সাদা কাপড়ে দাগ পড়লে দূর থেকেও দেখা যায়
লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ২৮ জুলাই, ২০১৫, ১১:১৮:৩৭ সকাল
"মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারনে অকারনে বদলায়, সকাল বিকাল বদলায়" কথাটা আমরা একেবারেই ভুলে যাই। আজকে আমি জামাত-শিবিরের অনেক বড় দায়িত্বশীল, হয়তো সময়ের ব্যবধানে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আমি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলাম। নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবার পর নীতি-নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে আমি কোন একটা খারাপ কাজ করে পেললাম। যেহেতু সংগঠনের সাথে আমার কোন প্রকার যোগাযোগ নাই সঙ্গত কারনে আমার এই খারাপ কাজের দায়-দায়িত্ব আমার উপরেই বর্তাবে, সংগঠনের উপর না। দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমান হলুদ মিডিয়া একটা আদর্শিক সংগঠনকে কলংকিত করার জন্য এই ধরনের ব্যক্তিকেন্দ্রিক খবর প্রচারেই ব্যস্ত। কিন্তু হলুদ মিডিয়া এই কথা ভুলেও প্রকাশ করেনা যে, যার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হচ্ছে, সে নিষ্ক্রিয় অথবা বহিষ্কৃত কর্মী!!
জামাতের কিছু কর্মী আছে যারা নিজেদের পরিবার-পরিজনদের আধুনিকতার মধ্যে ছেড়ে দেয়। অথচ নিজে অন্যকে ইসলামের দাওয়াত দেয়! এটা নিচক ভন্ডামি ছাড়া কিছুনা। অথচ রাসূল (স) নিজের পরিবার থেকেই ইসলামের প্রচার শুরু করেছিলেন। এই ধরনের গুটিকয়েক কর্মীর জন্য বৃহত্তর সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
ছাত্রজীবনে দেখেছি, বিপদে পড়লে বেশিরভাগ মেয়ে শিবিরের নেতা-কর্মীদের ধারস্থ হয়। অতি উৎসাহি কিছু কর্মী তাদের উপকার করতে উঠেপড়ে লেগে যায়, কিন্তু পরবর্তিতে ঐ মেয়েদের পাতানো ফাঁদ থেকে দূর্বল ঈমানের কর্মীরা আর বেরিয়ে আসতে পারেনা। সাদা কাপড়ে দাগ পড়লে যেমন বহুদূর থেকে দেখা যায়, তেমনিভাবে শিবিরের হাজারো নেতা-কর্মীর মধ্যে ২/১ টা শিবির কর্মীর এই বিষয়টা খুব বেশি হাইলাইটস হয়ে যায়! কিন্তু অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মেয়েদেরকে টিস্যু হিসেবে ব্যবহার করলেও তাতে কিছু যায় আসেনা!!
বেশিরভাগ ডানপন্থী মনে করেন, আওয়ামীলীগ মানেই বেয়াদব, সন্ত্রাস ও নাস্তিকের দল। কিন্তু আমি তাদের সাথে দ্বিমত পোষন করি কারন আমার আত্বিয়-স্বজনদের মধ্যে ৬০% কট্টর আওয়ামীপন্থী থাকার সুবাদে আমি তাদেরকে খুব কাছ থেকেই দেখেছি। আমার যুবলীগের দুইজন বন্ধুর নিঃস্বার্থ ভালবাসা ও উপকারের কথা আমি কখনো ভুলতে পারবো না, তাদের মধ্যে আমি মানবতা দেখেছি।
কিছু সংখ্যক অ-শিক্ষিত, কু-শিক্ষিত, ইসলাম বিদ্বেষী ও অতি আবেগী নেতা-কর্মীর কারনে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি ও শেরেবাংলা এ.কে ফজলুল হকের প্রতিষ্ঠিত আওয়ামীলীগ আজ অন্ধকার ঘরের পচা ইঁদুরের মত হয়ে গেছে।
চাঁদের কলংক যেমন চাঁদের সৌন্দর্যকে ম্লান করতে পারেনি, ঠিক তেমনি ইহুদী-খ্রিষ্টান ও নাস্তিকদের কর্তৃক পরিচালিত হলুদ মিডিয়া নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করেও একটা ইসলামি সংগঠনের আদর্শকে ম্লান করতে পারবেনা।
খারাপ লোকেরা একটা সমাজকে নষ্ট করতে পারেনা, কিন্তু সমাজের ভাল লোকগুলোর নিষ্ক্রীয়তার কারনে একটা সমাজ নষ্ট হয়। এই দেশটা আমাদের সবার, আমরা এই দেশের আলো-ছায়ায় বড় হয়েছি। তাই আসুন সবাই মিলে দেশের জন্য কাজ করি, দেশকে ভালবাসি।
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৯ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেখানে এখন মুসলিম আছে কিনা সন্দেহ হয় আমার।
যে সত্য পথের মানুষ বলে দাবী করেনা, মানুষ তাকে নিয়ে উৎসাহিত হয়না। তার তার সকল অপকর্ম আপাতদৃষ্টিতে আড়াল থাকে, তবে একদিনে এসব একত্রেই বের হয়। অনেক ধন্যবাদ
সত্যিই বলেছেন: চাঁদের কলংক চাঁদের সৌন্দর্যকে ম্লান করতে পারে না। সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
ধন্যবাদ
সুতরাং সংগঠন বড় হলে কুলাঙ্গার ও বাড়ে কুলাঙ্গারদের চিহ্নিত করা সময়ের দাবি।
খুজে খুজে খুত বের করার পর তা সংশোধন করেই বস্তু নিখুত আবয়ব লাভ করে!
এর জন্যে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয়!
আপনার সঠিক উপলব্ধির সাথে প্রায় সহমত আমি! তবে,অাওয়ামী কখনই ভাল হতে পারে না! স্বীয় আত্মীয়-স্বজন দেখেই এমন ধারণা হয়েছে আমার! দু'একটা ভাল হওয়া ত ব্যতিক্রম,আর ব্যতিক্রম কখনই উদাহরণ হতে পারে না!
উপস্হাপনায় জাযাকাল্লাহু খাইর!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন