট ভরা লাগতো, তারপর হয়তো মুক্তির আশা করা যায়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১
334592
০৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:০০
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। রাখে আল্লাহ মারে কে? আল্লাহ আপনাকে হায়াতে তৈইবা দান করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের জীবনই এমন কখনো ছোট্ট ঘটনা বড় হয়ে মানুষের বহন ক্ষমতা ছাড়িয়ে যায়!

আবার কখনো কখনো বড় ঘটনা ছোট্ট আকারে আসে আমাদের জীবনে....।

ধন্যবাদ।
০৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:০৩
276645
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ওয়াইলাইকুম সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, তবে আমার কিছুই হয়নি, যা হবার ঐ মেয়েটার হয়েছে।
১২
334633
০৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৬:১২
কাহাফ লিখেছেন :
আইনের শাসন থাকলে সুন্দর ভাবেই সমাধান হয় অনাকাংখিত অনেক সমস্যার!
আইন মানার ক্ষেত্রে ঐশী বিধানের অনুসরণ তো সোনায় সোহাগা!
আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করেছেন... আলহামদুলিল্লাহ!
০৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৬:৫৮
276656
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আরব-আমিরাতের পুলিশের মাঝে যে ন্যায়পরায়ণতা আছে, তার ২০% যদি বাংলাদেশের পুলিশের মাঝে থাকতো তাহলে বাংলাদেশের চেহারা ভিন্ন হতো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৩
334649
০৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১০:৩০
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : সুন্দর ঘটনাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমারও এমন কিছু ঘটনা আছে। একসময় শেয়ার করবো ইনশা আল্লাহ।
০৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:২৩
276686
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, আপনার ঘটনা গুলো ও শেয়ার করবে, তাহলে আমাদের দেশের লোকেরা পুলিশ যে জনগনের ভালবাসা পেতে পারে, ন্যায়পরায়ন হতে পারে তা সবাই জানতে পারবে। আরব-আমিরাতের পুলিশের মাঝে যে ন্যায়পরায়ণতা আছে, তার ২০% যদি বাংলাদেশের পুলিশের মাঝে থাকতো তাহলে বাংলাদেশের চেহারা ভিন্ন হতো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৪
334658
০৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:১০
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : ভাল লাগলো বড় একটা বিপদ থেকে বড় হয়রানি ছাড়া মুক্ত হয়েছেন। এবং ঘটনাটাও খুব গুছিয়ে লিখেছেন।
০৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:১৮
276681
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া আমাদের দেশে হলে প্রথমে একটা গনপিটুনি খেতে হতো, তারপর পুলিশদের পকেট ভরা লাগতো, তারপর হয়তো মুক্তির আশা করা যায়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৫
334660
০৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:১৫
আল সাঈদ লিখেছেন : স্বপ্নের মতো লাগে। কবে, কিভাবে হবে আমাদের দেশটা এমন সুশৃঙ্খল। খুব ভালো লাগলো পুলিশের পরিচয় শুনে।
০৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:১৮
276680
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আরব-আমিরাতের পুলিশের মাঝে যে ন্যায়পরায়ণতা আছে, তার ২০% যদি বাংলাদেশের পুলিশের মাঝে থাকতো তাহলে বাংলাদেশের চেহারা ভিন্ন হতো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৬
334678
০৯ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:১২
হতভাগা লিখেছেন : আবুধাবীর পুলিশের চেয়ে বাংলাদেশের পুলিশ আপনাকে আরও ভাল আপ্যায়ন করতে পারতো
০৯ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:১৫
276725
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন। তবে ভিন্ন মাত্রার আপ্যায়নের স্বাধ পাইতাম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৭
336001
১৫ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:১৯
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : টিপু ভাই এখন কেমন আছেন ? বাংলাদেশের প্রশাসন যদি এমনটা হত আমাদের দেশ পাল্টে যেত। ধন্যবাদ ভাইয়া
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:০৬
277964
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : টিপু ভাই এখনো আগের মত, একাকী চলাফেরা করতে পারেন না, উনার জন্য দোয়া করবেন। বাংলাদেশের পুলিশের কথা আর কি বলবো ভাই!! সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:৫৫
277967
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/3740/sh12/64030#.Vc-asbJVhH
বলতে হবে না ভাইয়া আমার এই লিখা পড়েন বুঝে যাবেন কি যে গুতানি খাওয়া আসছি দেশ থাইকা
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০২:৩২
277968
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : কি আর বলবো অমানুষের কথা, ধন্যবাদ ভাইয়া

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File